আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

দুটো প্রশ্ন ছিলো,

১)আমার একজন আত্মীয় মারা গিয়েছেন।আমি চাচ্ছিলাম উনার জন্য কিছু কাজা সালাত পড়বো। কিন্তু ওনার কার্যক্রম কিছুটা সন্দেহজনক ছিল। মুসলমানদের গণ্ডিতে ছিল কিনা সেটাই বুঝতে পারছিনা। উনার একটা জ্বীন পীর ছিল। ওই জ্বীনের একটা আসন ছিল উনারা তাকে খাবার দিত। কালী মন্দির থেকে তাকে শাড়ি দেওয়া হইত। উনি কোরআন হাদিস বিশ্বাস করতেন না। উনার যে পীর ছিল তাকে সেজদাও করতেন উনি।যখন কবরের আজাব এর কথা উনাকে বলতাম তখন তিনি বলতেন "তুই কি গিয়ে দেখে আসছিস কবরের আজাব?" সালাত পড়তেন না। হয়তো ছোটবেলায় পড়তেন।তবে আমি বড় হওয়ার পর থেকে কখনো সালাত আদায় করতে দেখি নাই। এখন আমি কি উনার জন্য কাফ্ফারার সালাত আদায় করতে পারবো?
২) আমার বিয়ের প্রায় ছয় মাস হয়ে গিয়েছে। আমার হাজব্যান্ড তিন ভাইয়ের মধ্যে তিন নাম্বার। দুই নাম্বার যিনি আমার ভাসুর উনি এখনো আনমেরিড। আমার হাজবেন্ড আগে একটা ভার্সিটিতে জব করত কিন্তু বাইরে স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য উনি জবটা ছেড়ে দিয়েছেন বিয়ের কিছুদিন আগেই। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওনার বাইরে থাকার কথা ছিল কিন্তু এখনো ভিসা আসে নাই বা বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখনো উনি দেশেই আছেন। কথা ছিল উনি আমাকে আগস্টের দিকে উঠিয়ে নিবেন কিন্তু এখনো উঠিয়েও নেয় নাই। আমার শাশুড়ি আমাকে বিয়ের আগেই বলছেন আমি যেন এখনই বাচ্চা নেওয়ার ব্যাপারে ফিকির না করি। যেহেতু আমাকে সামাজিকভাবে এখন উঠিয়ে নেওয়া হয় নাই তাছাড়া আমাদের খুব ব্যক্তিগত আত্মীয়-স্বজন ছাড়া আর কেউই জানে না এ ব্যাপারে এবং উনার মেঝো ভাইয়ের এখনো বিয়ে হয় নাই, উনি বিদেশ যাওয়ার জন্য লাইন দিচ্ছেন। একবার বিদেশে গেলেই বিয়ে দিয়ে দেবেন। আমিও তখন রাজি হয়েছিলাম। ব্যাপারটা তখন খুব অল্প সময়ের জন্য ছিল যেহেতু জুন জুলাইয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। আর এটাও বলছিল যে বড় ভাই বিদেশ থেকে আসলে আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে কিন্তু বড় ভাই আসছে কিছু সমস্যার জন্য এখনো নিয়ে যাওয়া হয় নাই। এখন যতই দিন যাচ্ছে ততই আমার পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখন আমার শাশুড়ি বলছে যদি আমাদের মেজ ভাইয়ের বিয়ে হয়ে যেতো তাহলে একটা ব্যাপার ছিল অথবা যদি আমার হাজবেন্ডের লাইন হয়ে যেত বিদেশের তাহলে সবাইকে বলতে পারতেন যে উনি যেহেতু বিদেশ চলে যাচ্ছে তাই মেঝটার আগে ছোটটাকে বিয়ে করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার জন্য এখন সবর করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে প্রতিটি মেয়ের ইচ্ছা থাকে একটা নেক সন্তানের। আমি চাইলেই আমার হাজব্যান্ডকে ফোর্স করতে পারি উনি রাজিও হবে কিন্তু আমি আসলে চাচ্ছি না সবাইকে কষ্ট দিতে। সামনে আবার জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে তখন বিষয়টা খুবই অকওয়ার্ড হবে। কিন্তু এখন ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করছি আমরা স্বামী স্ত্রী কোনভাবেই কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না। এমনকি আমার শাশুড়ি আমার ফ্যামিলিকে জানিয়েছে যদি বেবির বিষয়টা চলে আসে তাহলে উনারা আমাকে সামাজিকভাবে সম্মানের সাথে নিয়ে যেতে পারবেন না। যেহেতু অনেকেই জানেনা পরে উনার ছেলের ক্যারেক্টারে একটা দাগ পড়ে যাবে।এরপাশাপাশি আমার স্বামীরও কোন একটা সেটেলমেন্ট হয় নাই এবং শাশুড়ির সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো এখন আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু এই সম্পর্কটাকেও আমি নষ্ট করতে চাচ্ছি না। শায়েখ আমি খুবই পেরেশানীতে আছি। কী করা উচিৎ এখন আমার?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এমন ব্যক্তির জন্য নফল ইবাদত বা দু'আ করতে পারবেন না। 

(২)
ফুকাহায়ে কিরাম এ সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছেন যে,আ'যল মাকরুহ। যেমন ফাতহুল কাদীর,রাদ্দুল মুহতার,এহয়াউল উলূম,ইত্যাদি গ্রন্থ সমূহ দ্রষ্টব্য।

হ্যা উযর এবং অপারগতা  সকল বিষয়েই শীতিলযোগ্য।এখানেও বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন অনুসারে মাকরুহ থাকবে না।যার বিস্তারিত বিবরণ রাদ্দুল মিহতারে রয়েছে।

যেমন, মহিলা এত দুর্বল যে,গর্ভধারণের সক্ষমতা নেই,বা দূরে কোথাও সফরে আছেন,অথবা এমন কোনো স্থানে রয়েছেন যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সম্ভাবনা নেই, শংকাযুক্ত স্থান।অথবা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে।

এই সকল উযরের খুলাসাহ হল, ব্যক্তিগত জীবনে কারো এমন কোনো সমস্যা সামনে আসলে উযর পর্যন্ত তার জন্য মাকরুহ ব্যতীত আ'যল জায়েয হবে।
উযর দূর হওয়ার পর আবার তার জন্য সেটা মাকরুহ হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1907


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কেন এমন পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, যে এখন আপনাকে ঘরে তুলতে পারবে না। যাইহোক, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘরে উঠার পরই সন্তানের চিন্তাভাবনা করাই মুনাসিব মনে হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...