আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আমি কিছু আলেম কে বলতে শুনেছি যে তাকদীর সম্পর্কে আল্লাহ সব জানেন এর মানে এই না যে তিনি নির্ধারণ করে রেখেছেন বলে এমনটা হয়েছে।যেমন কোন ব্যাক্তি  ব্যাক্তি তার নিজের খেয়াল রাখে নাই ঠিকমতো চিকিৎসা করে নাই এর কারনে বড় কোন রোগ হয়েছে সে মারা গেছে এই ব্যাপার আল্লাহ আগেই জানেন।উন্নত দেশের লোকেদের লাইফ স্টাইল ভালো তাই তারা বেশি বাচে।

১.এইকথাগুলো কতটুকু ঠিক।তাহলে মানুষ ঠিক মত চিকিৎসা নিলে কি আরও বেচে থাকতো। মৃত্যুর ক্ষেত্রে কি মানুষের ভূমিকা থাকে।

২.মৃত্যুর সময় ও জায়গা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না । এখানে আল্লাহর জানা আর নির্ধারণ করা কি আলাদা জিনিস।
৩.তাকদীর কি আল্লাহ জানেন নাকি আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন। তাকদীর সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস কি রকম থাকা উচিত। .আমাদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন।আমরা কি চাইলেই ইচ্ছে শক্তি প্রয়োগ করতে পারি
৪.কেউ কি কারো নির্ধারিত সময়ের আগে মারা যায়।
উত্তরগুলো পয়েন্ট আকারে দিলে উপকৃত হবো

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিনমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাক্বদীর শব্দটির অর্থ নির্ধারণ করা বা অনুমান করা।
শারঈ পরিভাষায় তাক্বদীর হ’ল, আল্লাহ কর্তৃক বান্দার ভবিষ্যত নির্ধারণ করা। 

তাকদীর বিষয়ক দুয়েকটা আয়াত ও হাদীস  লক্ষণীয়........
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 

একদিন ছাহাবায়ে কেরাম তাকে কেবল তাক্বদীরের উপর ভরসা করে সকল আমল ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা সৎকর্ম করে যাও। কেননা যাকে যেজন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার পক্ষে সে কাজ সহজসাধ্য হবে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য সেরূপ আমল এবং যারা দুর্ভাগাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য সেরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
(বুখারী হা/৪৯৪৯)।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/58

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কে চিকিৎসা নিবে আর কার চিকিৎসা কতটুকু ফায়দাদায়ক হবে? তা আল্লাহ পূর্ব থেকেই জানেন।

(২) মৃত্যুর সময় ও জায়গা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না । এখানে আল্লাহর জানা আর নির্ধারণ করা পৃথক জিনিষ নয় বরং একই।

(৩) তাকদীর আল্লাহ জানেন এবং তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাকদীর সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস এরকম হবে যে, আমাদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন।আমরা চাইলেই ইচ্ছে শক্তি প্রয়োগ করতে পারি, তবে ফলাফল আল্লাহর হুকুমেই হবে।সেটাও আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন।

(৪) কেউই তার নির্ধারিত সময়ের আগে মারা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...