আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

একজন মহিলার (স্বামী জীবিত) মৃত্যুর সময় কয়েক সন্তান রেখে যান বালেগ। এর মধ্যে এক সন্তান আর্থিকভাবে দুর্বল। মহিলার তাঁর এই সন্তানের প্রতি বিশেষ নজর ছিলো। এবং এই সন্তানের জন্য অল্প কিছু জিনিস রেখে যান।


এবং মারা যাওয়ার সময় তিনি কিছু টাকা রেখে যান৷ এখন এই টাকার টাকার ব্যাপারে দুই সন্তান অবগত। বাকি  সন্তান এবং স্বামী অবগত নন।  এবং টাকা একজনের কাছে জমা আছে৷ জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর এক সন্তানকে ইশারায় এই টাকার ব্যাপারে বলে যান। মূলত তাঁর কাছেই টাকাটা বর্তমানে জমা।
এখন প্রশ্ন হলো যে সন্তান আর্থিকভাবে দুর্বল, এবং বর্ত্মানে তাঁর আর্থিকভাবে খুবই নাজুক মুহুর্তে  সে যদি অন্যদের অজান্তে তাঁর মায়ের এই রেখে যাওয়া টাকার কিছু অংশ অল্প কিছুদিনের জন্য খরচ করে (ব্যবহার) এবং অবশ্যই পরে আবার টাকা গুলো পূর্ণ করে দেয়  তবে এভাবে টাকাটা খরচ করা কি তাঁর জন্য হারাম/ হালাল হবে?
যদি এই পদ্ধতি তার জন্য হারাম হয় তবে সে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকাটা কিছুদিনের জন্য ব্যবহার করাকে হালাল করবে?

 (পরে ফেরত দেবে, এবং তাঁর স্বামী অর্থাৎ সন্তানদের বাবাকে পুরোটা ফেরত দিয়ে দেয়ার ইচ্ছে আছে৷ এখন যেহেতু অন্য সন্তানদের এই টাকার বিষয়ে বললে সমস্যা এবং মনোমালিন্যের আশঙ্কা আছে। সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। সে টাকাটা পুরোপুরি ভোগ করে ফেলবেনা। কেবল কিছুদিনের জন্য ব্যবহার করতে চায়৷)


বি.দ্র: তাঁর বাকি সন্তানরা, স্বামী আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে ধারণা করা হচ্ছে, মহিলা জীবিত থাকলে তাঁর এই সন্তানকেই টাকা গুলো দিয়ে যেতেন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ اﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ - ﻋَﻦِ اﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ: «ﻻَ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَاﺭِﺙٍ، ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺸَﺎءَ اﻟْﻮَﺭَﺛَﺔُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ ওয়ারিছদের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই,তবে যদি অন্যান্য সমস্ত ওয়ারিছরা রাজি থাকে তাহলে জায়েয আছে। (মিশকাত-৩০৭৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যার কাছে মা টাকা রেখে গেছেন, উনার জন্য অন্যদের অগোচরে উক্ত টাকা খরচ করা জায়েয হবে না। তাছাড়া অন্যদের অগোচরে এখন খরচ করে, পরবর্তীতে সবাইকে ফিরিয়ে দিলে, তাতে সমস্যা আরোও বাড়বে। তখন কেউ কেউ উনার বর্ণিত টাকার সংখ্যায় সন্দেহ পোষণ করবে। তাছাড় একবার খরচ করে নিলে সেটার ভর্তুকি প্রদানও অত্যান্ত কষ্টকর। বরং শয়তান নানা অজুহাত নিয়ে তখন ঐ ব্যক্তির সামনে দাড়াবে। এজন্য এখনই তিনি সবাইকে উনার নিকট জমা টাকা সম্পর্কে অবগত করে দিবেন। হ্যা, সবার নিকট নিজ প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত করতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
এখন সে এই অর্থের ব্যপারে কি কেবল তার ভাইবোনদের জানাবে? পিতাকে জানাতে হবে না?

২। ভর্তুকির বিষয়টাও কি একটু বলবেন। 

অথবা কেবল পিতা অথবা কেবল ভাইবোনদের জানালে হবে? নাকি  ভাইবোন এবং পিতা উভয়কেই জানাতে হবে। 
বি:দ্রঃ
মহিলার এই অর্থ ছিলো তাঁর স্বামীর থেকে প্রাপ্ত। 

মেহেরবানি করে আমার এই কমেন্টের রিপ্লাই দেবেন হযরত। 
by (590,550 points)
(১)ভাইবোন পিতা তথা ঐ মহিলার যতজন ওয়ারিছ হতে পারে, সবাইকে জানাবেন। 
(২) ভাই বোন, পিতা সবাইকেই জানাবেন। ভর্তুকির বিষয়টাও জানাবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...