আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আমার খুব ক্লোজ বান্ধবী আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না ঠিক কী পরামর্শ দিব ওকে। ওর সমস্যা হচ্ছে-


ও নরমালি দ্বীন মানার চেষ্টা করতো কিছু বছর যাবত। কলেজে ভর্তির পর কলেজেরই এক ছেলের সাথে কথাবার্তা হতো। আমার সাথে ওই ছেলে নিয়ে কথা বলতো না, এড়িয়ে যেত। কিন্তু ক্লাসে সবাই ব্যাপারটা জানতো, এতটা ওপেন রিলেশনে জড়ায় (যেমন একসাথে বসা, নোটস, পড়া)। গত মাসে, মেয়ের বাসায় কেউ নেই জানতে পেরে ছেলেটা মেয়ের বাসায় যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক হয়। মেয়েটার মতে, ওর কোনো দোষ ছিল না, ও না করছিল বারবার। ছেলেটা "কেউ জানবে না, একবারই, বিয়েই করে ফেলব" বলে টলে জোর করে এসব করে। (ছেলেটা প্রোটেকশনও নিয়ে গেছিলো, তার মানে ও প্ল্যান করেই গেছে বলে আমার ধারণা)। মেয়েটা ভয় পেয়ে ইমার্জেন্সি পিল খায়।


এরপর ও পিরিয়ড মিস করে এই মাসে। ছেলেটাকে জানানোর পর ছেলেটা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মেয়ের বাসায় যেন ছেলের কথা না জানায়, জানাজানি হলে সমস্যা, এসব বলে। মেয়েটা তখন কষ্ট পায়। এবং আমার কাছে এসে এসব বলে পরামর্শ চায় যে কী করবে। আমি ওকে বলি এসব হারাম থেকে বের হয়ে আসতে। ছেলেটার মাঝে কোনো অনুশোচনা বা দ্বীনের বুঝ, কোনোটাই হয়তো নেই। এখন ছেলেটা অসুস্থ হয়ে গেছে যে মেয়েটাকে ছাড়া বাঁচবে না, এই সেই। আবার এখন ছেলেটার ফ্যামিলি ওকে বিয়েও দিবে না কারণ তার বড় ভাই অবিবাহিত। বড় সমস্যা হলো, যেহেতু ওপেন রিলেশনশিপ, ক্লাসের অন্য ছেলে মেয়েরা চায় ওদের মাঝে সব মিটমাট হয়ে যাক (শারীরিক সম্পর্কের কথা তারা জানেনা)। মেডিকেল কলেজে পড়ছে, ওরা একই গ্রুপের স্টুডেন্ট, সামনে আরো পাঁচ বছর একই সাথে পড়তে, চলতে হবে। আদৌ কি সম্ভব যে মেয়েটা জোর করে হারাম সম্পর্ক থেকে দূরে থাকবে?! যেখানে ছেলের ফ্রেন্ডরা অনবরত মেয়েটাকে উসকে দিচ্ছে
মেয়েটা আজক গেছিল প্র্যাগনেন্সি টেস্ট করতে। যেহেতু বিষয়টা শুধু আমি জানি, তাই আমাকে নিয়ে গেছে। এখন যদি কালকে পজিটিভ আসে, তাহলে মেয়েটা চাচ্ছে বাসায় বা কাউকে কিছু না বলে এবরশন করে ফেলবে। বাসায় জানালে আন্টিও হয়তো তাই করাবেন, জানিনা।
১) আমি যে ওকে মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি, টেস্ট করাতে সাথে গেছি, এসব কি অনুচিত হচ্ছে? আমি এই নিয়্যাহ তে ওর সাথে আছি যাতে ও আবার ভুল কিছু না করে। আমার কি ওর সাথে এসব ব্যাপারে কথা বলা বা পরামর্শ দিতে চাওয়াটা ভুল হচ্ছে?

২) টেস্ট পজিটিভ এলে ওকে কী পরামর্শ দিব? বাসায় জানাতে?

৩) নেগেটিভ বা পজিটিভ যাই আসুক, ছেলেটার সাথে সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করব আমি?? কারণ ছেলেটাকে আমার ভালো মনে হয়নি। নাকি ফ্যামিলি বিয়ে না দিলেও গোপনে বিয়ে করে ফেলতে বলব? ঠিক কী সমাধান দেওয়া যায়, প্লিজ জানিয়েন

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ-
‘হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের ওপর যুলম করেছো তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল গুনাহ মাফ করবেন। তিনি ক্ষমাশীল দয়ালু।’ (সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৩)

এ আয়াতটি মহান পালনকর্তার অনুগত ও আজ্ঞাবহ তাওবাকারীদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا- 
‘যে গুনাহ করে কিংবা নিজের ওপর যুলম করে অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও করুণাময় পাবে।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমত ঐ বোন আল্লাহর কাছে কৃত গোনাহের জন্য তাওবাহ করবে। দ্বিতীয়ত আপনি এই নিয়তে তাকে সাপোর্ট বা সহযোগিতা করতে পারবেন যাতেকরে সে আবেগতারিত হয়ে ভুল কিছু করে না বসে।  আপনি তাকে এই পরামর্শ দিবেন, যাতে ঐ বোন ছেলেকে ছাপ প্রয়োগ করে যে, সে এখনই পারিবারিকভাবে মেয়ের পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। যদি পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে ছেলে অপারগতা প্রকাশ করে, তাহলে ছেলের সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বোনটি বন্ধ করে দিবে, এমন পরামর্শই বোনটিকে দিবেন। যেহেতু ভ্রূণের বয়সকাল সবেমাত্র শুরু হয়েছে, এখনো ৪ মাস হয়নি, তাই এ্যাবরেশন করানো যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...