আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম
মুহতারাম
আমার আম্মু আব্বু মারা যাওয়ার পর  ২য় বিয়ে করেছেন ২০২২সালের দিকে।

আমার বিয়ে হয়েছে ২০২৪সালে আলহামদুলিল্লাহ।

২মাস হয়েছে। এর মধ্যে আমার স্বামী আমাদের বাসায় সৎবাবা আসে যায় এটা টের পেয়েছে। এ নিয়ে আমাদের সম্পর্কে তার ধারণা হলো উপরে পরদানশীল হলেও পর্দার আড়ালে নোংরামি করে। উল্লেখ্য আমার বিয়ের সময় ঐ সৎবাবাকে চাচা/মামা পরিচয় দেয়া হয়েছে ।আর পাত্রকে আলাদাভাবে বলা হয়েছে যে যেকোনো সময় এই লোকের সাথে বিয়ে করে ফেলতে পারি।

তো স্বামীর এহেন মন্তব্য ধারণা আমার আত্মসম্মানে লাগে। আমি তাকে এইভাবে বলা শুরু করি ধরেন কোন নারী নিশ্চিত থাকেন জিনা এবং পর্দা সম্পর্কে ভালো ভাবে জানেন এবং মানেনও এবং তার বাসার নারী সদস্যরাও এ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে। বাসায় কঠোরভাবে পুরুষ নিষিদ্ধ বা পর্দা মেইনটেইন করা হয়।

কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল মহিলা কোন এক অচেনা পুরুষের সাথে কথা বলছে ফ্রিলি। একসাথে আসা যাওয়া করছে।

আপনি যদি তাদের কোন জায়গায় দেখেন নির্জনে সময় কাটাচ্ছে। ধরেন রেস্টুরেন্টে তাদের হাসাহাসি করে খাওয়া দাওয়া করতেই দেখলেন।

অথচ তাকে বা পরিবারের সদস্যরা এ সম্পর্কে নিশ্চুপ। বরং তাদেরকে জিনা-বেপর্দা নিয়ে বলতে গেলে বলবে নিশ্চিত থাকুন আমরা শরীয়তের বাইরে কিছু করছিনা। আমাদের জানা আছে। আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার ভয় আছে।


এ ক্ষেত্রে আপনার প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে?


১/ নির্ঘাত ব্যাভিচারী।মিথ্যুক।জিনায় লিপ্ত।

২/ বিবাহিত, ইনি তার বৈধ জীবনসঙ্গী। বরং বিয়ের বিষয়টিই আপনার অজানা।

তখন আমার স্বামী কোন উত্তর না দিয়ে আমাকে রাগ দেখায়। বলে যে ১মটা শরীয়ায় নিষেধ কিন্তু ২য় টা হলেও আরো বেশি কথা আসবে। এখানে যাচাই করে বুঝতে হবে। দলীলের বিরুদ্ধে দলীল আছে। ২য়টা হলেও এর বিরুদ্ধে রেফারেন্স আছে।

আমি এক পর্যায়ে বলে দেই আমার মা বিবাহিত । তো সে এটাতে অসন্তুষ্ট। তাকে কেন জানানো হয় নি। তার থেকে অনেক কিছু হাইড করা হয়েছে। তার শাশুড়ি প্রতারনা করেছেন। আমি বললাম যে  আপনার ফ্যামিলিতে দ্বীনের বুঝ নেই। তারা বিষয়টি মানতে পারতনা আর আপনাকে তো জানান হয়েছেই। এর মধ্যেই বিয়ে করে ফেলতে পারে। তাই করা হয়েছে। আর আমাদের জীবনে আমার মার বিয়ে তো প্রভাব ফেলবে না। এর পরেও তার খারাপ ধারণা আম্মুর প্রতি। সে বারবার বলবে গান কিভাবে একদল হালাল বলেছে সেই কথা। যেই দলীল দিয়ে একটা হারামকে হালাল বানানো যায়। আর সে বলবে তারা দলীল দিয়ে গুনাহকে জায়েয করে এরা গুনাহগারি রয়ে যায়। আর যারা বেদ্বীন তারা একসময় খুব ভালো হয়ে যাবে। আল্লাহর কাছে তওবা করে খাঁটি বান্দা হয়ে যায়।
এদিকে আম্মু কোনভাবেই বলতে না বলেছে যে তোমার বিয়ের আগে আমার বিয়ে হয়েছে। না হলে খারাপ ব্যবহার করবে,অনেক কথা শোনাবে। কিছু দিন সবর কর জামাই এর রাগ কমে যাবে। আমি তো তোমাদের ক্ষতি হতে দেইনি দিবোওনা।আর বিয়ে করে অন্যায় করিনি।ছোটবোনের বিয়ে হোক সবাই আস্তে আস্তে জানবে।
এখন আমার স্বামী আমাকে দোষ দিচ্ছে না। তবে আমার মাধ্যমে আমার মায়ের উপর রাগ ঝাড়ছে। আমি বলেছি এই কথা তার পরিবারে না জানাতে এখনি। কারণ তার পরিবারো চায়না আমার আম্মু আবার বিয়ে করুক। নানাভাবে ডিমোটিভেট করছে।


এখন আমার কথা হচ্ছে আমার স্বামীর সাথে আম্মু প্রতারণা করেছেন? আমার স্বামীর আমার আম্মু সম্পর্কে কেমন ধারণা রাখা শ্রেয়?

1 Answer

0 votes
by (588,780 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস কর্তৃক বর্ণিত,
عن عبد اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَتْرُكْ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا
 আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা তোমাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার মত তুলে নেবেন না। বরং ইলম-ওয়ালা (বিজ্ঞ) উলামা তুলে নিয়ে ইলম তুলে নেবেন। এমতাবস্থায় যখন কেবল জাহেলরা অবশিষ্ট থাকবে, তখন লোকেরা তাদেরকেই ফতোয়া জিজ্ঞাসা করবে। ফলে তারা নিজেদের রায় দ্বারা ফতোয়া দেবে, যাতে তারা নিজেরা ভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও ভ্রষ্ট করবে।(বুখারী ১০১, ৭৩০৭, মুসলিম ৬৯৭১.মিশকাত-১৫৭৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেউক। আমীন। যেভাবে আপনার মাযের জন্য বিয়েকে লোকানো উচিৎ হয়নি, ঠিক সেভাবে আপনার স্বামীর জন্য বিষয়টাকে এত বড় করে দেখােও কোনো প্রয়োজনিয়তা ছিলো না। সবাইকে আল্লাহ দ্বীনের সঠিক বুঝ ও সমজ দান করুক। আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...