আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কোনো মানুষ যদি কোনো গুনাহ করে এবং সেই গুনাহ কারো সামনে না বললে, গোপনে তওবা করলে আল্লাহ্ মাফ করে দেন। কিন্তু যখন কোনো মানুষ নিজেই নিজের গুনাহ বলে বেড়ায় তাকে আল্লাহ্ মাফ করেন না। এমন একটা হাদিস/ কুরআনের আয়াত আছে।
এখন এমন অবস্থায় যদি কেউ থাকে যে একজন মানুষ গুনাহ করলো। সে তার সেই গুনাহটা গোপন রাখলো এই হাদিসের উপর আমল করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমার আশা রাখলো। কিন্তু কিছু মানুষ সেই ব্যক্তির সাথে হিংসা বা শত্রুতা থেকে তার নামে ছড়ালো যে সে গুনাহ টা বা কাজটা করেছে। সবাইকে বলে বেড়ালো তাকে ছোট করলো, অপমান করল কোনো উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া। কিন্তু যেই ব্যক্তি গুনাহ করেছে সে সেটা স্বীকার করলনা এই ভেবে যে এদের কাছে স্বীকার করলে এরা আরো পেয়ে বসবে এবং সে এমন কোনো কাজ করেনি যেটাতে অন্য কারো হক নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি সবার কাছে স্বীকার করার দরুন তার গুনাহ মাফ না হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন মনে করে যে কিয়ামতের দিন তারাও তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে। সে কিন্তু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে যাচ্ছে পাশাপাশি।


আমার প্রশ্ন হলো এখানে প্রথম ব্যক্তি যে গুনাহ করে গোপন রাখতে চেয়েছে এবং দ্বিতীয় দলের ব্যক্তিদের যারা তার পিছনে শত্রুতা করে লেগে আছে তাদের ব্যাপারে আল্লাহর বিধান কি? প্রথম ব্যক্তিকে আল্লাহ্ কোন চোখে দেখবেন বা সে অস্বীকার করার দরুন তাকে কি শাস্তি পেতে হবে কিনা?

জাযাকাল্লাহু খায়রান

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/64538/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। (সহীহ বুখারী-৬০৬৯,সহীহ মুসলিম-২৯৯০)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906


গোনাহ করার পর তা কেউ জানুক বা না জানুক, সেই গোনাহকে লুকিয়ে রাখা জরুরী। এমন নয় যে, কিছু লোকের নিকট প্রকাশ হয়ে গেলে আপনিও ভিন্ন জনের নিকট প্রকাশ করে দিবেন। বরং সকল প্রকার গোনাহকে বান্দা লুকিয়ে রাখবে, এবং সকল প্রকার গোনাহই গোপন গোনাহের অন্তর্ভুক্ত । যদি বান্দা লুকিয়ে রাখে, তাহলে হয়তো আখেরাতেও আল্লাহ লুকিয়ে রেখে তাকে মাফ করে দিবেন।

আপনি উক্ত গোনাহ থেকে তাওবা করবেন এবং এটা যেনো গোপন থাকে এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে দুআও করতে পারেন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


শুধু সন্দেহের কারণে কাউকে গোনাহের অপবাদ দেওয়া জায়েজ হবে না। উপযুক্ত প্রমাণ লাগবে। দলীল-প্রমাণ ছাড়া কাউকে এমন অপবাদ দেওয়া যাবে না। তবে এটাও জায়েজ হবে না ও ঠিক হবে না যে, প্রতিদিন গোপনে গোনাহ করেই যেতে হবে। অর্থাৎ এই আশায় যে, কেউ তো আর দেখছে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...