আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
১.আসসালামু আলাইকুম। পিরিয়ডের তারিখ চলছিল কিন্তু কবে হবে সেটা নিশ্চিত ছিলাম না। অন্ধকারে সহবাস ১ বার করার পর, ২য় বার সহবাস(যৌনাঙ্গতে লিংগ প্রবেশ করেছিল) করতে করতে আলো জ্বালালে দেখি হায়েজ শুরু হয়েছে, তখনই বিরত হয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি ১ম বার ই হায়েজ অবস্থায় সহবাস হয়ে গেছে । তওবা করা ছাড়া আর কোন কিছু করতে হবে কি?

২.হায়েজ কবে ভালো হয় নির্দিষ্ট সময় নাই আমার কখনো তাড়াতাড়ি কখনো দেরিতে। হায়েজ বন্ধ ছিল অনেক ঘন্টা তাই ভেবেছিলাম ভালো হয়ে গেছে। তাই সহবাস করে ফেলি তবে পবিত্র হয়েছিলাম না। হায়েজ বন্ধ ছিল তাই ভালো হয়ে গেছে ভেবে সহবাস করি তারপর পবিত্র হয়। কিন্তু ৫-৬ ঘন্টা পর আবার খয়েরী রংয়ের স্রাব হয় মানে হায়েজ হয়। এখন কি করণীয়?
৩.হায়েজ অবস্থায় কেউ ইচ্ছা করে সহবাস করলে কি কাফফারা দিতে হয়? কাফফারা দেওয়ার সামর্থ না থাকলে কি করণীয়?
৪.হায়েজ অবস্থায় ইচ্ছাকৃত সহবাস করে কাফফারা না দিলে কি সহবাস করতে পারবে না?

৫.হায়েজ অবস্থায় সহবাস করলে কি বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হয় নাকি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হায়েজ অবস্থায় (পিরিয়ড চালাকালিন সময়)  স্ত্রী সহবাস করা হারাম।

পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

 হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এর দরুন মারাত্মক গুনাহ হয়েছে। লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে এর জন্য খালেস দিলে তওবা করতে হবে,এবং ভবিষ্যতে আর এহেন গুনাহ করবেনা মর্মে মহান আল্লাহর কাছে ওয়াদা বদ্ধ হতে হবে।

(০২)
হায়েজের সর্বোচ্চ সীমা ১০ দিনের মাথায় এসে যদি হায়েজ বন্ধ হয়,তাহলে গোসল ব্যাতিতই সহবাস জায়েজ আছে।
তবে সহবাস গোসল করার পরেই উত্তম।
আর যদি ইহার কম সময়ে হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে গোসল করার পর সহবাস জায়েজ আছে।
অথবা এতটুকু সময় অপেক্ষা করবে,যার মধ্যে গোসল করে কাপড় পরিধান করে নামাজ শুরু করতে পারে। বা হায়েজে শেষ হওয়ার পর  নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়,আর নামাজ তার যিম্মায় লাযেম তথা আবশ্যকীয় হয়ে যায়।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/২১১)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনার দোষ নেই। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।

(৩-৪)
হানাফি মাযহাব মোতাবেক এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
খালেস দিলে তওবা করাই যথেষ্ট। 

সুতরাং কাফফারা আদায় না করলেও স্ত্রী হালালই থাকবে। সহবাস হালাল হবে।

(০৫)
হায়েজ অবস্থায় সহবাস করলে বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...