ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/30110/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে
ভালবাস,
তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন।
আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান-৩১)
আল্লাহ বলছেন, যে উনাকে পেতে হলে,উনাকে কেউ মহব্বত করলে,রাসূল সাঃ এর
অনুসরণ করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ
বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে
তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত। (সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1037
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
১. তাসাউফের প্রসিদ্ধ চার তরীকা হলোঃ-
ক. কাদেরিয়া। এ তরীকা হযরত শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রহঃ এর
দিকে নিসবত করে বলা হয়। [৪৭০-৫৬১হি]
খ. চিশতিয়া। এ তরীকা হযরত শায়েখ মুঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ এর দিকে
নিসবত করা। [৫২৭-৬৩৩হিঃ]
গ. সোহরাওয়ারদিয়া। এ তরীকা হযরত শায়েখ শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী
রহঃ এর দিকে নিসবত করে বলা হয়। [৫৩৯-৬৩২]
ঘ. নকশবন্দিয়া। এ তরীকা হযরত শায়েখ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী রহঃ
এর দিকে নিসবত করা। [৭১৮-৭৯১}
(সংগৃহীত)
আরো
বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/33940/
২. মারেফাত অর্থ হল, আল্লাহর পরিচিতি লাভ করা। আল্লাহর নৈকট্যতা অর্জনের চেষ্টা করা।
মারেফতের পৃথক কোনো স্থান ইসলামে নেই, পরিপূর্ণ মুসলমান হলে, মা'রিফাত তথা আল্লাহ ও তার গুণাবলির পরিচয় এমনিতেই অন্তরে ঢুকে
যাবে। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/103576/
৩. হাকিকত শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো প্রকৃত অবস্থা। কিন্তু এর
নিগূঢ় অর্থ বোঝায়,
আল্লাহর প্রত্যেকটি সৃষ্টির হাকিকত বা প্রকৃত অবস্থা যিনি জানতে
সক্ষম হয়েছে এমন ব্যক্তিকে বলা হয় হাকিকত পন্থী বা হাকিকতের মর্যাদার স্তরে উন্নীত
হয়েছেন। (সংগৃহীত)
৪. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি মেয়ের বাবা ও মাকে বুঝিয়ে দিতে
পারেন। আর অন্য কোনো মাধ্যমে মেয়েকে বিষয়টি জানিয়ে দিলেই হবে। কারণ, এখন সরাসরি
মেয়ের সাথে আপনি কথা বলতে গেলে ফিতনার কারণ হতে পারে।