ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ছুটে যাওয়া নামায সমূহের মধ্যে শুধুমাত্র ফরয এবং বিতির নামাযের কাযা করতে হবে।সুন্নতের কাযা করা জরুরী না।তবে কেউ করে নিলে সমস্যা নেই।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৩৯৮)
আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ আদ্দুর্রুল মুখতার(২/৬৫) গ্রন্থে লিখেন,
وَالْقَضَاءُ فِعْلُ الْوَاجِبِ بَعْدَ وَقْتِهِ، وَإِطْلَاقُهُ عَلَى غَيْرِ الْوَاجِبِ كَاَلَّتِي قَبْلَ الظُّهْرِ مَجَازٌ
কা'যা শুধুমাত্র ওয়াজিব ফরযেরই হয়ে থাকে।ওয়াজিব ব্যতীত অন্য নামাযের ব্যাপারে (যেমন জোহরের কাবলিয়্যাহ সুন্নতকে পরে পড়া) কে রূপক অর্থে কা'যা বলা হয়।
অতঃপর তিনি লিখেন(২/৬৬)
(وَقَضَاءُ الْفَرْضِ وَالْوَاجِب ِوَالسُّنَّةِ فَرْضٌ وَوَاجِبٌ وَسُنَّةٌ) لَفٌّ وَنَشْرٌ مُرَتَّبٌ،
ফরযের কাযা ফরযই হবে,ওয়াজিবের কা'যাই ওয়াজিবই হবে এবং সুন্নতের কা'যা সুন্নতই হবে।
উনার ইবারতের ব্যখ্যায় আল্লামা শামী রাহ লিখেন,
وفي ردالمحتار تحت قوله (وسُنَّةٌ) والسنة يوهم العموم كالفرض والواجب وليس كذلك،
ইবারতে সুন্নত দ্বারা সকল সুন্নত উদ্দেশ্য নয়।বরং ঐ সুন্নত উদ্দেশ্য যা ওয়াক্তের ভিতরেই আদায় করা যায়।যেমন জোহরের সুন্নতে কাবলিয়্যাহ-কে ফরযের পরে পড়া।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1332
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাগরিবের সুন্নাত ও নফলকে পরবর্তীতে যেকোনো সময় কাযা হিসেবে পড়া যাবে না।তবে পড়া জরুরী নয়।