বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/64538/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ
سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ
ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ
ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ
ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে
শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী
ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন।
কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায়
রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে
উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। (সহীহ বুখারী-৬০৬৯,সহীহ
মুসলিম-২৯৯০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906
গোনাহ করার পর তা কেউ জানুক বা না জানুক, সেই গোনাহকে
লুকিয়ে রাখা জরুরী। এমন নয় যে,
কিছু লোকের নিকট প্রকাশ হয়ে গেলে আপনিও ভিন্ন জনের নিকট
প্রকাশ করে দিবেন। বরং সকল প্রকার গোনাহকে বান্দা লুকিয়ে রাখবে, এবং সকল
প্রকার গোনাহই গোপন গোনাহের অন্তর্ভুক্ত । যদি বান্দা লুকিয়ে রাখে, তাহলে হয়তো
আখেরাতেও আল্লাহ লুকিয়ে রেখে তাকে মাফ করে দিবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সচেতনামূলক কথাবার্তাগুলো বলা যেতে পারে। অন্যায়-অশ্লীল বন্ধে
পদক্ষেপগুলো বলা যেতে পারে। হুবহু গুনাহের ঘটনা বলা যাবে না।