আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ,

আমার ছোট ভাই একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে ২য় বর্ষে পড়াশোনা করেছে, এই অবস্থায় তার টিউশন খরচ দিতে ফ্যামিলির চাপ হয়ে যায়।
তখন সে চিন্তা করে নিজে আত্মনির্ভরশীল হবে, ভার্সিটির সামনে ২ বন্ধু মিলে অনেক কষ্টে টাকা ম্যানেজ করে ফুড কার্টের মাধ্যমে খাবারের বিজনেস শুরু করে। সেখান নতুন একজন শেফ নিয়োগ করা হয়। দোকানের পাশেই শেফের থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়।
১/২ দিন দোকান চালানোর পর ই বৈষম্য বিরোধী ছাএ আন্দোলনের সময় সরকার কারফিউ জারি থাকার কারণে, দোকান খুলতে পারে না। তখন শেফ কল করে ভাড়ার টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে যাই। আর যাওয়ার সময় দোকানের বড় বড় ২ টা চুলা, ছুরি, চামচ সহ অনেক জিনিস চুরি করে নিয়ে যাই। আনুমানিক ১০-১৫ হাজার টাকার কম-বেশি হবে হয়তো সব মিলে, কিন্তু শিউর কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা আজানা। কারণ দোকানসহ জিনিসপএ একসাথে কেনা প্রায় ১ লক্ষ টাকা।

সপ্তাহ খানিক পর যখন দোকান খুলতে যাবে তখন এই কাহিনি জানতে পারে আমার ভাই। তখন সে হতাশ হয়ে পরে, তখন এইসবের কারণে দোকান খোলা পসিবল হয় না, এভাবে ১/২ মাস চলে যাই, ঘর ভাড়া দিতে হয়, আরেকটা নতুন শেফ খুজতে খুজতে ব্যবসার অনেক লস হয়ে যায়।

তখন সেই চুরি করা শেফের নামে থানায় অভিযোগ করা হয় ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে চলে গিয়েছে এমন কিছু।

শেফের খোঁজ পেয়ে তাকে ধরা হয়, তাকে জিজ্ঞেসা করা হয়, কিছু মারাও হয়, এবং ফ্যামিলির থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আমাদের ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে জানা নেই, কিছৃটা হলেও কম হওয়ার সম্ভবনা বেশি, কিন্তু চুরি করা শেফের নিকট থেকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। এখন আমার প্রশ্ন এই ৪৫ হাজার টাকা কি আমাদের জন্য হালাল বা ভক্ষণ করা জায়েজ হবে? কাল কিয়ামতের ময়দানে কি আল্লাহ তাআলা এই অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য পাকড়াও করবেন?

জাযাকাল্লাহু খইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি প্রথমে বললেন,
"আনুমানিক ১০-১৫ হাজার টাকার কম-বেশি হবে হয়তো সব মিলে''

তাই অতিরিক্ত তার কাছ থেকে নেওয়া জায়েয হবে না। অতিরিক্ত টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...