আসসালামু আলাইকুম শাইখ,
আমার ছোট ভাই একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে ২য় বর্ষে পড়াশোনা করেছে, এই অবস্থায় তার টিউশন খরচ দিতে ফ্যামিলির চাপ হয়ে যায়।
তখন সে চিন্তা করে নিজে আত্মনির্ভরশীল হবে, ভার্সিটির সামনে ২ বন্ধু মিলে অনেক কষ্টে টাকা ম্যানেজ করে ফুড কার্টের মাধ্যমে খাবারের বিজনেস শুরু করে। সেখান নতুন একজন শেফ নিয়োগ করা হয়। দোকানের পাশেই শেফের থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়।
১/২ দিন দোকান চালানোর পর ই বৈষম্য বিরোধী ছাএ আন্দোলনের সময় সরকার কারফিউ জারি থাকার কারণে, দোকান খুলতে পারে না। তখন শেফ কল করে ভাড়ার টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে যাই। আর যাওয়ার সময় দোকানের বড় বড় ২ টা চুলা, ছুরি, চামচ সহ অনেক জিনিস চুরি করে নিয়ে যাই। আনুমানিক ১০-১৫ হাজার টাকার কম-বেশি হবে হয়তো সব মিলে, কিন্তু শিউর কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা আজানা। কারণ দোকানসহ জিনিসপএ একসাথে কেনা প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
সপ্তাহ খানিক পর যখন দোকান খুলতে যাবে তখন এই কাহিনি জানতে পারে আমার ভাই। তখন সে হতাশ হয়ে পরে, তখন এইসবের কারণে দোকান খোলা পসিবল হয় না, এভাবে ১/২ মাস চলে যাই, ঘর ভাড়া দিতে হয়, আরেকটা নতুন শেফ খুজতে খুজতে ব্যবসার অনেক লস হয়ে যায়।
তখন সেই চুরি করা শেফের নামে থানায় অভিযোগ করা হয় ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে চলে গিয়েছে এমন কিছু।
শেফের খোঁজ পেয়ে তাকে ধরা হয়, তাকে জিজ্ঞেসা করা হয়, কিছু মারাও হয়, এবং ফ্যামিলির থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আমাদের ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে জানা নেই, কিছৃটা হলেও কম হওয়ার সম্ভবনা বেশি, কিন্তু চুরি করা শেফের নিকট থেকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। এখন আমার প্রশ্ন এই ৪৫ হাজার টাকা কি আমাদের জন্য হালাল বা ভক্ষণ করা জায়েজ হবে? কাল কিয়ামতের ময়দানে কি আল্লাহ তাআলা এই অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য পাকড়াও করবেন?
জাযাকাল্লাহু খইরান।