ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
মানসিকতা ও
স্বভাবের উপরও নামের একটা প্রভাব থাকে।
أَخْبَرَنِي
عَبْدُ الحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، قَالَ: جَلَسْتُ إِلَى سَعِيدِ
بْنِ المُسَيِّبِ، فَحَدّثَنِي: أَنّ جَدّهُ حَزْنًا قَدِمَ عَلَى النّبِيِّ صَلّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فَقَالَ: مَا اسْمُكَ؟ قَالَ: اسْمِي حَزْنٌ، قَالَ: بَلْ
أَنْتَ سَهْلٌ. قَالَ: مَا أَنَا بِمُغَيِّرٍ اسْمًا سَمّانِيهِ أَبِي قَالَ ابْنُ
المُسَيِّبِ: فَمَا زَالَتْ فِينَا الحُزُونَةُ بَعْدُ.
আবদুল হুমাইদ
বিন শায়বা বলেন, আমি হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিবের কাছে বসা ছিলাম। তিনি তখন বললেন,
আমার দাদা ‘হাযান’ একবার নবীজীর দরবারে
উপস্থিত হলেন। নবীজী তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? দাদা বললেন, আমার নাম হাযান। (হাযান অর্থ শক্তভূমি) নবীজী বললেন-
না, তুমি হচ্ছ ‘সাহল’ (অর্থাৎ তোমার নাম হাযানের পরিবর্তে সাহল রাখো;
সাহল অর্থ,
নরম জমিন।) দাদা বললেন,
আমার বাবা আমার যে নাম রেখেছেন আমি
তা পরিবর্তন করব না। সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব বলেন, এর ফল এই হল যে, এরপর থেকে আমাদের বংশের লোকদের মেযাজে রুঢ়তা ও কর্কশভাব
রয়ে গেল। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬১৯৩
কারো নাম অসুন্দর
হলে নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পরিবর্তন করে সুন্দর নাম রাখতেন। হাদীস
শরীফে এ ধরনের অনেক ঘটনা বর্ণিত আছে। উদাহরণ স্বরূপ নিম্নে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা
হল-
মুহাম্মাদ
ইবনে আমর ইবনে আতা বলেন, আমি আমার মেয়ের নাম রাখলাম- বাররা (নেককার, ভালো মানুষ)। তখন যয়নব বিনতে আবি সালামা বললেন-
سُمِّيتُ
بَرّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: لَا تُزَكّوا
أَنْفُسَكُمْ، اللهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ فَقَالُوا: بِمَ
نُسَمِّيهَا؟ قَالَ: سَمّوهَا زَيْنَبَ.
আমার নাম ছিল,
বাররা। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা নিজেরা নিজেদের পবিত্রতা ঘোষণা কোরো না। (কারণ,
বাররা অর্থ,
ভালো,
নেককার,
পূত-পবিত্র) আল্লাহই জানেন তোমাদের
মধ্যে ভালো ও পূত-পবিত্র কারা। জিজ্ঞেস করা হল, তাহলে আমরা তার কী নাম রাখতে পারি?
তখন নবীজী বললেন,
তার নাম যয়নাব রাখ। (নবীজীর আদেশে
তখন বাররা নাম পরিবর্তন করে তার নাম যয়নাব রাখা হল।) -সহীহ মুসলিম,
হাদীস ২১৪২
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে “সুরাইয়া তানজীম” নাম রাখা জায়েয আছে। এতে কোন সমস্যা নেই, নাম পরিবর্তন
করতে হবে না। আল্লাহ তায়ালা চাহে তো আপনার নামের প্রভাব আপনার ব্যক্তিত্বের মধ্যে
পড়বে। আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দান করলে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত হয়ে চলা আপনার জন্য
অনেকাংশে সহজ হবে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য উচিত দোয়া করা, আল্লাহ যেন আপনাকে গুনাহ
থেকে হেফাজত করেন। সঠিক পথে পরিচালিত করেন।