ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
https://ifatwa.info/81847/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
ব্যাংকে চাকুরীজীবীরা
সাধারণতঃ সুদী কারবারের সাথে জড়িত। আর সুদের সাথে জড়িত ব্যক্তির সাথে আত্মীয় করা থেকে
প্রতিটি মুমিনেরই বিরত থাকা উচিত।
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ، إِلاَّ
تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ، وَفَسَادٌ عَرِيضٌ
হযরত আবূ হুরায়রা
রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
যখন তোমাদের কাছে এমন লোক বিবাহের
প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমরা পছন্দ কর, তখন বিবাহ দিয়ে দাও [মাল-সম্পদের দিকে লক্ষ্য করো
না]। যদি তা না কর তবে দেশে ফিতনা ও ব্যাপক ফাসাদ দেখা দেবে। [সুনানে তিরমিজী,
হাদীস নং-১০৮৪,
সুনানে ইবনে মাজাহ,
হাদীস নং-১৯৬৭]
সুদী প্রতিষ্ঠানের
কোন কোন সেক্টরে চাকুরী জায়েজ নেই, বিস্তারিত
জানুনঃ-
https://ifatwa.info/9621/
https://www.ifatwa.info/72970/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ
রয়েছেঃ-
স্বামীর ইনকাম
হারাম হলে, স্বামীর ইনকাম থেকে আপনি শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্তই গ্রহণ করতে পারবেন।এরচেয়ে অতিরিক্ত
কিছু গ্রহণ করা যাবে। সুতরাং ব্যাংকার পাত্রকে বিয়ে করলে শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্তই
গ্রহণ করতে পারবেন। অতিরিক্ত কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।
স্ত্রীর ভরণপোষণের
দায়িত্ব স্বামীর।সে যেখান থেকেই ভরণপোষণ সংগ্রহ করুক,সেটা স্ত্রী গ্রহন করতে পারবে,এতে হারাম মাল হলে গুনাহ শুধুমাত্র স্বামীরই হবে।
স্ত্রীর নয়।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/14665/
সুদী কারবারে
জড়িত সকল প্রকার চাকুরী হারাম। আর হারাম মাল দ্বারা ভালো কিছু আশা করা যায়না। প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু পাত্র ইসলামী ব্যাংকে জব করে, তাই তার জন্য পাত্রীর সন্ধান করে দিলে যদিও তার গুনাহ
হবেনা। তবে এক্ষেত্রে তার জন্য পাত্রীর সন্ধান না দেয়ারই পরামর্শ থাকবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি নিশ্চিত না হোন যে, উক্ত টাকা হারাম ইনকাম
থেকে আসছে তাহলে আপনার জন্য উক্ত টাকা হাদিয়া হিসেবে গ্রহণ করা এবং তা ব্যবহার করা
জায়েয আছে। এতে কোন সমস্যা নেই।