বিতর নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।
দোয়ায়ে কুনুত না পড়লে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
দুআয়ে কুনুত হল,
اللهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ , وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَنَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي , وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
শরহু মাআনিল আছার, হাদীস নং-১৪৭৫।
কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দোয়া করা।
হাদীসে উল্লেখিত দোয়া পড়বে বা কোনো দোয়া মূলক আয়াত পাঠ করতে হবে।
তাই যেসব আয়াতে দোয়া আছে সেসব আয়াত পড়া ও সেগুলো দিয়ে কুনুত করা জায়েয হবে। যেমন ধরুন আল্লাহ তাআলার বাণী:
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ [آل عمران: 8]
(অনুবাদ:হে আমাদের রব্ব! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।)[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮]
অথবা পড়বে
ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة و قنا غذاب النار"
অথবা তিনবার পড়বে।
" اللّهم اغفرلنا"
وليس في القنوت دعاء مؤقت. كذا في التبيين والأولى أن يقرأ " اللهم إنا نستعينك " ويقرأ بعده " اللهم اهدنا فيمن هديت " ومن لم يحسن القنوت يقول: {ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار} [البقرة: ٢٠١] .كذا في المحيط أو يقول: اللهم اغفر لنا ويكرر ذلك ثلاثا وهو اختيار أبي الليث. كذا في السراجية.
সারমর্মঃ-
দোয়ায়ে কুনুতের স্থানে কোনো দোয়া নির্দিষ্ট নেই। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা,,,পড়া উত্তম। যে এটি ভালো ভাবে পড়তে পারেনা সে পড়বে
ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة و قنا غذاب النار"
অথবা তিনবার পড়বে।
" اللّهم اغفرلنا"
দুয়া কুনুত এর পরিবর্তে তিনবার সুরা ইখলাস পড়লেও নামাজ হবে।
(০২)
উক্ত স্থান ধুয়ে অযু করে নামাজ আদায় করতে হবে।
(০৩)
তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।
(০৪)
হ্যাঁ, সাক্ষী হতে পারবে।
অনেকের মতে তারা গোমরাহিতে লিপ্ত।
তবে কেহ কেহ তাদের এই আকীদাকে শুদ্ধ বলে মনে করেন।