আসসালামু আলাইকুম। দয়া করে দ্রুত উত্তর দিবেন প্লিজ। আমাদের বিয়ের বয়স ৭ বছর, ৮ মাসের একটা বাচ্চা আছে। বিয়ের পর দিন থেকে হাজব্যান্ডের সাথে কারন ছাড়াই রাগারাগি, ঝামেলা হতো।কথায় কথায় কারন ছাড়াই তালাক চাইতাম। এখন এসব ভাবলে অবাক হই, কীভাবে আমি তার সাথে এমন আচরণ করছি। আমাদের অজান্তেই ২ তালাক হয়ে গেছে। আমার সন্দেহ হয় কেউ আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য কিছু করেছে। আমার হাজব্যান্ড আমাকে আর ভালোবাসে না, আরেকটা বিয়ে করার জন্য পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেছে।
১ সপ্তাহ আগে ঢাকা গিয়েছিলাম রুকইয়াহ করার জন্য, কিন্তু তারা বলে জ্বীনের সমস্যা, অথচ আমার জ্বীনের কোনো সমস্যা নেই।রুকইয়াহ করে কোনো লাভ হয়নি।বিচ্ছেদের সবগুলো লক্ষন মিলে যায়।তারা বলছে এগুলো আমার মনের ধারণা।
ফেসবুকে একটা পেইজ দেখলাম, যেখানে তারা বলছে ১০০% কুরআনিক চিকিৎসা করে। আমি আমার সমস্যার কথা বলি। তারা বলে কুরআন দিয়ে চিকিৎসা করবে, আমাকে কোনো আমল করতে হবে না। আমাদের বাবা- মায়ের নাম, আমাদের ছবি দিতে হবে। ৭, ১৪, বা ২১ দিনের মধ্যেই কাজ হবে। তারা কুরিয়ার করে কিছু পাঠাবে সেটা আমাকে প্রতিদিন পুড়তে হবে।যদি কেউ তাবিজ, বান মেরে থাকে তা তারা নষ্ট করবে।
অনেক রিভিউ দেখলাম অনেকেই উপকৃত হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কুরআনিক চিকিৎসা করবেন নাকি এটা এক ধরনের যাদু হবে। বলেছে কুরআনিক চিকিৎসা। এখন আমার কী করা উচিত। আমি কী তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে পারবো।