আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। দয়া করে দ্রুত উত্তর দিবেন প্লিজ। আমাদের বিয়ের বয়স ৭ বছর, ৮ মাসের একটা বাচ্চা আছে। বিয়ের পর দিন থেকে হাজব্যান্ডের সাথে কারন ছাড়াই রাগারাগি, ঝামেলা হতো।কথায় কথায় কারন ছাড়াই তালাক চাইতাম। এখন এসব ভাবলে অবাক হই, কীভাবে আমি তার সাথে এমন আচরণ করছি। আমাদের অজান্তেই ২ তালাক হয়ে গেছে। আমার সন্দেহ হয় কেউ আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য কিছু করেছে। আমার হাজব্যান্ড আমাকে আর ভালোবাসে না, আরেকটা বিয়ে করার জন্য পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেছে।
১ সপ্তাহ আগে ঢাকা গিয়েছিলাম রুকইয়াহ করার জন্য, কিন্তু তারা বলে জ্বীনের সমস্যা, অথচ আমার জ্বীনের কোনো সমস্যা নেই।রুকইয়াহ করে কোনো লাভ হয়নি।বিচ্ছেদের সবগুলো লক্ষন মিলে যায়।তারা বলছে এগুলো আমার মনের ধারণা।
ফেসবুকে একটা পেইজ দেখলাম, যেখানে তারা বলছে ১০০% কুরআনিক চিকিৎসা করে। আমি আমার সমস্যার কথা বলি। তারা বলে কুরআন দিয়ে চিকিৎসা করবে, আমাকে কোনো আমল করতে হবে না। আমাদের বাবা- মায়ের নাম, আমাদের ছবি দিতে হবে। ৭, ১৪, বা ২১ দিনের মধ্যেই কাজ হবে। তারা কুরিয়ার করে কিছু পাঠাবে সেটা আমাকে প্রতিদিন পুড়তে হবে।যদি কেউ তাবিজ, বান মেরে থাকে তা তারা নষ্ট করবে।

অনেক রিভিউ দেখলাম অনেকেই উপকৃত হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কুরআনিক চিকিৎসা করবেন নাকি এটা এক ধরনের যাদু হবে। বলেছে কুরআনিক চিকিৎসা। এখন আমার কী করা উচিত। আমি কী তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে পারবো।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন-

সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে তাবিজ ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু প্রশ্নের বিবরণমতে বুঝা যাচ্ছে, ওখানে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা তাবিজ দেওয়া হবে না।বরং হয়তো কুফরি কালামও ব্যবহৃত হতে পারে।  তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হল, এই প্রকারের তাবিজ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1205


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...