আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
edited by
আমার একটা বদ অব্যাস টয়লেট করতে গেলেও মোবাইল নিয়ে চলে যাই। তো টয়লেট শেষে মনে হলো বদনাতে নাপাক লাগছে তো আমি বদনা টা পাক করি একটা মগ দিয়ে। তখন শরীরে চিটকা লাগে নাপাক পানির। চিন্তা করি একে বারে গোসল করে নি তাহলে সন্দেহ থেকে বাচবো। যেহেতু নাপাক হাত দিয়ে মগ ও ঝরনার টেপ দরা লাগছে তাই সেগুলোও নাপাক হয়ে গেছে। তাই আগে মগটা ধৌত করলাম ঝরনার পানিতে এরপর টেপ টা ধৌত করলাম। এবং গোসল শেষ করলাম। গোসল শেষ করে দেখি মোবাইল যেহেতু একপাশে রাখছি তাই মোবাইলে পানির চিটা দেখি যা বালুর কনা সমপরিমাণ পানির চিটা হবে খুবই কম ২ ফোটা। একদিরহাম তো মোটেও হবে না।

কথা হলো এই যে পানির চিটা দেখলাম এটা যে প্রসাব না এটা তো শিউর। তবে এই পানি কি নাপাক মগ বা নাপাক টেপ ধৌত করার সময় পানির চিটা লাগছে এটা তো শিউর না। নাকি গোসল করার সময় নাপাক শরীর থেকে চিটা লাগছে তাও শিউর না। এখন এই মোবাইল কি পাক নাকি নাপাক ধরবো।

আমার মনে হয় নাপাক হবার কথা না কারন দৃশ্য মান কোন নাপাক না সরাসরি। আর শয়েখ আহমাদুল্লহ বললো নাপাক কাপড় ধৌয়ার সময় শরীরে পানির  চিটা লাগলে সমস্যা নাই যদি দৃশ্যতে নাপাক লেগেছে এটা দেখ না যায়। সে হিসেবে তো মোবাইল ও পাক থাকার কথা।

২/ যদি কথার কথা মোবাইল নাপাক হয়। এরপর যাই ধরছি  সব নাপাক হবে কিনা। কারন গোসলের পর ভিজা শরীর ও ভিজা হাতে প্রথমে মোবাইল ধরছি তারপর শরীরে যেহেতু ভিজা লুংগি ছিলো সেটা না ধুয়ে সরাসরি চিবিয়ে শুকাতে দিছি। তারপর সেই ভিজা হাতে শুকনা লুংগি দিয়ে শরীর মুচলাম। এই সব গুলাতে কি নাপাক লাগছে। আর যদি লেগেও থাকে একদিরহাম কি লাগছে। কারন একদিরহাম এর কম নাপাক থাকলে তো নামাজ পড়া যাবে। আমার তো মনে হয় একদিরহাম নাপাক লাগে নাই। (যেই ভিজা লুংগিটা না ধুয়ে শুকাতে দিলাম এবং যেটা দিয়ে শরীর মুচলাম পরবর্তীতে সেগুলা  দিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হবে?)

1 Answer

0 votes
by (58,350 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।


এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।


রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)


ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১-২. জ্বী, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বদনা, মগ, মোবাইল পাক থাকবে যতক্ষন তাতে দৃশ্যমান নাপাকি দেখা না যাবে। সুতরাং শুধু সন্দেহের কারণে এভাবে সবগুলো ধৌতকরা ও গোসল করা ঠিক হবে না। কারণ, সুঁইয়ের মাথার মতো নাপাকির ছিটা মাফ। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আচ্ছা ধরেন একদিরহাম এর কম নাপাক কাপড় বা শরীরে লাগলে তো  লাগলে তো নামাজ হয়ে যাবে। কিন্তুু ঐ অবস্থাতে কি ভিজা হাত ঐখানে লাগলে এবং ঐখান থেকে কি অন্যসব জায়গায় দৈনিক কাজ করতে মোবাইল, আসবাবপত্র যাতেই হাত দিবো সব নাপাক হবে কিনা।  নাপাক তো হবার কথা না কারন দৃশ্যমান তো কিছু লাগে নাই। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...