আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
78 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। আমার বর্তমান বয়স ২৬ বছর। ২ বছর ধরে আমার জন্য পাত্র দেখছে, প্রায় ২০/২৫ টা পাত্রপক্ষকে বায়োডাটা দেখানো হয়েছে। প্রতিবারই আমি বা আমার মা ইস্তেখারা করেছে এরপর অধিকাংশ পাত্রপক্ষ আমার বিষয়ে আগ্রহী হয়না,  যারা আগ্রহী হয় আমার তাদের প্রতি মন টানেনা বরং আমার অনেক বেশি টেনশন হয়ে অসুস্থ হয়ে পরি, কিন্তু কয়েকটা পাত্রের বিষয়ে আমার পছন্দ হয়েছিল কিন্তু তারা বিয়ের বিষয়ে আগায়নি। আমার আশেপাশের অনেক বিবাহেরসম্পর্ক দেখে আমার বিবাহ ভীতি আছে কিন্তু গত এক বছর বিয়েকে সহজ ভাবে নিবার জন্য আমি অনেক ভাবে মানসিক প্রত্তুতি নিয়েছি। গত বছর ডিসেম্বরে উস্তাযের শেখানো দ্রুত বিয়ের আমল করছি কিন্তু কিছুদিন পর ভুলেগেলে আবার শুরু থেকে করছি এছাড়াও আরো কিছু আমল করেছি নানা সময়। এখন দিন দিন আমার বিয়ের প্রতি প্রচন্ড অনিহা তৈরি হচ্ছে আর মানসিক যন্ত্রণা হচ্ছে। এই অবস্থায় আমার কি কি আমল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন? আমার কি মানসিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

এই মাসে আমাকে এক পাত্র পক্ষ দেখতে আসে, কিন্তু তারা ছেলে, ছেলের বাবা মা, ঘটক এবং আমার বাবার সামনে বসিয়ে নানারকম প্রশ্ন ও বায়োডাটা লিখতে দেয়। আমি হিজাব ও বোরকা পড়ি কিন্তু মুখ খোলা রাখি। তারা আমার চুল দেখতে চেয়েছিল পরে ছেলের মা কে হিজাব খুলে আলাদা রুমে দেখিয়েছিলাম। ছেলের সাথে কথা হবার পর বুঝি তিনি প্যাক্টিসিং না এবং আমার তার প্রতি তেমন মন টানেনি। তাই আমার পরিবারকে বলার পর তারা আমাকে দোষারোপ করে এবং বেশি বেছে বিয়ে করতে মানা করে, বেশি বয়স হলে বিয়ে হবেনা তাই কোনো পাত্রপক্ষ আগ্রহ দেখালে বিয়ে করে ফেলা উচিত বলে বুঝায়। এই ঘটনার পর আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছি, খুবই হীনমন্যতায় ভুগছি এবং বিয়ে প্রতি আগ্রহ খুবই কমে গিয়েছে। আমি জানি দ্বীনদার ও কুফু মেনে বিয়ে করা উত্তম, এমন পাত্র পাবার জন্য কি করতে পারি? আমাকে দেখতে আসলে এমন পরিস্থিতিতে কি করা উচিত? বিবাহ ভীতি কাটানোর কি কোনো উপায় আছে?

1 Answer

0 votes
by (588,750 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে (تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)} (সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে https://www.ifatwa.info/780


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীনদার ও কুফু মেনে বিয়ে করাই উত্তম ও উচিৎ, এমন পাত্র পাবার জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন। তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে চাইবেন। প্রশ্নে উল্লেখিত পাত্র যদি আপনাকে দ্বীন পালনে বাধা না দেয়, তাহলে এমন পাত্রের সাথেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে নিষেধ নয়। সর্বোপরি দু'আ করি, আল্লাহ যেন কল্যাণের ফয়সালা করেন।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...