আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

১. বর্তমান প্রচলিত ট্রেডিং এটা কী হালাল না হারাম?

২. আমি  9-10 এ প্রায়ই একটু সময় নষ্ট করতাম, তো তখন যেহেতু আমার মধ্যে অনেক আগ্রহ কাজ করত মেডিকেল এ চান্স পাওয়া নিয়ে তাই আমি যাতে ইন্টার এ সময় নষ্ট না করি আর অনেক বেশি পড়াশোনা করি সেজন্য আল্লাহর কাছে ওয়াদা করছিলাম (আমি জানিনা যে আল্লাহর কাছে ওয়াদা করা যায় কিনা)যে " আল্লাহ আমি তোমার কাছে ওয়াদা করলাম ইন্টার এ আমি সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি ঘুমাব না, অনেক বেশি পড়ব সময় নষ্ট করব না " এরকম ওয়াদা করছিলা। এই অবস্থা থেকে কিভাবে আমি বের হতে পারব, আর আমার গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে কিভাবে মাফ চাইব আর ওয়াদা ভংগের কারণে কি আমাকে কাফফারা দিতে হবে?

৩.

উখতি,আমার দাদী নাকি অনেকদিন আগে একবার স্বপ্নে দেখেছিলেন যে সাদা পর্দাঘেরা জায়গা সেখান দিয়ে সাদা কাপড় পড়ে সারা শরীর ঢাকা মুখ খোলা ছিলো শুধু এমন একজন হেঁটে যাচ্ছে আর উনি পিছন পিছন হেঁটে যাচ্ছেন। তারপর পিছন দিকে ঘুরে বলেন যে আমি মুহাম্মাদ। ﷺ

এটা দেখার পর ঘুম ভেঙে যায়।

এখন উনি জানতে চাচ্ছেন সত্যিই কি রসূল ﷺ কে উনি দেখেছিলেন কীনা।

৪. মৃতের জন্য কাযা সলাত আদায় করা যাবে কিনা

৫. একটা বিষয়ে জানার ছিলো,,,

আমার বাবা প্রায় সময় মদ পান করে,

এ ক্ষেত্রে আমরা সন্তানরা কোন রকম শাস্তি দিতে পারি কিনা??? আমার বাবা আমাকে এ বিষয়ে ভয় পায় এজন্য বলছি। আমি প্রতিনিয়ত দোয়া করছি, তাছাড়া আমার হাতে তাকে শায়েস্তা করার মতো কোন কিছু এমন আছে কিনা আমাকে একটু বলে উপকৃত করবেন ইনশা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)বর্তমান প্রচলিত ট্রেডিং এর অধিকাংশই হারাম।  

(২)
উনি যেহেতু আল্লাহর নাম উল্লেখ করে কসম করেননি, তাই এখন এটা পালন করতে না পারলে কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

(৩)
জ্বী, উনার স্বপ্ন সত্যিই।


(৪)
ইবনে নুজাইম রাহ এপিট-ওপিট আলোচনা করে আরও বলেনঃ-
ﻭﺃﻣﺎ ﻗﻮﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ : } ﻻ ﻳﺼﻮﻡ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ ، ﻭﻻ ﻳﺼﻠﻲ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ { ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻬﺪﺓ ﻻ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻓﺈﻥ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺃﻭ ﺻﻠﻰ ﺃﻭ ﺗﺼﺪﻕ ﻭﺟﻌﻞ ﺛﻮﺍﺑﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺍﺕ ﻭﺍﻷﺣﻴﺎﺀ ﺟﺎﺯ ﻭﻳﺼﻞ ﺛﻮﺍﺑﻬﺎ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺪﺍﺋﻊ ﻭﺑﻬﺬﺍ ﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺠﻌﻮﻝ ﻟﻪ ﻣﻴﺘﺎ ﺃﻭ ﺣﻴﺎ
তরজমাঃ নবীজী সাঃ এর ঐ হাদীস "কেউ কারো পক্ষ্য থেকে নামায/রোজা আদায় করতে পারবে না"এর অর্থ হচ্ছে কেউ কারো পক্ষ্য থেকে তার উপর আরোপিত ফরয/ওয়াজিব হুকুম- আহকাম আদায় করতে পারবে। বরং নিজ ফরয/ওয়াজিব নিজেই আদায় করতে হবে। অন্যর ফরয/ওয়াজিব আদায় করে তাকে দায় মুক্ত করানো যাবে না।
তবে নফল ইবাদতের সওয়াব জীবিত/মৃত যে কাউকে দেয়া জায়েয আছে।এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে উক্ত সওয়াব প্রেরণকৃত ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌছে।(বাদায়ে সানায়ে)নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছতে জীবিত/মৃতর কোন পার্থক্য নেই। (বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩)  https://www.ifatwa.info/3565


(৫)
বাবার গোনাহের জন্য আপনাকে কোনো শাস্তি পেতে হবে না 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...