আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (5 points)
আমি একটা কোম্পানিতে চাকরি করি। এই কোম্পানিতে চাকরির পূর্বে সবাইকেই একটা এগ্রিমেন্টে/চুক্তি সাইন করতে হয়। যেইখানে বলা থাকে যে "আপনি কোম্পানিতে থাকাকালীন সময়, বা ছেড়ে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে কোম্পানির অন্য কোন কম্পিটিটর/প্রতিযোগী কোম্পানিতে যোগদান করতে পারবেন না। বা আপনি নিজে কোন কম্পিটিটর/প্রতিযোগী কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।" এই ছেড়ে যাওয়ার আবার টার্ম আছে। ঐ চুক্তি অনুযায়ী আপনি নিজে চাকরি ছেড়ে দিলে কিংবা আপনাকে যদি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।


এখন আমি চাকরিতে বর্তমান থাকা অবস্থায়, যদি অন্য কোন কম্পিটিটর কোম্পানি থেকে চাকরির জন্যে অফার আসে এবং আমি চাকরি সঠিক নিয়মে ছেড়ে ঐ কোম্পানিতে যোগদান করি। তাহলে এই জিনিসিটা কি সঠিক হবে? কারণ আমি সরাসরি কম্পিটিটর কোম্পানিতে যোগদান করছি। এইখানে আমি চুক্তি ভঙ্গের গুনাহ হবে? যদি আমি যোগদান করতে চাই, তাহলে কি আমাকে আমার বর্তমান কোম্পানি জিগ্যেস করলে কি জানাতে হবে যে আমি কম্পিটিটর কোম্পানিতে যাচ্ছি?


এইখানে বিবেচ্য,

- যে কেউ চাকরিতে জয়েন করার আগে জানে না যে তাকে এই ধরণের একটা চুক্তিতে সই করতে হবে। এইগুলো আগে বলা থাকে না। তাই, আমি যদি আমার আগের চাকরি ছেড়ে দিয়ে আজকে জয়েন করতে আসি, এবং এসে দেখি যে আমাকে এই ধরণের একটি চুক্তি দেয়া হয়েছে, তাহলে আমাকে এইটা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। নাহয় আমি এসে বলতে পারি আমি চাকরি করব না। চুক্তি আমার জন্যে পরিবর্তন যোগ্য নয়। তাহলে আমি কবে চাকরি পাব, তার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। না পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি বেকার। পরের চাকরির স্যালারি আগের চাকরির স্যালারির কম বা বেশি যাই হোক না কেন।


- আমাকে চাকরিচ্যুত করলে, উপরের চুক্তির কারণে আমি ১ বছর অন্য কোন সরাসরি কম্পিটিটর কোম্পানিতে চাকরি করতে পারব না। যদি আমাকে কম, সমান বা বেশি স্যালারিও দেয়া হয়। সেইক্ষেত্রে আমাকে অন্য কোন চাকরির জন্যে অপেক্ষা করতে হবে যারা আমাকে হয়তো আমার সমান বা কম বা বেশি স্যালারি দিবে। উদাহরণ হিসেবে আমি যদি ইউনিলিভার এর কথা বলি, তাহলে কিন্তু তাদের অনেক পণ্য আছে। এখন তাদের কম্পিটিটর অনেক কোম্পানিই আছে। প্রতিটা পণ্য অন্য কোন কোম্পানি বানায়। তাহলে সেই ক্ষেত্রে উপরের চুক্তি কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

- আমি সঠিক জানি না, কিন্তু আমাকে দুইজন বলেছে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আমাকে এইধরনের চুক্তিতে সিগনেচার নেয়াতে পারে না। এইটা নেয়া হয় জোরপূর্বক। এই বিষয়ে আমি কোন আইনজীবীর সাথে কথা বলি না। তাই এই ব্যাপারে সঠিকভাবে বলতে পারতেছি না।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো সাথে চুক্তি করার পর সেই চুক্তিতে অটল থাকা অত্যাবশ্যকীয়। তবে কোনো কম্পানির জন্য এরকম কোনো চুক্তি করা কখনো জাযেয হবে না, যা দ্বারা চাকুরীজীবিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ.
‘‘না তুমি নিজ বা অন্যের ক্ষতি করতে পারো। আর না তোমরা পরস্পর (প্রতিশোধের ভিত্তিতে) একে অপরের ক্ষতি করতে পারো’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২৩৬৯, ২৩৭০)
সুতরাং কোনো কম্পানির জন্য প্রশ্নে বর্ণিত কোনো চুক্তি করা জায়েয হবে না। যদি কোনো চাকুরিজীবি স্বেচ্ছায় বা জোরপূর্বক এরকম কোনো চুক্তিতে সই করে নে বা করতে বাধ্য হয়, তাহলে পরবর্তীতে এরকম চুক্তিতে অটল থাকা তার জন্য অপরিহার্য হবে না। বরং সে অন্যত্র চাকুরি করতে পারবে। হ্যা, পূর্বের কম্পানির কোনো গোপন বিষয় প্রকাশ করা যাবে না বা এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না, যা দ্বারা পূর্বের কম্পানি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...