ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/1830/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
সূরা মূলক সাধারণত যেকোনো সময় তেলাওয়াত করা এবং বিশেষত ঘুমানোর
পূর্বে ততেলাওয়াত করার অনেক ফযিলত হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن
أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( إِنَّ سُورَةً مِنْ
الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً ، شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ ، وَهِيَ
سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কুরআনের
একটি সূরা যার ত্রিশটি আয়াত রয়েছে, ঐ সূরাটি তার তেলাওয়াতকারীর
জন্য মাগফিরাতের দু'আ করবে। এই সূরাটি হল, সূরা মূলক। (সুনানু তিরমিযি-২৮৯১,মসনদে আহমদ-৭৯১৫)
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عن
جابر رضي الله عنه : " أن النبي صلى الله عليه وسلم كان لا ينام حتى يقرأ آلم
تنزيل ، وتبارك الذي بيده الملك "
রাসূলুল্লাহ সাঃ সূরায়ে সেজদা এবং মূলক পড়া ব্যতীত শয়ন করতেন
না। (সুনানু তিরমিযি-২৮৯২,মসনদে আহমদ-১৪২৪৯)
https://ifatwa.info/26674/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করবে, সূরা মুলক তার জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। তাকে কবরের আযাব
থেকে হেফাজত করবে। এই ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল
(সা.) ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ
سُورَةً مِنَ القُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ،
وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ
কুরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে যেটি কারো
পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেয়া হয়। এ সূরাটি হল তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল
মুলক।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৪০০; সুনানে তিরমিযী,
হাদিস: ২৮৯১]
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনে
মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত,
من
قَرَأَ {تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك} كل لَيْلَة مَنعه الله بهَا من عَذَاب
الْقَبْر
যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে এই সূরার মাধ্যমে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।’
[আমালুল ইয়াউমি ওয়াল লাইলাতি, নাসাঈ, হাদিস:
৭১১] সহিহুত তারগিব ২/২৫৩, হাদিস: ১৫৮৯
https://ifatwa.info/8144/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
ফজরের পর সূরা ইয়াসিন সংক্রান্ত হাদীসঃ
দারেমী শরীফে এসেছেঃ
عن
عطاء بن أبي رباحٍ قال: بلغني أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من قرأ
یٰٓس في صدر النہار قضیت حوائجہ۔ (رواہ الدارمي) (فضائل اعمال / فضائل قرآن ۱؍۵۲
إشاعۃ دینیات دہلي)
হজরত আতা বিন আবি রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি শুনেছি
যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের
বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে,
তার সব হাজত (প্রয়োজন) পূর্ণ করা হবে।’
অন্যত্রে এসেছেঃ
عن
شہر بن حوشب قال: قال ابن عباس رضي اللّٰہ عنہ : من قرأ یٰسٓ حین یصبح، أعطي یسر
یومہ حتی یمسي، ومن قرأ ہا في صدر لیلۃ أعطي یسر لیلتہ حتی یصبح۔ (المسند للإمام
الدارمي، بحوالہ: أحکام القرآن للقرطبي ۲؍۱۵)
হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে
সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে
সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/3811/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত হাদীস গুলো যদিও জয়ীফ, তবে মুহাদ্দিসিনে
কেরামগন যেহেতু বলেছেন যে ফাজায়েলের ক্ষেত্রে জয়ীফ হাদীস মানা যাবে, তাই অনেকেই উলামায়ে
কেরামগনদের পরামর্শ মোতাবেক উক্ত হাদীসের উপর
আমল করেন।