আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ

একজন আপুর কোমর এ সমস্যা। চেয়ারে বসে সিজদাহ দেয় টেবিলে। নামাজ পড়াকালীন কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু পড়া শেষ হওয়ার পর প্রচন্ড ব্যথার কারণে হাঁটতে পারে না। আবার দাঁড়িয়ে কিরাত পড়ে চেয়ারে বসে আবার উঠলে বা বারবার উঠাবসার কারণেও সমস্যা হয়।
চেয়ারে বসে ইশারায় রুকু সিজদাহ করা কি ওর ক্ষেত্রে জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,

 ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ " 

অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) বিস্তারিত জানুন-১৪১১

যদি কেউ দাড়াতে পারেন,তবে রুকু সেজদা করতে পারেন না,তবে উনি দাড়িয়েই নামায শুরু করবেন।অতঃপর দাড়িয়েই ইশারায় রুকু-সেজদা ও বৈঠক করে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।এটা ইমাম যুফার রাহ সহ অন্যান্য তিনো মাযহাবের অভিমত।দারুল উলূম করাছির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এটাই।তবে যদি কেউ দাড়িয়ে ইশারা করার পরিবর্তে বসে বসে ইশারা করে নামায পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাযও ফাসেদ হবে না।বরং তার নামাযও হবে।যদিও সেটা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরো জানুনঃ- 

যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায পড়তে সক্ষম,তার জন্য বসে বসে ফরয বা ওয়াজিব নামায পড়া জায়েয হবে না।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/৪৮৫)

বসে নামায পড়া সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1162

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোন যদি মাটিতে বসে নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয়,সেক্ষেত্রে এভাবে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করতে পারবেনা।

হ্যাঁ যদি তিনি মাটিতে বসে নামাজ আদায় করতে সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে চেয়ারর বসে নামাজ আদায় করতে পারবে।
সেক্ষেত্রে প্রথমেই দাঁড়িয়েই নামাজ শুরু করে রুকু সেজদাহ চেয়ারে বসে ইশারার মাধ্যমে করবে।

এক্ষেত্রে রুকুর তুলনায় সেজদায় মাথা একটু বেশি ঝুকাবে।

তার যেহেতু উঠতে সমস্যা,তাই পরবর্তী রাকাত গুলোতে চেয়ারে বসেই আদায় করতে পারবে।

উল্লেখ্য, তিনি যে টেবিলে সেজদাহ দিচ্ছেন,এটা আর করবেনা।
বরং উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ইশারার মাধ্যমে রুকু সেজদাহ করবে।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عن جابر بن عبد الله رضي الله عنه أنَّ النبيَّ ﷺ عاد مريضًا فرآهُ يصلي على وسادةٍ فأخذها فرمى بها فأخذ عودًا ليُصلي عليهِ فأخذَه فرمى بهِ وقال صَلِّ على الأرضِ إنِ استطعتَ وإلا فأَوْمِئْ إيماءً واجعل سجودكَ أخفضَ من ركوعِكَ

জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ একজন রোগী দেখতে গেলেন। তিনি তাকে একটি বালিশের উপর সিজদা করতে দেখলেন। তিনি তা (বালিশ) নিয়ে সরিয়ে রাখলেন। অতঃপর লোকটি একটি কাঠের টুকরা নিল তার উপর সিজদার জন্য। রাসূলুল্লাহ ﷺ তা নিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তুমি সক্ষম হলে জমিনের উপর সিজদা করবে অন্যথায় ইশারা করবে। আর তোমার সিজদা রুকু থেকে বেশি ঝুঁকিয়ে করবে। (সুনানে বাইহাক্বী ৩৪৮৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 8 views
...