আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহ।

একজন মাসালাটি জানতে চেয়েছেনঃ
কোনো গেম কম্পানি তাদের প্রচারনার জন্য যদি কোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে নির্দিষ্ট পরিমান ডলার দেয় এ শর্তে যে, সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে দিয়ে উক্ত গেম খেলাতে হবে, কম মানুষ অংশগ্রহণ করলে কম টাকা পাবে। গেমগুলোতে কার্টুন ক্যারেক্টার আছে, উদাহরণ স্বরূপ: Marvel Strike Force, Star trek fleet command যেগুলো সাধারণত মানুষ খেলে না। জুয়া কিংবা অবৈধ কোনো কিছু প্রচার করে না।

উক্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটর এ শর্ত পূরন করার উদ্দেশ্যে, তার সোশাল মিডিয়ায় গেমের লিংক পোস্ট করে এবং বলে যে, যেই এই গেম খেলবে এবং ৩০ লেভেলে পৌঁছাবে তাকে ১০ ডলার দেওয়া হবে এবং যে ৫০ লেভেলে পৌঁছাবে তাকে ২০ ডলার হবে। এই গোল গুলোতে পৌঁছালে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পায় গেমের প্রচারকারী থেকে, সেখান থেকে সে এই টাকাগুলো দেয়।


এ শর্তে যদি কেউ তাদের এই গেম খেলে দেয় এবং সে ৩০ মিনিটের ৩০ লেভেলে পৌঁছাতে পারার জন্য ১০ ডালার পায়। এভাবে কয়েকবার খেলার জন্য উক্ত ব্যক্তি কয়েক হাজার টাকা পায়, তাহলে কি এই টাকা উক্ত ব্যক্তির জন্য হালাল হবে নাকি হারাম?


উল্লেখ যে, এই টাকা উক্ত ব্যক্তির ইউনিভার্সিটির বেতন হিসেবে দিয়েছেন, একটা এন্ড্রোয়েট ফোন কিনেছেন এবং খাবারের জন্য ব্যবহার করেছেন। তাহলে এই খাবার কি তার পরিবারবর্গের জন্য খাওয়া হালাল হবে?
উক্ত ব্যক্তির এই উপার্জন কি তার পরিবারের জন্য হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মোবাইলে গেমস খেলা মানে নিজের অমূল্য সম্পদ সময়কে অপচয় করা এবং অল্প থেকে ধীরে ধীরে এটা নেশায় পরিণত হওয়া।  

সুতরাং একজন মুসলিম হিসাবে এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আবু হুরাইরা রাযি. বলেন , রাসূল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ,  من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيه একজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে, তার জন্য জরুরী নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে। (জামে তিরমিযী ২২৩৯)
,
★অনলাইনে গেইম খেলা,এতে কোনো ফায়দা নেই।অযথা কালক্ষেপণ করা ছাড়া তাতে আর কিছুই নেই।সুতরাং এমন খেলার অনুমোদন শরীয়তে নেই।
এবং অর্জিত টাকা ব্যবহারও জায়েয হবে না।বরং সদকাহ করে দিতে হবে।
গেম খেলার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা জায়েজ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছে   

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهُ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَدْرِي كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَمِنَ الْحَلاَلِ هِيَ أَمْ مِنَ الْحَرَامِ فَمَنْ تَرَكَهَا اسْتِبْرَاءً لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَمَنْ وَاقَعَ شَيْئًا مِنْهَا يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَ الْحَرَامَ كَمَا أَنَّهُ مَنْ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ " . 

নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ হালালও সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট এবং এ দুটির মাঝে অনেক সন্দেহজনক বিষয় আছে। তা হালাল হবে না হারাম হবে সেটা অনেকেই জানে না। যে লোক এই সন্দেহজনক বিষয়গুলো নিজের দ্বীন এবং মান-ইজ্জাতের হিফাযাতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেবে সে নিরাপদ হল। যে লোক এর কিছুতে লিপ্ত হল তার হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ারও সংশয় থেকে গেল। (উদাহরণস্বরূপ) নিষিদ্ধ এলাকার আশেপাশে যে লোক পশু চড়ায়, তার এতে প্রবেশের ভয় আছে। জেনে রাখ! প্রতিটি সরকারেরই কিছু সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহ্ তা'আলার সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারাম করা বিষয়গুলো'।
- সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৮৪),বুখারী, মুসলিম
(তিরমিজি ১২০৫) 
,
বিস্তারিত জানুনঃ   

ইসলামী স্কলারদের মত হলো গেম খেলে কোনো ইনকাম জায়েজ নেই।
চাই যেকোনো ধরনের গেম হোকনা কেনো।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত শর্তে যদি কেউ তাদের এই গেম খেলে দেয় ডলার পায়। এভাবে কয়েকবার খেলার জন্য উক্ত ব্যক্তি কয়েক হাজার টাকা পায়, তাহলে এই টাকা উক্ত ব্যক্তির জন্য  হারাম হবে।

এই টাকা দিয়ে যে খাবার ক্রয় করা হয়েছে,সেই খাবার তার পরিবারবর্গের জন্য খাওয়া হালাল হবেনা।
উক্ত ব্যক্তির এই উপার্জন তার জন্যেও হালাল  হবেনা, পরিবারের জন্যেও হালাল হবেনা।

এই টাকা দিয়ে যাহা কিছু কিনেছে,সবই হারাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...