আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার ৩টি প্রশ্ন ছিল


১। আমার একটা ছোট গ্রুপ আছে ওটাতে মাঝেমধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। যেমন: দুরুদ প্রতিযোগিতা ইস্তেগফার প্রতিযোগিতা এসব। এসব প্রতিযোগিতার রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য সামান্য ফি রাখি ২০ টাকা বা ২৫ টাকা এরকম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরষ্কার দেওয়া হয়। কিন্তু পুরষ্কারের টাকা আলাদা করে আসে। অন্য আপুরা হাদিয়া দেন পুরষ্কারের জন্য সওয়াবের নিয়তে। মানে রেজিষ্ট্রেশন ফি টাকাটা আলাদা থাকে এই টাকা পুরষ্কারের টাকার সাথে যুক্ত হয় না। আর পুরষ্কারের টাকা আলাদা, পুরস্কারের টাকা অন্য যায়গা থেকে আসে। এই রেজিষ্ট্রেশন ফি টা কি আমার জন্য হালাল হবে? এরকম প্রতিযোগিতায় গুনাহ হবে কিনা?

আমাদের মাদ্রাসায় ও মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয় আর তাতে ৫০/৬০/১০০ টাকা ফি দেওয়া লাগে, প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরষ্কার দেওয়া হয়।

এটা আমি অনেক হুজুরকে বলেছি কেউ না বলেছেন কেউ বলেছেন আমি যেভাবে প্রতিযোগিতা টা দেই সেটা হালাল হবে।
২। ফেইসবুকে অনেক পোস্ট দেখা যায় কোনো ইসলামিক পোস্ট সুন্দর দেখলে আমি সেটা কপি করে অন্যদেরকেও দেই সওয়াবের জন্য। যেমন: দোয়া কবুলের গল্প, দীনের পথে ফেরা, ইসলামিক পোস্ট ইত্যাদি। এসব পোস্টে লেখা থাকে না যে শেয়ার করা যাবে কিনা, কিছুই লেখা থাকে না। শুধু পোস্ট টা থাকে। কপি করার অনুমতি আছে কিনা সেটাও জানিনা। তাছাড়া এতজনকে জনে জনে জিজ্ঞেস ও করা সম্ভব না কপি করতে পারবো কিনা, নন-মাহরামের কারো পোস্টে কমেন্ট করি না। আর এগুলো তো পাবলিক গ্রুপে থাকে, যেমন দোয়া কবুলের অনেক পাবলিক গ্রুপ আছে সেগুলোতে অনেক দোয়া কবুলের গল্প থাকে সেগুলো কপি করা যাবে? অনেক পোস্টে শেষে লেখা থাকে কপি/সংগৃহীত এরকম, তো আসল পোস্টের মালিককে খুঁজে পাওয়াও আমার পক্ষে অসম্ভব। তাই এসব পোস্ট গুলো কি কপি করলে গুনাহ হবে? এতে কি কারো হক নষ্ট হবে? আমি এতে নিজের নাম দিবো না, শুধু কপি করে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিবো সওয়াবের নিয়তে।
৩। এখনকার বাসাবাড়িতে বাথরুম আর ওজু করার যায়গা একই যায়গায় থাকে। আলাদা খুঁজে পাওয়া মুশকিল, পেলেও বাড়া খুব বেশি তাই এসব বাসা নেওয়া সম্ভব না। ওজু করার সময় তো বিসমিল্লাহ পড়তে হয়, সাথে ওজুর মধ্যেও অনেক দোয়া আছে। আমি যদি বাত রুমে ডুকার ১মেই বিসমিল্লাহ বলে ঢুকি তবে কি ওজুর বিসমিল্লাহ পড়া হবে? নাকি বাথরুমেই বিসমিল্লাহ বলে ওজু করতে পারবো? আর ওজুর মধ্যে যে দোয়া গুলে আছে আমি যদি দোয়া করার সময় আল্লাহর নাম না নেই যেমন হাত দুয়ার সময় বললাম: কাল হাশরের ময়দানে ডান হাতে আমার আমলনামা দিও। এরকম। এখানে নিয়ম তো থাকবে আল্লাহর কাছে দোয়া করছি কিন্তু যেহেতু বাথরুমে আল্লাহর নাম নেওয়া যায় না তাই এভাবে মনে মনে দোয়া করলে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের মূলনীতি হল,প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ফিস যদি না থাকে,তাহলে ছেলেদের জন্য জায়েয যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কর্মকান্ড তাতে না থাকে।যদি ফিস থাকে তবে জায়েয হবে না।কেননা তখন এটা জুয়া হয়ে যাবে,যা পরিস্কার হারাম।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)

ইসলামের বিধান বলে, যদি টাকা দিয়ে ফরম নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে হয় তাহলে তা সুদ ও জুয়ার অন্তর্ভূ্ক্ত হওয়ায়  এ ধরনের কুইজ প্রতিযোগিতার অংশ গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
তবে যদি ফরম ক্রয় ব্যতীতই অংশ গ্রহণ করা যায় তাহলে সেখানে অংশ গ্রহণ করা বা তা থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার গ্রহণ করা জায়েয আছে।
( আদ-দুররুল মুখতার: ৯/৫৭৭, কেফায়াতুল মুফতি: ৯/২২৫)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ জায়েজ হবেনা। এই রেজিষ্ট্রেশন ফি টা আপনার জন্য নেয়া হালাল হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
এক্ষেত্রে পোস্ট দাতা হতে অনুমতি নিতে হবে।
নতুবা কপি পোস্ট করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে পোস্ট করলে তার নাম উল্লেখ করে দিতে হবে।

হ্যাঁ পূর্ব হতেই সেই পোস্ট দাতার পক্ষ থেকে এভাবে কপি করার যদি অনুমতি থাকে,সেক্ষেত্রে তার পোস্ট কপি করে প্রচার করা যাবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে মনে মনে দোয়া করা যাবে,মনে মনে বিসমিল্লাহ পড়া যাবে।
বাথরুমের প্রবেশের আগেও বিসমিল্লাহ পড়া যাবে। আশা করা যায় যে এতে সুন্নাহ আদায় হবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...