আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমি প্রায় নামাজের জায়গায় দাড়ানোর সাথে সাথেই "আল্লাহু আকবার" বলি। আর বলার আগে স্পষ্টভাবে নিয়ত করতে ভুলে যাই। এরপর সানা পড়ার পর অথবা অনেক সময় সূরা ফাতিহা শুরু করার পর মনে হয় আমি নিয়্যাত করিনি। তখন মনে মনে করে নিই।
তবে, সবসময়ই অজু করার সময়েই/অজুর পরপরেই নিয়্যত করি যে অমুক নামাজ পড়ব।
এক্ষেত্রে,
১. সূরা ফাতিহা পড়ার সময়ে নিয়ত করলে কি নামাজ হবে? এক্ষেত্রে, সাহু সিজদাহ দিতে হবে নাকি নামাজ আবার পড়তে হবে?
২. মাগরিবের নামাজে তো সবার প্রথমে ফরজ, অজুর সময়/অজুর জায়গা থেকে নামাজের জায়গায় আসার সময় যদি মনে নিয়ত করি ফরজ নামাজ পড়ব, সেইটা কি নিয়ত বলে গণ্য হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।শুধুমাত্র মূখে উচ্ছারণ করাকে জরুরী মনে করা বিদআত। তবে অন্তরে যা রয়েছে সেটাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা যাবে। এবং অন্তরের ইচ্ছাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।
 واعلم أن النية لا تتأدى باللسان؛ لأنها إرادة والإرادة عمل القلب لا عمل اللسان؛ لأن عمل اللسان يسمى كلاما لا إرادة إلا أن الذكر باللسان مع عمل القلب سنة فالأولى أن يشغل قلبه بالنية ولسانه بالذكر 
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1254

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি অজু করছেন,মসজিদে যাচ্ছেন কিংবা নামাযে দাড়াচ্ছেন, এটা অবশ্যই কোনো নামাযকে উদ্দেশ্য করেই করছেন। এটাই নামাযের নিয়তের জন্য যথেষ্ট।  সুতরাং পৃথকভাবে নিয়ত করা জরুরী নয়। আর হ্যা, মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করা মুস্তাহাব হিসেবে বিবেচিত হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 190 views
...