আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
closed by

আস সালামু আলাইকুম

 

প্রশ্ন ১: আমার স্ত্রী হায়েজের নবম বা দশম দিনে ছিলেন। এর আগের দিন আসরের সময় তিনি একটু রক্ত দেখতে পান, তবে মাগরিব, এশা এবং ফজরের সময় কোনো রক্ত দেখা যায়নি। সেই সময় তিনি নামাজ পড়েননি, কিন্তু রক্ত পরীক্ষা করেছিলেন। এরপর আমরা সহবাস করি, কিন্তু তিনি গোসল করেননি। 

এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের এভাবে সহবাস করা কি সঠিক হয়েছে, নাকি ভুল হয়েছে? আমি অবশ্য পরে ইস্তিগফার করেছিলাম, কারণ সহবাসটি গোসলের আগেই হয়েছিল। এই ব্যাপারে সঠিক নির্দেশনা কী? আমাদের করণীয় কী হতে পারে?

 

প্রশ্ন ২: আমার স্ত্রী হায়েজের সময় আশা করছিলেন যে রক্ত আসবে, কিন্তু আসছিল না। আমরা তাই সহবাস করি। সহবাসের আগ পর্যন্ত রক্ত দেখা যায়নি, কিন্তু সহবাসের পরে আমি কিছুটা রক্ত দেখতে পাই। পরে তিনি আবার রক্ত চেক করতে গেলে বিষয়টি নিশ্চিত হয় যে রক্ত বের হয়েছিল (হালকা পিচ্ছিল ধরনের)। আমরা তখন মনে করেছিলাম হয়তো এটা কোনো সাধারণ রক্ত (হাইমেন ছিঁড়ার রক্ত)। এরপর তিনি গোসল করে আসর, মাগরিব, এশার নামাজ পড়েছিলেন, কোনো রক্ত দেখা যায়নি। তবে পরদিন ফজরের সময় রক্ত প্রবাহ শুরু হয়, এবং তখন নিশ্চিত হই যে এটি আসলে হায়েজের রক্ত। 

এখন প্রশ্ন হলো, এই সময়ে আমাদের সহবাস করা ঠিক হয়েছে কি না? এই পরিস্থিতিতে এখন কী করা উচিত?

 

প্রশ্ন ৩: আমাদের বাসায় ইংলিশ টয়লেট রয়েছে। আমি যখন টয়লেট ব্যবহার করি, প্রথমে ফ্লাশ করি, এরপর পানি ব্যবহার করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পানি ব্যবহার করার সময় টয়লেটের নিচ থেকে কিছু পানির ফোটা এসে শরীরে লাগে। তখন আমাকে আবার ওই জায়গাগুলো ধুতে হয়, যা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।

প্রায় প্রতিবারই এমন হয়, এবং এটা এড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশ্ন হলো, ফ্লাশ করার পরও যদি এমন পানির ফোটা গায়ে লাগে, তাহলে সেই জায়গা পরিষ্কার করা কি বাধ্যতামূলক? নাকি এর জন্য আর কিছু করা লাগবে না? 

 

জাজাকুমুল্লাহু খায়রান

closed

1 Answer

0 votes
by (62,400 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/10304/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে, 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল, হলুদ, সবুজ, লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক, সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
রোযার কাজা পরবর্তীতে আদায় করবে। 

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
বিস্তারিত জানুনঃ

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!

১. হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার পর গোসল করে তারপর সহবাস করবেন। পাশাপাশি নামাজ পড়া শুরু করে দিতে বলবেন। এভাবে নামাজ কাযা করা ঠিক হয়নি। 

২. হায়েজ চলাকালীন সময়ে সহবাস হারাম, তবে আপনারা যেহেতু হায়েজ শেষ হয়েছে মনে করেই সহবাসে লিপ্ত হয়েছেন, তাই আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করতে হবে।

৩. নাপাক পানির ছিটাও নাপাক। তাই টয়লেট থেকে নাপাক পানির ছিটা শরীরে লাগলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। 
এমন বারবার ধুয়ে ফেলতে আপনার কষ্টকর হলে স্বাভাবিক টয়লেট ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারেন। সেখান থেকে সাধারণত নাপাক পানির ছিটা শরীরে লাগে না। 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 133 views
...