আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ ্

 উস্তাদ র্তমানে আমি পরীক্ষা, পড়াশোনা এসব নিয়ে অনেক চিন্তিত।  এইটা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভুগি, আর বেশ কিছুদিন আগে আমি মনে মনে বলে ফেলসিলাম যে, " আমি আল্লাহর জন্য এই পরীক্ষা কুরবানি করে দিলাম" ( পরীক্ষা টা এখনো হয় নাই)এরপর নামায এর সিজদায় ও  এইটা বলি, মুখে উচ্চারণ করেছিলাম কিনা মনে নাই। আল্লাহ তায়ালা তো আমাদের এরুপ কুরবানির হুকুম দেনি নি, এখন কুরবানি টা কি গ্রহণযোগ্য হবে?  আমি কি আমার দোয়া ফিরিয়ে নিতে পারি?  কিভাবে?কোনো কাফফারা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত,
(وعن أبي سعيد الخدري - رضي الله عنه - أن النبي - صلى الله عليه وسلم - قال: " «ما من مسلم يدعو بدعوة ليس فيها إثم ولا قطيعة رحم إلا أعطاه الله بها إحدى ثلاث: إما أن يعجل له دعوته، وإما أن يدخرها له في الآخرة، وإما أن يصرف عنه من السوء مثلها " قالوا: إذا نكثر، قال: " الله أكثر» " (رواه أحمد) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কোনো মুসলমান যদি এমন প্রকারের দু'আ করে, যাতে গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতার প্রসঙ্গ উল্লেখ না থাকে, তাহলে তিনটি প্রকারের যেকোনো এক প্রকার প্রতিদান আল্লাহ তাকে দান করবেন।(১)হয়তো আল্লাহ তা'আলা অতিসত্বর তার দু'আ-কে কবুল করে ফেলবেন।(২)
নতুবা আখেরাতের জন্য সেই দু'আকে সংরক্ষিত করে রাখবেন।(দুনিয়াতে সেই দু'আ কবুল করা তার জন্য মঙ্গলজনক নয়,সেইজন্য আখেরাতে দিবেন)(৩)
কিংবা সেই পরিমাণ কোনো মন্দ জিনিষ তার থেকে ফিরিয়ে রাখবেন।সাহাবায়ে কেরাম বললেন,তাহলে আমরা অবশ্যই বেশী বেশী করে দু'আ করবো। রাসূলুল্লাহ সাঃ  বললেন, আল্লাহও অধিক অধিক দু'আ কবুল কারী এবং দানকারী।(সুতরাং তোমরা বেশী বেশী দু'আ করলে আল্লাহও বেশী বেশী দিবেন)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৫৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
" আমি আল্লাহর জন্য এই পরীক্ষা কুরবানি করে দিলাম" এরকম দু'আর সাধারণত কোনো অর্থ বুঝা যাচ্ছে না। তবে শব্দ যাইহোক আপনার অন্তরে যেই উদ্দেশ্য রয়েছে, নিয়ত বিশুদ্ধ রেখে দু'আ করলে,বিশেষত এদ্বারা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে, আল্লাহ অবশ্যই সেই দু'আকে কবুল করবেন। এরকম দু'আ করার জন্য কোনো কাফফারা দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...