১)আমার ভাসুরের মেয়ের বয়স ৩বছর। জন্মদিন উপলক্ষে ঘরে স্পেশাল রান্নাবান্নার আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের খাবার খাওয়া জায়েজ? এই রান্নাবান্নায় সাহায্য করা গুনাহ হবে?
২)আমার বাচ্চার বয়স সামনে ১বছর পূর্ণ হবে। জন্মদিন উপলক্ষে আমার মেয়েকে কেউ কোনো গিফট দিলে যেমন-জামা,জুতা,টাকা ইত্যাদি। এসব নেয়া জায়েজ হবে?
৩)এসব আয়োজন থেকে আমি আমার বাচ্চাকে দূরে রাখতে চাই। কিন্তু আমার হাসবেন্ড এসব মানতে চান না। এইক্ষেত্রে হাসবেন্ডের কথা অমান্য করা গুনাহ হবে?
৪)পিরিয়ড অবস্থায় বা গোসল ফরজ অবস্থায় আযানের জবাব দেয়া ও আযানের শেষের দুয়া পড়া যাবে?
৫)গোসল ফরজ অবস্থায় দরুদ,ইস্তিগফার, অন্যান্য যিকর পাঠ করা যাবে?
৬)আমরা সকাল-সন্ধ্যা যে মাসনুন দোয়া গুলো পড়ি সেগুলো প্রত্যেকটা পড়ে পড়ে বাচ্চাকে ফু দেয়া যাবে? বাচ্চার হিফাজতের জন্য।
৭)আমার আব্বু ব্যাংকার ছিলেন। বর্তমানে তার পেনশনের টাকায় সংসার চলে, কিছু কারণে আব্বু আমার সাথে কথা বলেন না। তার বাসায় আমার যাওয়া নিষেধ, গেলে আমার আম্মুকে ডির্ভোস দিবেন বলেছেন। তো আব্বু না জানে মত আম্মু লুকিয়ে লুকিয়ে সংসারের বাজার যেমন-মাছ,মাংস,সবজি এসব পাঠায়। আব্বু একদিন জানতে পেরে আম্মুকে মানা করে দেন আমার জন্য যেন কিছু না পাঠায়। তাও আম্মু পাঠায় আমার জন্য,আমার সংসারের অবস্থা কিছুটা খারাপ এজন্য। আব্বু যেহেতু মানা করেছেন, তাহলে নিষেধ সত্ত্বেও আম্মু জিনিস পাঠানো ঠিক হচ্ছে? আমরা খাচ্ছি, আমাদেরও কি গুনাহ হচ্ছে?
৮)শাশুড়ীর জুলুম সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে আলাদা বাসা নিতে হয়েছে। যদিও কাছেই বাসা নেয়া হয়েছে। উনাদের সাথে অন্য ছেলে-ছেলের বউ আছে।আমার হাসবেন্ড প্রতিদিন মা-বাবার কাছে যায়,যতটুকু সম্ভব মা-বাবার খেয়াল রাখে। অফিস বাদে ম্যাক্সিমাম টাইম মা-বাবার সাথে কাটায়৷আমিও কিছুদিন পর পর গিয়ে সেবাযত্ন করার চেষ্টা করি। তাও আমার শাশুড়ী আমাকে বলে আমার জন্য তার ছেলেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে,তার নাতি আদর পাচ্ছে না(আমার বাচ্চা)। এসবের জন্য আল্লাহ আমার বিচার করবেন।ইত্যাদি ইত্যাদি । উনার এই অভিশাপ কি আমার উপর পড়বে?