ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রতি ওয়াক্তের পৃথক পৃথক মুস্তাহাব ওয়াক্ত রয়েছে।ফজরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,এবং এটাই তার আওয়াল ওয়াক্ত।জোহরের নামাযকে গরমের সময় দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব।এবং আসর ও মাগরিবে নামাযকে সর্বদা ওয়াক্তের প্রথমে পড়া মুস্তাহাব। এশার নামাযকে রাতের এক ততৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব।
এগুলো বুঝা ও বুঝানো অনেকটা মুশকিল বিষয়।সহজভাবে বলা যায় যে,আমাদের দেশে যে ওয়াক্তের যখনই আযান হয়,আযান পরবর্তী জামাতের সাথে নামায আদায় করা বা ঐ সময়ে ঘরে বা অন্য কোথাও নামায আদায় করা মানে-ই মুস্তাহাব বা আওয়াল ওয়াক্তেই আদায় করা। আওয়াল ওয়াক্ত কোনো বিশেষ সময় বা সেকেন্ড মিনিটের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/39433
(২) কেউ যদি শব্দ করা ছাড়াই শুধু ঠোঁট নাড়িয়ে সালাত আদায় করে, তাহলে ইমাম কারখি রাহ এর মতে নামায হয়ে গেলেও সতর্কতামূলক নামাযকে দোহড়ানো উচিৎ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2570
(৩) সালাত পড়া অবস্থায় পেছন দিক থেকে বায়ু হালকা বের হয়েছে মনে হলে,যতক্ষণ না নিশ্চিত হবেন,এর পূর্ব পর্যন্ত শয়তানের ওয়াসওয়াসা ধরে নিয়ে নামাযকে সমাপ্ত করে নিবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293
(৪) মিলাদের খাবার না খাওয়াই উচিৎ।