আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
السلام عليكم و رحمة الله و براكاته...
১- আমি কিছু এমন ভাইবোনদের চিনি যারা অনেক বেশি মেধাবী এবং তারা অনেক নিয়ামাহপ্রাপ্ত এবং তারা দ্বীনেরও খিদমত করে থাকে  بارك الله فيك। এবং আমি তাদের ব্যাপারে অবশ্যই সুধারণা রাখি তারা গুনাহ তেমন করেনা । এবং এটাও বিশ্বাস রাখি তারা আল্লাহর কাছেও অনেক বেশি প্রিয়। কারন তাদেরকে দ্বীনি মানুষরাও অনেক ভালোবাসে بارك الله فيك । আল্লাহর কসম করে বলছি আমি তাদের কখনই কোন ক্ষতি চাইনা। আমি চাইনা তাদের থেকে কোন নিয়ামাহ দূর হয়ে যাক বা তাদের জীবনে কোন দুঃখ আসুক।বরং নিয়ামাহ পেতে দেখলে তার বারাকাহর জন্য দুয়া করি।

কিন্তু তাদের কথা জানলে শুনলে আমার অন্তর অতিমাত্রায় অশান্ত হয়ে যায় এবং এই অশান্তি দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়। তখন আমি ভয় পেয়ে যাই যে আমার হিংসা হচ্ছে কিনা। তাই আমি তাদের জন্য এ পর্যন্ত অনেক উত্তম দুয়া করেছি সলাতে মুনাজাতে। কারো কারো জন্য এক্সট্রা নফল সলাত পড়েও দুয়া করেছি। কিন্তু তবুও আমার মনে অনেক বেশি অশান্তি বিরাজ করে। তাদের কোন বিষয় নিয়েই আমি নাখোশ নই।কারণ তারা যা পাচ্ছে তা আল্লাহ তাদের দিচ্ছেন।এবং নিশ্চয়ই তারা এসব নিয়ামাহর জন্য চেষ্টাও করেছে। বরং কিছু কিছু সময় মনে হয় তারা এই নিয়ামাহটা আরো উত্তমভাবে পাওয়া ডিজার্ভ করে। আমি কারো ব্যাপারে বিদ্বেষ রাখতে চাইনা। হিংসা এবং বিদ্বেষ পোষণ এ দুটি জিনিসই আমি খুব ভয় পাই। কিন্তু আমার অশান্তি ফিল হয় কেন হয় আমি তাও জানিনা।
ক) যেহেতু তাদের বিষয়ে সামনে আসলে আমার অশান্তি লাগে খুব তাই আমি  দুয়া করি আমি যেন তাদের ব্যাপারে একেবারে ভূলে যাই যেন তাদের ব্যাপারে কখন জানতামই না।  তাদেরকে পরিপূর্ণ রুপে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। তারা কেউই আমাকে খুব একটা চেনে না। তারা আমাকে মনে করবে কখনও  হয়ত এমন কেউও আমি না।  তো এই এড়িয়ে চলার জন্য কি আমার গুনাহ হবে???
খ) এই অশান্তিগুলো কেন হয় এবং এ  থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারি???
গ) আমি এগুলো ভূলতে চাই কিন্তু পারিনা সারাক্ষণ মাথায় ঘোরে এই অশান্তিগুলোর জন্য কি আমার গুনাহ হচ্ছে???


ঘ) আমি যখন তাদের জন্য উত্তম দুয়া করি তখন অবচেতন মনে নেতিবাচক চিন্তা এসে যায় এরজন্য কি গুনাহ হবে???
২- আমি ভীষণ অযোগ্য একটা মেয়ে। এবং আমার গুনাহও অনেক বেশি। কিন্তু এখন দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছি الحمد لله।  আমার আল্লাহর কাছে অনেক বেশি বিশাল বিশাল চাওয়া।আমার চাওয়াগুলো বেশিরভাগই দ্বীন সম্বলিত الحمد لله।  কিন্তু যখন আমি আমার চাওয়া গুলো নিয়ে ভাবি তখন মনে হয় আমি তো এগুলো ডিজার্ভ করিনা। এমন ভাবনাও আসে জীবনে আমি কি এমন করেছি যে আল্লাহ আমাকে এত এত নিয়ামাহ দেবেন। তো আমার মন সংকুচিত হয়ে যায়। আমার অযোগ্যতা এবং তুচ্ছতার দিকে তাকিয়ে আল্লাহ আমাকে দেবেন এমনটা দৃঢ় ইয়াক্বিন রেখে তাওয়াক্কুল রেখে দুয়া করতে পারিনা। আমি কি করবো???
৩ - যখন কাউকে নিয়ামাহ পেতে দেখি তখন সে নিয়ামাহর বারাকাহর জন্য দুয়া করি الحمد لله। তখন আমার মনে মনে দুয়া আসে  আল্লাহ আমাকে তারচেয়েও উত্তমভাবে দেবেন।এভাবে চাইলে কি গুনাহ হবে???
এবং তারপর আমি ভয় পেয়ে যাই যে আমি তার থেকে বেশি চেয়ে ফেলছি বা আমি অহংকার করছি, সে তো আমার চেয়েও অনেক বেশি যোগ্য সে পেয়েছি আমি তো এমন পাওয়ার যোগ্য নই। এক্ষেত্রে আমার কেমন চিন্তা করা উচিত???
৪- যখন কোন আল্লাহওয়ালা বান্দিকে দেখি তখন বলি সে তো আল্লাহর খুব প্রিয় খুব সম্মানিত আমি তো তার পায়ের ধুলোর সমানও হব না। কিন্তু মনে মনে খেয়াল আসে আল্লাহ বলছেন তুমি আরো বেশি প্রিয় আরো সম্মানিত। তখন আমি আবারও ভয় পাই। এমন খেয়াল কেন আসে আসলে কি গুনাহ হবে???
৫- গত কয়েক বছর ধরেই আমি আমার রবকে পাওয়া চেষ্টা করছি। রব আমাকে ছোট ছোট সহজতর পরীক্ষা করেন আমি হেরে যাই সবর করতে পারিনা। দূরে সরে যাই তখন মনে হয় রব আমাকে চাননা।  তখন খুব হতাশ লাগে। রবের প্রতি সুধারণা রাখতে খুবই কষ্ট হয়। কি করবো???

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
وعَن ابنِ مَسْعُوْدٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لا حَسَدَ إِلاَّ في اثْنَتَيْنِ : رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً فَسَلَّطَهُ عَلَى هَلَكَتِهِ في الحَقّ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ حِكْمَةً فَهُوَ يَقْضِي بِهَا ويُعَلِّمُهَا متفقٌ عَلَيْهِ
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেবলমাত্র দু’টি বিষয়ে ঈর্ষা করা যায় (১) ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে মহান আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, অতঃপর তাকে হক পথে অকাতরে দান করার ক্ষমতা দান করেছেন এবং (২) ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে মহান আল্লাহ হিকমত দান করেছেন, অতঃপর সে তার দ্বারা ফায়সালা করে ও তা শিক্ষা দেয়।(বুখারী ৭৩, মুসলিম ১৯৩০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সবগুলো প্রশ্ন একই। এবং সবগুলোর উত্তর ঐ হাদীসে রয়েছে। এটা হিংসা নয়, বরং এটার নাম গিবতা। আপনি তাদের সমপরিমাণ দ্বীনদারিতা নিজের জন্যও কামনা করবেন। তবে তাদের নিয়ামত তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হোক, সেটা চাইবেন না। এটা জায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
السلام عليكم و رحمة الله و براكاته 
হুজুর আমি এখানে প্রশ্ন করার আগে এখানে সার্চ করে দেখেছি মনঃপুত উত্তর খুজে পাইনি বলেই প্রশ্ন করেছি। আমার কিছু  কনফিউশানের ব্যাপারে লিখেছে। 
আমার কিছু কাজ, কিছু ভাবনার  ব্যাপারে গুনাহ হবে কিনা বা সমস্যা হবে কিনা জানতে চেয়েছি। কিছু দুয়া জায়েজ আছে কিনা জানতে চেয়েছি। দুয়ার ব্যাপারে ইয়াক্বিন কিভাবে আনব জানতে চেয়েছি। 
অশান্তিগুলোও মুক্তি পাওয়ার উপায় জানতে চেয়েছি।আমি ঠিক থাকতে পারছিনা। এত এত ওয়াসওয়াসা আমাকে জ্বালিয়ে ফেলছে। 
শুধু হিংসার ব্যাপারে  প্রশ্ন করিনি।

 আমায় মাফ করবেন প্লিজ 
by (583,410 points)
আপনার এসব প্রশ্ন অনর্থক। কেননা এগুলো ওয়াসওয়াসা জাতীয় প্রশ্ন। এরকম প্রশ্নের জবাব জানার পূর্বে ওয়াসওয়াসা কোর্স অত্যান্ত জরুরী।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...