আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আমি আগে দুইটা প্রশ্ন করেছিলাম যেটার লিংক
https://ifatwa.info/104642/

যেখানে একটা সাউন্ডের ব্যবহার নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, যেটাই বলা হয়েছিল শব্দটা 'ওমম' এর মতো শোনা যায় কিনা। পরবর্তীতে অনেক যাচাই বাছাই করে বুঝলাম শব্দটা 'ওমম' এর মতো শোনা যায় না, কারণ 'ওমম' এর শেষে 'ম' যুক্ত হয়। আমার ব্যবহৃত সাউন্ডে কোনো 'ম' যুক্ত নেই, এটা 'ওওও' মতো শোনায় এবং কোনো 'ম' যুক্ত নেই শেষে, তাই এটা 'ওমম' এর মতো শোনায় না।
তাই এই বিষয় আরেকটা প্রশ্ন করেছিলাম।

সেখানে আপনাদের উত্তর ছিল
যেহেতু এটা 'ওম' এর মতো শোনায় না, তাই শব্দটা ব্যবহার করা যাবে।

এখন মেইন সমস্যা হচ্ছে আমার মনের সন্দেহ। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে শব্দটার শেষে কোনো 'ম' যুক্ত নেই এবং এটা 'ওওও' মতো শোনায়, হিন্দুদের 'ওম' এর মতো না। তারপরেও মাথার মধ্যে পেরেশানিতে ভরে যাচ্ছে এই সন্দেহে যদি সেটা 'ওমম' শব্দ হয়, তাহলে তো আমি কুফুরি করেছি। কিন্তু আবার আমি নিশ্চিত যে সাউন্ডটা আমি ব্যবহার করছি, এতে হিন্দুদের 'ওম' এর মতো স্পষ্ট শব্দ নেই, কারণ আমার ব্যবহৃত শব্দের শেষে কোনো 'ম' যুক্ত নেই। তারপরেও মনের মধ্যে নিজেকে কুফুরি করেছি এমন সন্দেহ থেকে কোনো মতে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। এটা আমার অনেক কিছু ব্যাহত করছে।

আমার প্রশ্ন: আমি যে শব্দটা ব্যবহার করছি, আমি নিশ্চিত যে শব্দটা 'ওমমম' এর মতো না, এটা 'ওওও' শব্দ। যেহেতু শব্দটির শেষে কোনো 'ম' যুক্ত নেই, তাই এটা হিন্দুদের 'ওম' এর মতো স্পষ্ট কোনো শব্দে পরিণত হয়নি। আমি প্রতিনিয়ত আমার সব কাজেই (ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন মার্কেট) এই সাউন্ডটি ব্যবহার করি। এখন, আমার ব্যবহৃত সাউন্ডটি যদি কারও কাছে হিন্দুদের 'ওম' এর মতো লাগে, তাহলে কি আমার কুফুরি হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি নিজেই নিশ্চিতভাবে বলছেন যে, এখানে ওমের মত সাউন্ড নয় বরং ওওও এর মত সাউন্ড।  তাই এটাকে ব্যবহার করতে কোনো নিষেধ নেই। শয়তান ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে, এদিকে কোনো লক্ষ্য করবেন না।বরং নিজের মনের কথাকেই অগ্রাধিকার দিবেন। তারপরও বেশী ওয়াসওয়াসা আসলে, সতর্কতামূলক অন্তরের প্রশান্তির জন্য ঐ সাউন্ড ব্যবহারকে পরিত্যাগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...