আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)

আমার প্রশ্নটি খুবই তুচ্ছ জানি, তবুও আমার জন্য জানা খুবই জরুরি। আমি একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে পড়ি, পরিপূর্ণ পর্দার সাথে চলার চেষ্টা করি এবং ইসলামের অন্যান্য সব বিধি নিষেধও মেনে চলি আলহামদুলিল্লাহ। যদিও সহ শিক্ষার জন্য এই পরিবেশে অনেক জটিলতা হয় তারপরও আল্লাহর রহমতে আর আমার সহপাঠী দের সহায়তায় এই পর্যন্ত এসেছি। আমার পরীক্ষা চলাকালীন, আমাদের একটি বিষয়ের শিক্ষক সেই বিষয়ে পড়া বাকি থাকায় এক্সট্রা ক্লাস নেয়, কিন্তু আমরা খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলাম, যার জন্য সেই শিক্ষক আমাদের পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রের ব্যাপারে কিছু তথ্য দেয় আর বলে এই কথা গুলো যেনো এই রুমে যারা আছে তাদের বাইরে না যায়, আর সে এগুলা আমানত রাখতে। এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কি আমার সহপাঠী বান্ধবীদের বলতে পারি স্যার যেই তথ্য গুলো দিয়েছে? আমার সহপাঠীরা আমাকে অনেক সাহায্য করে পড়ালেখা নিয়ে, আর স্যার সকল শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে গুটি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এগুলো বলা আমার কাছে ন্যায় মনে হচ্ছে না। অন্যদের প্রতি এটি অন্যায় বলে ভাবছি। আমি কি আমার সহপাঠীকে জানাতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীস শরীফে রুখসতের মুকাবেলায় আযিমতকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে,
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শিক্ষকের জন্য এভাবে গুটিকয়েক জনকে পরীক্ষার বিষয়বস্ত সম্পর্কে অবগত করে দেওয়া কখনো জায়েয হয়নি। যাইহোক, তিনি যখন অবগত করেই দিছেন, তাই এখন আপনার দাযিত্ব হল, উনার অবগত করে দেওয়া পথকে গ্রহণ না করে নিজের মত করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যেহেতু শিক্ষকের অবগত করার পর নিজের মত করে প্রস্তুতি গ্রহণ অসম্ভব হয়ে যায়, তাই আপনি ক্লাসের সবাইকে অবগত করে দিতে পারেন।এক্ষেত্রে শিক্ষকের বিধিনিষেধ মান্য করা জরুরী হবে না।  ভবিষ্যতে শিক্ষক যদি অবগত করে দিতে যান, সাথে সাথেই আপনি প্রতিবাদ করবেন অথবা তৎক্ষনাৎ অন্যদিকে মনোযোগ দিবেন কিংবা সেখান থেকে হেকমতে চলে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...