আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার আর আমার স্বামী বিয়ের আগে এই সাথে পড়াশোনা করতাম এবং আমাদের মধ্যে রিলেশনশিপ ছিল। কিন্তু একটা সময় পরে আমরা দুইজনই ইসলামের পথে আসি এবং
আমরা হারাম সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার জন্য দুইজনের পরিবাররেই বিয়ের জন্য চাপ দেই।আমার পরিবার রাজি হলেও আমার   স্বামীর পরিবার এই সময়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি।কিন্তু আমার স্বামীর প্রেসারে তারা রাজি হয়। কন্ডিশন দেয় যে তারা তাদের রিলেটিভসদের জানাবেন না।আমাদের Masters শেষ হলে বিয়ের ব্যপারে জানাবে।আমার শ্বশুর এর কাছে সোসাইটি খুব ইম্পরট্যান্ট। সোসাইটির জন্য সব করতে পারে।সোসাইটি কি ভাব্বে এটা মেটার করে তার কাছে অনেক।
এই অবস্থায় আমি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়।প্রেগ্ন্যাসির বয়স ৩৮/৩৯ দিন। আমার স্বামী তার পরিবারের সাথে এটা নিয়ে কথা বললে তারা রাগারাগি করে।আর এখন যদি তারা আমাকে সামাজিক ভাবে তুলেও নেয় তাও প্রশ্ন আসবে আমার সন্তান নিয়ে।সবাই ভাববে আমি বিয়ের আগেই কনসিভ করেছি।কারন শ্বশুর জানাবেন না আমাদের বিয়ে যে আরও এক বছর আগে হয়েছে।
এই অবস্থায় কি আমরা বাচ্চা নষ্ট করতে পারব?
শরীয়ত কি বলে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং এ্যাবর্শন(গর্ভপাত) সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।যথাঃ-
(১)(চিরস্থায়ী)জন্মনিরোধ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ-এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে চিরস্থায়ীভাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
(২)(অস্থায়ী)জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে সন্তান জন্মানোর ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকা সত্বেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সন্তান জন্ম নিবে না।
(৩)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
(৪)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

তৃতীয় পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম। বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/446

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের পর বিয়েকে গোপন রাখা ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির সম্পূর্ণ উল্টো। সাইকে জানিয়ে বিয়ে করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ তা'গিদ করেছেন।আপনার শশুড় সবাইকে এটাও জানাতে পারতেন যে, বিয়েটা বছর খানেক পূর্বে পারিবারিক সম্মতিতেই হয়েছে। যেহেতু গোপনতার কন্ডশনেই তিনি সম্মতি দিয়েছেন, তাই তিনি কখনো জানাবেন না। কন্ডিশন মাইন্ডে রেখে আপনাদের উচিৎ ছিলো, আপাতত সহবাস থেকে বিরত থাকা বা আযল পদ্ধতি গ্রহণ করা। যাইহোক, যা হবার তা হয়েই গেছে, এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের জন্য গর্ভপাত করানোর সুযোগ থাকলেও গর্ভপাত থেকে বিরত থাকাই উচিৎ। যেহেতু ভ্রুণের বযস ৪০ দিন, তাই পারিবারিক শান্তি বজায় থাকার দৃষ্টিকোণ থেকে গর্ভপাত করানোর সুযোগ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...