আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আমার নামাজের মধ্যে ও অযুতে প্রস্রাব বের হয় সামান্য নড়াচড়ায়।আমি একটা ওয়াক্তে অনেক বার অযু করি এতে আমি অনেক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। শুধু আমার নামাজে এই রকম হয়। আমি বুঝি এটা আমার মানসিক সমাস্যার জন্য বের ব্রেন যেন বলে বের হও বের হও। তাও আমি অনেক ক্ষেত্রে  বের হয় আমি বুঝতে পারি নামাজে তবুও নামাজ পড়ে যাই যা কিন্তু লজ্জাস্থান থেকে বের হয় না তার ভিতরে থাকে অল্পপরিমান  বের হয় একদিরহামের চেয়ে কম হয়তো।এখন এই অবস্থায় আমি যতই অযু করবো ততই আমার রোগ বেড়ে যায় ৫ /৭ বার প্রায়ই অযু করি তারপর ও যখন নামাজে দাড়াই আবার বের হয় আমি নামাজ পড়ে ফেলি। নামাজ পড়ে তখন অনেক চিন্তা হয় আমার নামাজ হলো কিনা চিন্তায় শরীর খারাপ লাগে। এখন আমি কি করবো যতই অযু করবো ততই রোগটা বেড়ে যায়

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ثم المراد بالخروج من السبلين مجرد الظهور
فى رد المحتار: فلو نزل البول إلى قصبة الذكر لا ينقض بعدم ظهوره، يخالف القلفة، فإنه بنزوله إليها ينقض الوضوء (رد المحتار-١/٢٦٢؛ بدائع الصنائع-١/١٢١)
নাজাসত বের হওয়ার দ্বারা লজ্জাস্থানের বাহিরে নাজাসত প্রকাশ হওয়া উদ্দেশ্য। যদি প্রস্রাব লিঙ্গের ভিতরে থাকে,তবে ছিদ্রের বাহিরে না আসে, তাহলে নাজাসত প্রকাশ না হওয়ার কারণে অজু ভঙ্গ হবে না।তবে লিঙ্গের ভিতরে থেকে যদি ঐ চামড়ায় প্রস্রাব পৌছে যায়, যেই চামড়াকে খতনার সময়ে কর্তন করে নেয়া হয়, তাহলে অজু ভেঙ্গে যাবে।

ولو نزل البول الى قصبة الذكر لا ينقض، لأنه من الباطن، ولو خرج إلى القلفة او إلى اسكنى المرأة ينقض، لأنه من الظاهر (الفتاوى التاتارخانية-١/٢٤١، رقم- ١٨٥)
যদি প্রস্রাব লিঙ্গের ভিতরে থাকে,তবে ছিদ্রের বাহিরে না আসে, তাহলে নাজাসত প্রকাশ না হওয়ার কারণে অজু ভঙ্গ হবে না।তবে লিঙ্গের ভিতরে থেকে যদি ঐ চামড়ায় প্রস্রাব পৌছে যায়, যেই চামড়াকে খতনার সময়ে কর্তন করে নেয়া হয়, তাহলে অজু ভেঙ্গে যাবে।কেননা এটাকো লজ্জাস্থানের বাহির গণনা করা হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4271

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু প্রস্রাব লজ্জস্থান থেকে বের হচ্ছে না, তাই অজু করা প্রয়োজনিয়তা নাই। তাছড়া এক দিরহামের চেয়ে কম বের হলে, নামায পড়া যাবে। অজু ভঙ্গ হবে কি না? কিংবা মা'যুর কি না? এ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1746


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...