আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (4 points)
closed by

কুরাআন,সুন্নাহর বাইরে গিয়ে দুয়া কবুলের জন্য ১১দিনের আমল,৪০দিনের আমল,১২তম রমজানের আমল,বা স্পেসিফিক সংখ্যা হিসাব করে কোন জিকির এমন আমল কেন করতে হবে? সেটা হোক শত পরিক্ষিত, সালাফদের আমল।
অনেকেই বলবেন এসব আমল সুন্নত,ওয়াজিব না মেনে পরিক্ষিত আমল হিসেবে করলে বিদাআত হবে না।

কিন্তু আমার কথা হলো আমাদের অনুকরণীয়, অনুসরণীয় মানুষ একজন,আমাদের নবিজী (সা)। 
উনি যা শিখিয়ে গেছেন তা কি বিপদমুক্তি,বিয়ে-বাচ্চা বা অন্য দুয়া কবুলের জন্য যথেষ্ট নন?
আস্তাগফিরুল্লহ
কিন্তু কথাটা সেটাই দাঁড়ায়।
নবিজীর (সা) শেখানো আমল করবো, আবার এমন আমল করবো যা উনি শিখিয়ে যাননি; বিষয়টা কি দুই নৌকায় পা দেওয়ার মতো হয়ে যাচ্ছে না? আমাদের ইমান আখলাক কতটা ঠিক থাকবে এতে?

তারপরেও কেন দুয়া কবুলের জন্য, বিভিন্ন ইসলামিক গ্রুপগুলায় হাদিস রেফারেন্স ছাড়া এত এত আমলের ছড়াছড়ি?

বিশেষ করে বিয়ের জন্য বিভিন্ন গ্রুপগুলায় দিন,সংখ্যা হিসাব করে বহু আমল করতে বলা হয়। এগুলো কতটা শরিয়তসম্মত হাদিসের আলোকে জানতে চাই।

জাযাকিল্লাহ খাইরান

closed

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/75005/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

আরেক হাদীসে আছে-

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭

বিদ'আত কাকে বলে?
বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই। 

নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।

বিদআত বলা হয় দ্বীন বিষয়ক কোন নতুন কর্মকে, যার কোন দলীল শরীয়তে নেই। 

মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ অবশ্যই তোমাদের মধ্যে যারা আমার বিদায়ের পর জীবিত থাকবে তাঁরা অনেক রকমের মতভেদ দেখতে পাবে। অতএব তোমরা আমার ও আমার সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাহ অবলম্বন করো, তা দাঁত দ্বারা দৃঢ়তার সাথে ধারণ করো। (তাতে যা পাও মান্য কর এবং অন্য কোনও মতের দিকে আকৃষ্ট হয়ো না।) আর (দ্বীনে) নবরচিত কর্মসমূহ হতে সাবধান! কারণ, নিশ্চয় প্রত্যেক বিদআত (নতুন আমল) হল ভ্রষ্টতা।”(আবু দাঊদ ৪৪৪৩, তিরমিযী ২৮১৫, ইবনে নাজাহ ৪২ নং)

পারিভাষিক অর্থে বিদআত হলো, যে আমল বা কাজ নবীজী ও তার সাহাবা এবং তাবেয়ী যুগে ছিল না। সেই কাজ বা আমলকে সওয়াব মনে করে ইসলামের অংশ মনে করে করার নাম হল বিদআত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তিরমিজি শরীফ,আবু দাউদ শরীফ সহ হাদীসের অন্যান্য কিতাব গুলোতে প্রায় সব বিষয় নিয়েই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শিখিয়ে দেয়া যথেষ্ট দোয়া আছে। 
তবে সমাজে সাধারণ মানুষ গন এতো দোয়ার সাথে পরিচিত নন।

তাই হাদীস ব্যাতিত অন্যান্য দোয়া করতে দেখা যায়।

মূলত এ কথাতে কোনো সন্দেহ নেই যে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শিখিয়ে দেয়া দোয়া করাই সব চেয়ে উত্তম, এবং উক্ত দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

তবে কথা হলো হাদীস ব্যাতিত অন্যান্য দোয়া, আমল করা বিদ'আত হবে কিনা? বিশেষ করে প্রশ্নে বিবাহ সংক্রান্ত যেসব আমলের কথা এসেছে,সেগুলো বিদ'আত হবে কিনা?

এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...