আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতূহ সম্মানিত উস্তায।
একটা বিষয়ে  সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থির হতে পারছিলাম না যে আমি এতো বড়ো আসলেই পালন করতে পারব কী না!এরপর গতোকাল ইস্তিখারা করি দুয়া করি আল্লহ যেন আমাকে ইঙ্গিত দেয় কাজটা আমার জন্য কল্যাণকর কী না,তারপর স্বপ্ন দেখি-

আমাদের পাশের গ্রামে একজন নবী (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)  এসেছেন(নামটা এখন মনে নেই,স্বপ্নে মনে ছিল)। যিনি আমাদের ওদিকের মানুষদের সাতার কাটা শেখাচ্ছেন  এবং পানিতে থাকাবস্থায় বাচার কৌশল গুলো শিখাচ্ছেন।
আমি শেখানে শিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমিও একটা কাজে কোথাও যাচ্ছি তাই যাওয়া হয়নি।তবে কোনো আফসোস ছিল না সাতার কাটা নিয়ে কারন আমি ভালো সাতার কাটতে পারি। কিন্তু নবীকে (আঃ) দেখার জন্য আকুল হয়েছিলাম।এরপর আমি দায়িত্ব নিতে চাচ্ছি সেখানের যে মেইন, ঐ আপু আমাকে নবী(আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ছবি তুলে এনে দেখায়।আমি দেখতে পেলাম নবী (আঃ) সকল ছেলেদের শিখাচ্ছেন সেখানে কোনো মেয়ে নেই, এবং ছবিতে দেখতে পেলাম খালি গায়ে সবাই পানিতে শুয়ে আছে,মনে হলো মেডিটেশন করতেছে।
এরপর আমি আমার গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই,পথিমধ্যে কেও একজন আসে আমার বান্ধবী খুব সম্ভবত। ওর কী যেন হেল্প লাগবে আমার কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ওকে না করিনি।ওকে সে হেল্প করেছি।এরপর আরও দেখেছি মনে নেই।

এ স্বপ্নের দ্বারা পজিটিভ নাকি নেগেটিভ ইঙ্গিত বহন করে উস্তায?

বি.দ্র: আমকে তাজবীদের কোর্সের দায়িত্ব দেয়া হয়েছ।আমি খুব ভয় পাচ্ছি এতোবড়ো দায়িত্ব একা সামলাতে পারব কী না!(যদিও বর্তমানে অন্যকাফেলায় পড়াই) অনলি সিস্টার্স গ্রুপ।
জাযাকুমুল্লহু খইরন ফিদ-দুনইয়া ওয়াল আখিরহ
by (18 points)
বাস্তবে আমি সাতার কাটতে পারি তবে অনেক বেশি পারি না।নবী আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণ মানুষের মতোই দেখতে ছিলেন।শেষে মনে হয়েছিল নবী আঃ সাতার শিখিয়ে উনার দেশে চলে গেছেন।নবী আলাইহি ওয়াসাল্লাম রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনেএএএএএএকক পূর্বের কোনো এক নবী ছিলেন।সচরাচর উনার নাম সবার মাঝে খুব পরিচিত না।
যখন ঘুম ভেঙে যায় তখন ফজরের আযান হচ্ছিল চারিদিকে।

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/13381/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯) 

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ইস্তেখারা পজিটিভ বলেই মনে হচ্ছে।

পরামর্শ থাকবে,  উক্ত দায়িত্ব নিয়ে নেয়ার।
আপনি আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্ত হবেন,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...