আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,

উস্তায নিচের লিখাটা একজন হকপন্থি আলেমের নিকট থেকে পাওয়া,

❝❝প্রথমেই বলে নিই, এটা কোনও মাসনুন আমল নয়। মুজাররাব আমল। বুযুর্গানে কেরাম এমনটা করে উপকার পেয়েছেন। এমন করা সুন্নত নয়। মুস্তাহাব নয়। বড়জোড় মুবাহ বা বৈধ বলা যেতে পারে। এমন করা জরুরী মনে করলে, বেদআতের গুনাহ হবে। কুরআন কারীম ‘শিফা’ বা আরোগ্য, এই দৃষ্টিকোণ থেকে পড়া যেতে পারে। যদি কারও সমস্যাগুলো থাকে আরকি! এবং যদি মনে সায় দেয়!
.
১) সূরা দু‘হা ২৭ বার পড়া। প্রতিবার বিসমিল্লাহ সহকারে। প্রতিবার পড়ার সময়, (وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَىٰ) আয়াতটা সাতবার করে পড়া। অর্থাৎ  ২৭ বারে সাতবার করে এই আয়াত পড়া হবে সর্বমোট ১৮৯বার।
আমলটা কেন করা হবে?
ক. হারানো বস্তু পাওয়ার জন্যে।
খ. স্বামী বা স্ত্রী লাভের জন্যে।
গ. চাকুরি লাভের জন্যে।
ঘ. সন্তান লাভের জন্যে। (অবশ্য সন্তানের কথা শায়খ বলেননি। নিজের সংযোজন, পড়ে দেখা যেতে পারে। ক্ষতিও তো আর নেই। সন্তান লাভ না হলেও সওয়াব লাভ তো হবে)।

২) আর্থিক সমস্যা থাকলে, ধনসম্পদ লাভের ইচ্ছা হলে, সূরা দুহা পড়া হবে আগের মত ২৭ বার। তবে এবার (وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَأَغْنَىٰ) আয়াতটা প্রতিবারে ৭ বার করে পড়া হবে।❞❞

এখন আমার প্রশ্ন হলো,
১) জরুরী মনে না করে শিফার দৃষ্টিকোণ থেকে এই আমলটা করা যাবে?
২) করা গেলে একবার করলেই হয়ে যাবে নাকি সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত করে যাবো?
৩) হায়েজের সময় আমলটা করতে পারবো? (যেহেতু সুরা পড়তে হবে)

1 Answer

0 votes
by (597,180 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুজাররাব আমল। বুযুর্গানে কেরাম এমনটা করে উপকার পেয়েছেন। এমন করা সুন্নতও নয় আবার মুস্তাহাবও নয়। বড়জোড় মুবাহ বা বৈধ। এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে কুরআন কারীমকে ‘শিফা’ বা আরোগ্য এর নিয়তে পড়া যাবে।  বিদ'আত হবে না। 

حافظ ابنِ حجر عسقلانی رحمہ اللہ علیہ بدعت کا اِصطلاحی مفہوم ان الفاظ میں بیان کرتے ہیں :
"المحدثه" والمراد بها ما أحدث، وليس له أصلٌ في الشرع ويسمي في عرف الشرع ’’بدعة‘‘، وما کان له أصل يدل عليه الشرع فليس ببدعة، فالبدعة في عرف الشرع مذمومة بخلاف اللّغة : فإن کل شيء أحدث علي غير مثال يسمي بدعة، سواء کان محمودًا أو مذمومًا".
[’’محدثہ امور سے مراد ایسے نئے کام کا ایجاد کرنا ہے جس کی شریعت میں کوئی اصل موجود نہ ہو، اسی محدثہ کو اِصطلاحِ شرع میں ’’بدعت‘‘ کہتے ہیں، لہٰذا ایسے کسی کام کو بدعت نہیں کہا جائے گا جس کی اصل شریعت میں موجود ہو یا وہ اس پر دلالت کرے۔ شرعی اعتبار سے بدعت فقط بدعتِ مذمومہ کو کہتے ہیں لغوی بدعت کو نہیں۔ پس ہر وہ کام جو مثالِ سابق کے بغیر ایجاد کیا جائے اسے بدعت کہتے ہیں چاہے وہ بدعتِ حسنہ ہو یا بدعتِ سیئہ۔‘‘( ابن حجر عسقلانی، فتح الباری، 13 : 253)]

اس سے دونوں میں فرق واضح ہوجاتا ہے کہ ’’وظیفہ/ مجرب‘‘  کو دین کا ثابت شدہ حصہ نہیں سجھاجاتا، جب کہ ’’بدعت‘‘  کو دین کا ثابت شدہ حصہ اور لازم سمجھ کرکیاجاتا ہے، اگرکسی مجرب کو بھی لازم یا دین کا حصہ سمجھ کر کیا جانے لگے تو اسے بھی بدعت کہا جائے گا اور اس  کا ترک بھی واجب ہوگا۔ فقط واللہ اعلم
فتوی نمبر : 144111201649
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...