আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম
১। সামাজিক বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেক সময় এমন কিছু অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হয় যেখানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়।যেমনঃগান-বাজনা,ফ্রি-মিক্সিং ইত্যাদি।
এই সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিধান কি?
২। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক সময় বিধর্মীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য বাধ্য করা হয় এক্ষেত্রে বিধান কি?
৩।যে সকল অনুষ্ঠানে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয় এই সকলে অনুষ্ঠানে যদি শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করতে বলা হয় বা শেষে দুয়া করতে বলা হয় সেটি পরিচালনা করা যাবে কি-না?
 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
ولا يسقط الإنكار بالقلب عن المكلف باليد أو اللسان أصلا، إذ هو كراهة المعصية، وهو واجب على كل مكلف، فإن عجز المكلف عن الإنكار باللسان وقدر على التعبيس والهجر والنظر شزرا لزمه، ولا يكفيه إنكار القلب، فإن خاف على نفسه أنكر بالقلب واجتنب صاحب المعصية. قال ابن مسعود رضي الله عنه: جاهدوا الكفار بأيديكم فإن لم تستطيعوا إلا أن تكفهروا في وجوههم فافعلوا
তরজমাঃ
হাত বা জবান দ্বারা মন্দ কাজকে প্রতিহত করলে অন্তরের গৃনা রহিত হবে না,বরং অন্তর দিয়ে অবশ্যই গৃনা করতে হবে।কেননা তাহা তো গুনাহ হওয়ার ধরুণ গৃন্য।এবং গুনাহকে গৃনাহ করা প্রত্যেক জ্ঞানবান প্রাপ্তবয়স্কের উপর ওয়াজিব।
কেউ যদি জবান দ্বারা মন্দ কাজকে প্রতিহত করতে অক্ষম হয়,কিন্তু মনকে চিন্তিত ও ব্যথিত রাখতে এবং উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করতে ও তার দিকে হেয়প্রতিপন্নমূলক দৃষ্টি স্থাপন করতে সক্ষম হয়,তাহলে  তার জন্য তাই করা অত্যাবশ্যকীয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মনের অপছন্দ যথেষ্ট হবে না।অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে  যদি কেউ প্রাণনাশের আশঙ্কা করে তাহলে এমতাবস্থায় অন্তর দিয়ে গৃনা করা তার জন্য ওয়াজিব।শুধু তাই নয় বরং সাথে সাথে উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করাও তার জন্য ওয়াজিব।
ইবনে মাসউদ রাঃ বলেনঃ তোমরা কাফিরদের সাথে হাত দ্বারা যুদ্ধ করো।যদি তোমাদের চেহারায় গৃনা ও ব্যথিত হওয়ার চাপ প্রকাশ ব্যতীত আর কিছু না পারো তাহলে তোমরা তাই করো।
(৬/২৫১)
বিস্তারিত জানুন-১৯৮২

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১। সামাজিক বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেক সময় এমন কিছু অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হয় যেখানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়।যেমনঃগান-বাজনা,ফ্রি-মিক্সিং ইত্যাদি।
এই সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা নাজায়েয। 


২। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক সময় বিধর্মীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য বাধ্য করা হয়, এক্ষেত্রে বিধান হল,এ সব অনুষ্টানে অংশ্রগহণ করা যাবে না।


৩।যে সকল অনুষ্ঠানে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয় এই সকলে অনুষ্ঠানে যদি শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করতে বলা হয় বা শেষে দুয়া করতে বলা হয় তাহলে সেটা পরিচালনা করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...