আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। দয়া করে দ্রুত আমাকে মাসআলা জানিয়ে উপকৃত করুন। খুব অসহায় লাগছে নিজেকে।
আমি একজন মেয়ে। আমি ছোট থেকে পর্দা দ্বীনদারিতায় অভ্যস্ত। কখনো গায়রে মাহরামদের সাথে হারাম সম্পর্কের কথা ভাবতেই পারতাম না।হঠাৎ একদিন অনলাইনে আমার দ্বীনদার একজন ছেলের সাথে প্রয়োজনে কিছু কথা হয়। একসময় কথা বলতে বলতে সেই মানুষটা আমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে।তার দুর্বলতা দেখে আমিও তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। একটা সময় প্লান করলাম, সে যদি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাহলে রাজি হয়ে যাবো। আর কিছুদিন পর সে আমাকে সত্যি সত্যি বিয়ের প্রস্তাব দিলো। সে আমাকে জানালো সে আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে। কিন্তু সে একজন বিবাহিতপুরুষ । তার বউ বাচ্চা আছে। সে এখন আমাকে ২য় বিয়ে করতে চায়। আগে আমি জানতামই না যে সে বিবাহিত।আর না জেনেি ততদিনে তাকে অসম্ভব ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ শুনলাম সে বিবাহিত পুরুষ! এটা কিছুতেই আমার মন মানতেই পারলো না।তাই তাকে বললাম যে,"আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না।আমি পারবো না আপনার পূর্বের সংসার মেনে নিতে।" কষ্ট হবার পরো তাকে আমার থেকে দুরে সরানোর চেষ্টা করতে লাগলাম।যোগাযোগ বন্ধ করে দিলাম।কিন্তু সে নাছোড়বান্দা। আমি তাকে অনলাইনে যত দুরে সরানোর চেষ্টা করি সে তত বেশি আমাকে কল মেসেজ দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করতে থাকলো।তার এক চাওয়া, সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি তাকে নানা কথা বলে স্বান্তনা দিতাম আর বোঝাতে থাকতাম যে, আমার পক্ষে  বিয়ে করা সম্ভব না। ঘুরে ফিরে বারবার আমাদের মাঝে শুধু একটাই কথা হতো যে, সে আমাকে নাকি ভালোবাসে, বিয়ে করতে চায়। হালাল হতে চায়।আর আমি তাকে এটা বলি যে, "আমিও ও আপনাকে পছন্দ করি।কিন্তু আপনি বিবাহিত এই কারনে আমি চাইলেও আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না।পরিবার মানবে না। "
এভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় দুবছর কেটে গেছে। তার আমার মাঝে এসব কথা বার্তা চলতেই থাকে। সে না পারে আমাকে ভুলতে আর আমি না পারি তাকে বিয়ে করতে! মানে দুজনই অপরাগ।আমি নিজের নফসের সাথে বহুবার যুদ্ধ করতাম আল্লাহর কাছে তওবা করতাম,কান্না করতাম। কিন্তু কয়মাস পর পর নিজের মনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবার তার সাথে কথা বলায় লিপ্ত হয়ে যেতাম। তারপর আস্তে আস্তে আমি তার ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেলাম। আমি জানতাম তার সাথে কখনোই বিয়ে হবে না।কিন্তু তারপরো কেন যেন কথা বলা দুজন বন্ধ করতে পারতাম না।একদিন তাকে আবেগতাড়িত হয়ে বলে বসলাম," আমাদের কি কখনো বিয়ে হবে না!" সে বললো, "তুমি বললে আজকেই বিয়ে হবে।" তবে সে আমাকে তার পরিবারের সব তথ্য দিলো।আর আমাকে কিছু শর্ত দিলো। সে বললো, সে আমাকে গোপনে বিয়ে করতে চায়। আমি যতটাকা মোহর চাইবো সে আমাকে তাই দিবে,আমি যেভাবে থাকতে চাইবো সে আমাকে সেভাবে রাখবে। সে আমার সব শর্তে রাজি।  তারপর সে আমাকে  বললো," তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি আছো? আমার জ্ঞান তখন কাজ করছিলো না।তাকে বলতাম," আমি জানি না।আমার আপনাকে পছন্দ কিন্তু আপনি বিবাহিত। কিভাবে ই বা বিয়ে করবো! " যখন বুঝতাম বিয়ে করা সম্ভব নয়,তখন দুজনই কথা বলা বন্ধ করে দিতাম। কথা হতো না অনেকদিন। তারপর আবার কিছুদিন পর আমাকে সে বলতো, "তোমাকে বিয়ে করতে চাই. তুমি যখন বলবে তখনই তোমার জন্য আমি রাজি।তুমি কি রাজি না? তুমিই আমার বউ।" এসব বলতো।আমি বলতাম, "আমি রাজি থাকলে হবে নাকি? আমার পরিবার তো মানবে না।" তো এভাবে আমাদের বিয়ে নিয়ে কথা চলতে লাগলো। সে বিয়ে করতে চায়। আমিও চাই।কিন্তু পরে যখন মনে হয় সে তো বিবাহিত পুরুষ! তখন আমার মন মেনে নিতে পারে না। আবার তাকে ভুলতেও পারি না। পরে আল্লাহর কাছে শুধু কান্না করতাম। শুধু দোআ করতাম, আল্লাহ আমাকে এই হারাম থেকে বাঁচান। আমি চাই না বেগানা পুরুষের সাথে কথা বলে আপনাকে অসন্তুষ্ট করতে।এভাবে নিজের সাথে যুদ্ধ আর দোআ করতে লাগলাম।কিছুদিন হলো  তার সাথে কথা বলা বন্ধ একদম করে দিয়েছি।আমার এখন আর তার সাথে কথা বা যোগাযোগ হয় না।তার জন্য এখন আর আমি  মনে টান অনুভব করছি না। আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু হঠাৎ করে আমার মনে প্রচন্ড সন্দেহ কাজ করছে আর প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে  কয়টি বিষয় নিয়ে।  যার সমাধান বের করতে পারছি না। তাহলো -
১. এই যে দুবছর ধরে তার সাথে আমার একটা ভালোলাগা ছিল। সেও আমাকে ভালোবাসতো।এখনো বাসে।আমরা বিয়ে নিয়ে প্রচুর কথা বলতাম। সে আমাকে বার বার জিজ্ঞেস করতো আমি রাজি কি না! আমি বলতাম,  "আমি আপনাকে পছন্দ করি।কিন্তু আমি রাজি থাকলেই কি হবে! আমার পরিবার তো মানবে না।" এখন আমার জিজ্ঞাসা হলো, দুজনের মাঝে এসব বিয়ে সংক্রান্ত নানারকম কথা বার্তার কারনে কি আমাদের বিয়ে হয়ে  যাবার সম্ভাবনা আছে? আমি জানি বিয়ে তে দুজন সাক্ষী লাগে।মোহর নির্ধারন করতে হয়। আমাদের এসব কথা যখন হতো তখন  অন্য কেউ এসব দেখে নি বা শুনে নি।কারন মেসেজে কথা আদানপ্রদান হতো। আল্লাহ ছাড়া আর কেউ এসব জানার কথা নয়। তারপরো আমার মনে শুধু একটাই সন্দেহ আসছে যে, আমাদের কি কোন না কোনভাবে বিয়ে হয়ে গেলো কি না! শুধু নারি পুরুষ  দুজন রাজি থাকলেই বিয়ে হয় না এটা আমি জানি। কিন্তু আমি মনকে কিছুতেই বোঝাতেই পারছি না যে, আমাদের  বিয়ে হয় নি,এভাবে বিয়ে হয় না। সারাদিন একটু পর পর শুধু মনে এই কথা আসে যে, আমাদের হয়তো বিয়ে হয়ে গেছে।
2. দুবছর পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পেরেছি।এখন তার সাথে আমার যোগাযোগ হয় না কিছুদিন।আমি চাই পরিবার যার সাথে আমার বিয়ে দিতে চাইবে তাকেই বিয়ে করবো। কিন্তু আমার শুধু মনে এই ভয় কাজ করছে,  দুবছর কথা বললাম যার সাথে, সেই মানুষটার সাথে কোনভাবে যদি সত্যিই আমার বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে তো এখন পরিবারের পছন্দে অন্য কোনো ছেলেকে বিয়ে করলে হয়তো আমার বিয়ে শুদ্ধ হবে না।হয়তো পরিবারের পছন্দে অন্য কাউকে বিয়ে করলে আমার জিনা হবে।আর হয়ত সেই ঘরে আমার সন্তান হলে সেই সন্তানও অবৈধ হবে।
3. এসব এলোমেলো চিন্তা মাথায় ঘুরছে আমি চাইলেও সরাতে পারছি না। আপনাদের বুঝার জন্য ওই ভদ্রলোকের সাথে আমার কেমন সম্পর্ক ছিলো বা কি কি কথা হয়েছিল, সেই বিষয়ে আমি সবটুকু লিখেছি।এখন আপনারা দয়া করে বলুন আমার কি করা উচিত?অন্যত্র বিয়ে করলে যদি জেনা হয় তখন কি হবে? এই ভয় আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। পাগল হয়ে যাচ্ছি এসব ভেবে। পরিবর আমার জন্য পাত্র খুজছে। বিয়ে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু এসব চিন্তা আমাকে গ্রাস করে ফেলছে। আমিও এই ফিতনাহ থেকে বাঁচতে বিয়ে করতে চাচ্ছি। কিন্তু যদি বিয়ে সহিহ না হয়ে, জেনা হয় এই ভয়ে রাজি হতে পারছি না! সাহায্য করুন জনাব।
লম্বা লেখার জন্য দুঃখিত। আমি আতঙ্কিত বিষয়টা নিয়ে।ক্ষমা করবেন।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামে বিবাহ পূর্ব প্রেম স্পষ্ট  হারাম।

হাদীসে রাসূলুল্লাহ বলেছেন-

اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْككَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه

দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, যবানের ব্যভিচার হল অশোভন উক্তি, হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (মেশকাত ১/৩২)

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/3298/

দুনিয়ার আগুন শরীরের শুধু বাহ্যিক অঙ্গ পোড়াতে পারে। পোড়াতে পারে না তা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ। কিন্তু জাহান্নামের আগুনের এমন পাওয়ার থাকবে যা জাহান্নামিদের শরীর পোড়ানোর পাশাপাশি তাদের হৃৎপিণ্ডও পুড়িয়ে ছাই করে ফেলবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এটি আল্লাহর প্রজ্ব¡লিত অগ্নি, যা তাদের হৃদয়কে গ্রাস করে ফেলবে।’ (সূরা হুমাজা : ৬-৭) দুনিয়ার আগুন লাল বর্ণের হয়ে থাকে। কিন্তু জাহান্নামের আগুন তীব্র উত্তপ্ত হওয়ার দরুণ কালো বর্ণের হবে।

আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘জাহান্নামের আগুন এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা লাল বর্ণ ধারণ করেছে। আবার এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা সাদা বর্ণ হয়েছে। তারপর এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা কালো বর্ণ হয়েছে। এখন তা গভীর অন্ধকার রাতের অন্ধকারের মতো কালো (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৪৩২০)। ‘জাহান্নামিরা যখন পিপাসায় ছটফট করবে তখন তাদেরকে গলিত পুঁজ পান করানো হবে, যা সে এক এক ঢোক করে গিলবে’ (সূরা ইবরাহিম : ১৬-১৭)।

রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘পুঁজ যখন তার মুখের নিকটে নিয়ে আসা হবে, সে তা অপছন্দ করবে। তারপর যখন আরো নিকটে নিয়ে আসা হবে, তখন তার মুখমণ্ডল পুড়ে যাবে এবং মাথার চামড়া গলে পড়ে যাবে। তারপর সে যখন তা পান করবে তখন তার নাড়িভুঁড়ি গলে ছিন্নভিন্ন হয়ে মলদার দিয়ে বের হয়ে যাবে।’ (জামে তিরমিজি :২৫৮৩)

 ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত, একদিন রাসূলুল্লাহ সা: এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন, অর্থাৎ ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং পূর্ণ মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ তারপর প্রিয় নবী সা: ইরশাদ করলেন, ‘যদি জাক্কুম গাছের একটা ফোঁটা এই দুনিয়ায় পড়ে তাহলে দুনিয়াবাসীর জীবনোপকরণ বিনষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ওইসব লোকের কেমন দুর্দশা হবে এটা যাদের খাদ্য হবে?’ (জামে তিরমিজি : ২৫৮৫)

রাসূল সা: জাহান্নামের সবচেয়ে সহজ শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘জাহান্নামিদের মধ্যে সবচেয়ে সহজ শাস্তি ওই ব্যক্তির হবে, যাকে ফিতাসহ এক জোড়া জুতা পরিয়ে দেয়া হবে। এতে তার মগজ এমনভাবে টগবগ করবে গরম পানির পাত্র যেমন টগবগ করে। সে ধারণা করবে তার থেকে কঠিন আজাব আর কেউই ভোগ করছে না। অথচ সে হবে সবচেয়ে সহজ শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। (সহিহ মুসলিম : ৩৬৪)

প্রিয় পাঠক! জাহান্নামের সবচেয়ে সহজ শাস্তির যদি হয় এমন পাওয়ার তাহলে কঠিন শাস্তির পাওয়ার কেমন হবে? তা আমাদের ভাবতে হবে। প্রতিদিন কত গুনাহ আমরা করে যাচ্ছি অহরহ। কখনো কি ভেবে দেখেছি, এর শাস্তি যদি আমাকে দেয়া হয় তাহলে কিভাবে সহ্য করব? অথচ জাহান্নামে যাওয়ার জন্য একটি কবিরা গুনাহ-ই যথেষ্ট। মহান আল্লাহ তায়ালা যদি আমাদের মাফ না করেন, তাহলে আমাদের কী উপায় হবে? আল্লাহ তায়ালা আমাদের জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হিফাজত করুন।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. জ্বী না! উক্ত কথা বার্তা বলার দ্বারা আপনাদের মাঝে বিবাহ হয়নি। তবে আপনাকে সাধুবাদ জানাই যে, আপনি ঐ হারাম রিলেশনকে পরিত্যাগ করেছেন। সুতরাং অতীত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থী হোন এবং এই হারাম রিলেশন পরিত্যাগ করার কারণে যদি ঐ ছেলেটি আপনাকে কোন অভিশাপ দেয় তা আপনাকে লাগবে না। এতে যদি সে কষ্টও পায় তাতেও আপনার কোন গুনাহ হবে না। কারণ, বান্দা যখন কোন হারাম কাজ থেকে তওবা করেন, তখন আল্লাহ তার প্রতি খুশী হন। আর মানুষ কোন গুনাহের কাজ করে আল্লাহ তাতে নারাজ হয় এবং শয়তান খূশী হয়। আর আমরা সর্বদা আল্লাহ কে খুশী করার চেষ্টা করবো এতে যদি অন্য কেউ কষ্ট পায় তাতে কোন আসে যায় না।

এছাড়া হারাম কাজ থেকে তাৎক্ষণিক ফিরে আসা ওয়াজিব। সুতরাং অন্যজন কষ্ট পেলে তাতে আপনার কিছু যায় আসে না।

২. জ্বী আপনার জন্য তাওবা করার পর অন্যত্র বিবাহ করা জায়েয আছে। এতে অহেতুক বিচলিত হওয়া যাবে না।

৩. তওবার মাধ্যমে বান্দার হক ব্যাতিত সকল গোনাহই ক্ষমা হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করা হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। পূর্বের পাপের জন্য ক্রমাগত গুনাহ্ হবেনা। বিধায় পূর্বের কৃত গুনাহের কথা স্বরণ হওয়া মাত্র ইস্তিগফার করবেন এবং জিকির ও কুরআন তেলাওয়াতে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন। পূর্বের গুনাহের বিষয়গুলো ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...