আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
589 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার একজন পরিচিত দম্পতি পাঁচ বছর যাবৎ সংসার করছেন। এতদিনে তাদের কোন সন্তান-সন্ততি হয়নি। তারা সবরকমের চিকিৎসা করিয়েছেন কিন্তু তাদের কোন সমস্যা ধরা পড়েনি। কিছুদিন পূর্বে এক রাক্বী ভাইয়োর মাধ্যমে ভাই জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী কে বন্ধ্যা করে রাখা হয়েছে জাদুটোনার মাধ্যমে। এবং এই কাজটি তাদের খুবই নিকট আত্মীয়া করিয়েছে। উল্লেখ্য যে এই দম্পতি নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন বলে সেই আত্মীয়া তাদের উপর খুবই অসন্তুষ্ট।  ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন কবিরাজ নির্ভরশীলা মহিলা। পান থেকে চুন খসলেও কবিরাজের শরণাপন্ন হন। এই বিষয়টি সেই ভাই পরিবারের কাউকে বলেননি। কিন্তু তিনি খুবই ব্যাথিত বিষয়টি নিয়ে। দয়া করে কি জানাবেন ওই আত্মীয়ার সাথে এখন তাদের কি রকম ব্যবহার করা উচিত? তাকে কি এই বিষয়টি জানিয়ে জবাবদিহিতা চাওয়া উচিত? নাকি বিষয়টি গোপনই রাখবেন?  ইসলামে এই কাজের ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তির বিধান কি? জুলুমকারীকে ক্ষমা করে দিলে সে কি শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কেউ জাদু করতে পারে। জাদুর মাধ্যমে কারো ক্ষতিও করা যায়। জাদুর মাধ্যমে এ ধরনের কারো ক্ষতি করার কেউ যদি চেষ্টা করে, সেটা করাও সম্ভব; অসম্ভব নয়। জাদুর একটা প্রভাব স্বীকৃত। এটি আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কোরআনের মধ্যে বলেছেন। কিন্তু এর মাধ্যমে মানুষের তাকদিরের পরিবর্তন হয় না। এটি খেয়াল রাখতে হবে, এর মাধ্যমে তার তাকদিরের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এটি জাদু। এর মাধ্যমে মানুষের কিছু ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। একমাত্র আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের হুকুমেই তা সম্ভব।

সুতরাং জাদুর মাধ্যমে স্ত্রীকে বন্ধ্যা করে রাখা হয়েছে, সেটা মানা যায় না।কেননা সবকিছুর ভাগ্যনির্দেশক আল্লাহ।তাকদীরের ফয়সালাকারী আল্লাহ।সুতরাং জাদু দ্বারা কারো ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যায় না।


এছাড়া আপনার শারিরিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে আমরা পরামর্শ দেবো
সর্বপ্রথমে বলবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন-১০৯৩
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।দেখুন-১৮১৬
(এলাজে কুরআনী-০৩)

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো জাদু ও জ্বীনের আসর উভয় বিষয়েই কার্যকর হবে ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...