বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
5227 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
প্রশ্ন হল, রাসূলুল্লাহ সাঃ বা সাহাবায়ে কেরামগণ কি খতমে কুরআন বা খতমে বোখারী পড়েছেন?
উত্তর হল, না।
তাহলে কি এ বা এজাতীয় খতম বিদ'আতের অন্তর্ভুক্ত ?
এর উত্তর বুঝার পূর্বে এ সম্পর্কীয় একটি মূলনীতি আমাদের বুঝতে হবে।
এসব খতমের অবস্থান হল, ডাক্তারদের অভিজ্ঞতালব্দ পথ্যের মত। অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ যেমন তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বের করেছেন যে, জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেলে ভাল হয়, ঠান্ডা লাগলে ওরাডিন ইত্যাদি ঔষধ খেলে ভাল হতে পারে,তেমনি বুযুর্গানে দ্বীন তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জেনেছেন যে, কিছু কিছু নির্দিষ্ট খতমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু ফায়দা হয়ে থাকে। তাই তারা বুযুর্গানে দ্বীন থেকে বিভিন্ন খতমের প্রমাণ পাওয়া যায়।এসবই অভিজ্ঞতালব্দ বিষয়। কোনটিই দ্বীনের বিষয় নয়। বা কুরআন ও হাদীস থেকে প্রমাণিত বিষয় নয়। এসবকে কেউ সওয়াবের কাজও মনে করে না। বরং প্রয়োজন পূরণের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।যেমন ডাক্তারের সাজেশন অনুপাতে ঔষধ সেবন। তা’ই ডাক্তারের পরামর্শ অনুপাতে পথ্য সেবন যেমন হারাম ও বিদআত নয়, তেমনি কতিপয় দুনিয়াবী উদ্দেশ্য হাসিলের আশায় বুযুর্গদের অভিজ্ঞতালব্দ উপরোক্ত খতম পড়াও হারাম বা বিদআত নয়।হ্যাঁ, এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদআত। কেননা দু'আয়ে ইউনুস হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলে ও সংখ্যা কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।নতুবা এমনিতে আমল করতে কোন সমস্যা নেই।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বেহেশতি জেওরে সেটা মূলত উপরোক্ত খতম শীর্ষক আলোচনায় খতমের মতই।অর্থাৎ এ সমস্ত তাবিজের অবস্থান হল,
ডাক্তারদের অভিজ্ঞতালব্দ পথ্যের মত। অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ যেমন তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বের করেছেন যে, জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেলে ভাল হয়, ঠান্ডা লাগলে ওরাডিন ইত্যাদি ঔষধ খেলে ভাল হতে পারে,তেমনি বুযুর্গানে দ্বীন তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জেনেছেন যে, কিছু কিছু নির্দিষ্ট তাবিজ দ্বারা নির্দিষ্ট কিছু ফায়দা হয়ে থাকে। তাই তারা বুযুর্গানে দ্বীন থেকে বিভিন্ন তাবিজের নকশা লিখে থাকেন। এসবই অভিজ্ঞতালব্দ বিষয়। কোনটিই দ্বীনের বিষয় নয়। বা কুরআন ও হাদীস থেকে প্রমাণিত বিষয় নয়। এসবকে কেউ সওয়াবের কাজও মনে করে না। বরং প্রয়োজন পূরণের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।হ্যাঁ, এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদ'আত।
সুতরাং থানভী রাহ বেহেশতি জেওর কিতাবে পূর্ববর্তী বুজুর্গানে কেরামের অভিজ্ঞতা সম্ভলিত কিছু তাবিজ এবং তাবিজের নকশাকে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।এগুলো কুফরি বা শিরকি হবে না।।