ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/94718/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত
রয়েছে,
لَا بَأْسَ بِأَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْمُسْلِمِ وَالذِّمِّيِّ مُعَامَلَةٌ إذَا كَانَ مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ
মুসলমান ও অমুসলমানের মধ্যে মু'আমালা তথা ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সংগঠিত হওয়াতে কোনো সমস্যা
নাই,
যদি এছাড়া অন্য কোনো রাস্তা না থাকে। (ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-৫/৩৪৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/94704
★ইসলামের দিক-নিদের্শনা
হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা
করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ
ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই
সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর
ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই।
তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে
হবে।
যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর
পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার
কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর
সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।
■ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
تجب
السكني لها عليه في بيت خال
মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের
ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত, ১/৬০৪)
আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/46394/
আরো জানুন- https://ifatwa.info/26113/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. মুসলমান কোম্পানীর তৈরী করা
প্রোডাক্টস ক্রয় করা বা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
২. জ্বী হ্যাঁ, ছিলেন।
৩. ধীরে ধীরে কৌশলে এটা বন্ধ করানোর চেষ্টা করবেন। তাকে বিভিন্ন
জিনিস দিতে পারেন। সে না নাচলে। হয়তো সে লোভেও নাচ থেকে বিরত থাকতে পারে। এখন সে তো
অনেক ছোট আছে। হয়তো একটু বড় হয়ে গেলে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তাই আল্লাহর কাছে দুআ
করতে থাকুন।
৪. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর সামর্থ্য
থাকলে আপনার জন্য আলাদা বাসস্থান ব্যবস্থা করা আপনার স্বামীর উপর আবশ্যক এবং আলাদা
বাসস্থানে থাকা আপনার জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই আপনি ও আপনার স্বামী আলাদা বাসস্থানে
থাকাতে আপনাদের কোনো গোনাহ হবে না। তবে তবুও তাদের সাথে একটু যোগাযোগ ও ভালো ব্যবহার
করবেন এবং তাদের একটু খোজ খবর নিবেন।
বোন, প্রথমত আমাদের পরামর্শ থাকবে যে, আপনি আপনার পরিবারের মুরুব্বী
ও তাদের পরিবারের মুরুব্বীদের মাঝে বিষয়টি জানিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করতে পারেন
এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে খুব বেশী বেশী দুআ করতে থাকবেন। বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ
পড়ে। অন্তরকে পরিবর্তন করে দেওয়ার মালিক তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালা।
তারপরও যদি তারা পরিবর্তন না হয় এবং আপনার ওপরে জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতন করতে
থাকে তাহলে আপনি আপনার পরিবারের লোকদের সাথে পরামর্শ ক্রমে আবার ইস্তেখারা করে ডিভোর্স
বা অন্য কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।