ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সাহু সিজদা করা অবস্থায় দুই সাহু সিজদার মাঝখানে লম্বা দু'আ করে নিলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ বলেন,
(إلا إذا) شرع الإمام في القراءة سواء (كان مسبوقا) أو مدركا (و) سواء كان (إمامه يجهر بالقراءة) أو لا (ف) إنه (لا يأتي به) لما في النهر عن الصغرى: أدرك الإمام في القيام يثني ما لم يبدأ بالقراءة، وقيل في المخافتة يثني،
যখন ইমাম ক্বেরাত শুরু করে দিবেন,চায় মুক্তাদি মাসবুক হোক বা মুদরিক হোক বা ইমাম ক্বেরাতকে জোরে পড়ুক অথবা আস্তে পড়ুক,তখন মুক্তাদি ছানা পড়বে না।নাহর কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,মুক্তাদি ইমামকে ক্বিয়াম অবস্থায় পেলো,তখন ইমাম ক্বিরাত শুরু না করার পূর্ব পর্যন্ত মুক্তাদি ছানা পড়তে পারবে,কেউ কেউ বলেন-নিম্নস্বরের ক্বিরাত হলে ছানা পড়বে। (আদ্দুর্রুল মুখতার-১/৪৮৮,ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-২/১২২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজ শুরুর কিছু পর কেউ ১ম রাকাতে শরিক হলেন। ইতমধ্যে ইমাম সাহেব সিররি কেরাত পড়া শুরু করে দিয়েছেন। তাহলে মুক্তাদি আর সানা পড়বে না।
(৩)
জামাতে নামাযে ইক্তিদা করার পর মুক্তাদি বুঝলেন - তিনি যাকে ইমাম ভেবেছেন তিনি ইমাম নন, অন্য কেউ নামায পড়াচ্ছেন, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।