বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/34117/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
■
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا
كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا
يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ
مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ
এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের
কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই
কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (সূরা হুজুরাত-১২)
■
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে
বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ
رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى
عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
: ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ
أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ
كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ
أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়।
তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ।
তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা
করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি
বলতে পারবে), তবে আল্লাহর
সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র
করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪) (সহীহ
বোখারী-৬০৬১)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১-২. আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা
চেয়ে নিবেন। আর সময়-সুযোগ করে ঐ ব্যক্তির কাছে মাফ চেয়ে নিবেন। ঘটনা
উল্লেখ করতে লজ্জাবোধ করলে এভাবে মাফ চেয়ে নিবেন যে, অনেক সময় আপনার অজান্তে হয়তো
ভুল ত্রুটি করে ফেলেছি। তাই ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি আপনি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এভাবে ঈদের সময়ও মাফ চেয়ে নিতে পারেন
৩. নামাজ ভেঙ্গে যায় এমন ভাবে
ভুল উচ্চারণ করে পড়লে অবশ্যই উক্ত নামাজ আবার পড়তে হবে।