আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমার প্রশ্ন হচ্ছে গতানুগতিক সুদি ব্যাংকগুলোতে যে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয় সেই কাড আমি নিয়ে এমন ভাবে টাকা ওদেরকে আমি শোধ করে যে কোন সুদ দেওয়া লাগছে না সে ক্ষেত্রে কি এটি জায়েজ হবে

যদি সেটি জায়েজ না হয় আমি শুনেছি ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ক্রেডিট কার্ডের যেই কাগজ দেওয়া হয় মানে যে শর্তে আমাকে প্রথমে আমি অ্যাকাউন্ট খুলি মানে হচ্ছে যে চুক্তিতে তারা আমার সাথে অ্যাকাউন্ট খুলে সেটি নাকি জায়েজ আছে তো সেই ইসলামী ব্যাংক থেকে যদি আমি ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এমনভাবে আমি ইউজ করি যে আমাকে কোন অতিরিক্ত টাকা দেওয়া লাগছে না ,যা খরচ করি এটা ৪৫ দিনের মধ্যে দিয়ে দিলে নাকি ওই টাকাই ওদেরকে দেওয়া লাগে এভাবে যদি আমি ব্যবহার করি সেটা কি জায়েজ হবে কিনা

আর আরেকটা জিনিস ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই মাধ্যমে যে জিনিসগুলো কিনা হয় মনে করেন একটা জিনিসের বর্তমান দাম আছে ১ লাখ টাকা তো আমি এম এর মাধ্যমে যদি ওটা ১২ অথবা ২৪ এম আই তে দিয়ে অথবা সেটা দাম ১ লাখ ১০ অথবা ১ লাখ ২০ আসবে ।বর্তমান মূল্য কম কিন্তু কিস্তিতে বেশি মূল্য দিতে হবে সেটা নাকি জায়েজ আছে এ সম্পর্কে আমি জানতে চাচ্ছিলাম

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
৪৫ দিনের ভিতর টাকা ফেরত দিয়ে দিলে তখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার নাজায়েয হবে না। নতুবা সুদ হবে।

(২)
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)

হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন,  ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/325


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...