আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।


আমি একজন মেয়ে। আমার বয়স ২৮ বছর। একটা ছেলের সাথে রিলেশনে আছি ৬বছরের বেশী সময় ধরে। এর মাঝে দ্বীনের বুঝ পাই,আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বিয়ে করতে পারছিলাম না।কারণ ছেলের পড়ালেখা শেষ হয়নি। আমার অনার্স শেষ হওয়ার ১ বছর পার হয়ে গিয়েছে।অনার্স শেষের পর থেকেই বাসায় বিয়ের কথা বলছিলাম।কিন্তু ওরা ছেলের চাকরি হওয়ার আগে আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছে না। এই বছরের শুরু থেকেই খুব চেষ্টা করে যাচ্ছি বিয়েটা দিয়ে দেওয়ার। কাউকে রাজি করাতে পারছি না। শেষ কয়েক মাস যাবত খুব ভেঙে পড়েছি আমি। এইদিকে ছেলে কয়েক জায়গায় এক্সাম দিয়ে টিকে আছে বাট ফাইনাল রেজাল্ট হচ্ছে না। জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকেই খুব করে আব্বু আম্মুকে বললাম এইবার তো বিয়েটা দিয়ে দাও।কেউ মানছেনা। আমি আসলে একদম টায়ার্ড সবাইকে বলতে বলতে।লজ্জা শরম সব ছেড়ে দিয়ে কত করে আব্বু আম্মুকে বললাম।বাট ওদের মন কিছুতেই গলাতে পারিনি। আমি আর হারাম সম্পর্ক টানতে পারছিনা।আমার মুক্তি চাই।শেষ কয়েক মাস ধরে নিজেকে পাগলের মতো লাগে।সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে।

ওস্তাদ এই পাপ থেকে বাঁচার জন্য বাসায় না জানিয়ে আমরা বিয়েটা করে নিতে পারি?যেহেতু ২ফ্যামিলির মেম্বারের আমাদের বিয়েতে কোনো আপত্তি নেই।শুধু একটা চাকরির জন্য সব থেমে রয়েছে। সবার কথা মতো ২০২৫ এর মার্চ - এপ্রিলে আমাদের বিয়ে দিবে।ততদিন ছেলের একটা চাকরি হয়ে যাবে ইং শা আল্লাহ। এই যে কারো অমত নেই বিয়েতে।এই মুহূর্তে আমরা না জানিয়ে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নিতে পারবো? দরকার হয় আমরা নিজেরা বাসা থেকে বিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত আলাদা ই থাকবো।যেহেতু ২জনই হলে আছি আপাতত। আমাদের মাস্টার্স রানিং।শুধু হারাম থেকে বের হতে চাই আমি।আর পাপ বাড়াতে চাচ্ছি না।এইভাবে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করলে বিয়েটা হালাল হবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা কখনো মাতাপিতার অগোচরে বিয়ের পরামর্শ দেবো না। বরং সর্বদাই বলে থাকি যে, মাতাপিতাকে সাথে নিয়েই বিয়ে করুন। যেভাবে মাতাপিতার অগোচরে বিয়ে করা সন্তানের জন্য উচিৎ নয়, ঠিকতেমনি সন্তানের পছন্দ-অপছন্দের প্রতি বে-খেয়াল ও অমনোযোগী হওয়াও উচিৎ নয়। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতুে আপনাদের  উভয়ের ফ্যামিলির আপনাদের বিয়েতে কোনো আপত্তি নেই। শুধু একটা চাকরির জন্য সব থেমে রয়েছে। তাই আপনারা এখনই দুই জন সাক্ষী রেখে বিয়ে করে নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...