ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি এখনই মাতাপিতাকে অবগত করতে যাবেন না।বরং ইশারা ইঙ্গিতে ছোট ভাইকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। যদি ইশারা ইঙ্গিতে বুঝানোর চেষ্টা করার পরও ছোট ভাইটি না বুঝে, তাহলে সরাসরি বুঝানোর চেষ্টা করুন।
এক্ষেত্রে সর্বদা নরম ভাষা ব্যবহার করুন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)
ভাইটিকে বুঝানোর পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন-
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺭَﺑُّﻜُﻢُ ﺍﺩْﻋُﻮﻧِﻲ ﺃَﺳْﺘَﺠِﺐْ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺴْﺘَﻜْﺒِﺮُﻭﻥَ ﻋَﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻲ ﺳَﻴَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺩَﺍﺧِﺮِﻳﻦَ
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।(সূরা আল-মু'মিন-৬০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পরিবারে যেহেতু আপনি সবার ছোট। তাই আপনাকে হেকমত ও বুদ্ধি খাটিয়ে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। শত ঝড়তুফানে ধর্য্য ও সহ্য সহকারে নিজের দ্বীন পালনকে আকড়ে ধরাই পরিবারের অন্যদের সামনে দ্বীনের দাওয়াত হিসেবে পরিগনিত হবে। সুতরাং আপনি আপনার দ্বীন পালনকে অভ্যাহত রাখুন। এবং পরিবারের অন্যদের জন্য হেদায়তের দু'আ করতে থাকুন।আল্লাহ আপনাদের সহায় হোক।আমীন।