আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। উস্তায, আমি কয়েকটি ঘটনা আকারে কিছু বিষয় পেশ করছি। প্রশ্নটি কিছুটা বড় হওয়ার জন্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ইনশাআল্লাহ।
ঘটনাঃ ০১-
"ক" ব্যক্তি একটি সাদকায়ে জারিয়া প্রতিষ্ঠানে খেদমত করাকালীন সেই প্রতিষ্ঠানের হাইয়ার লেভেলের একটি দায়িত্ব পায় আরও কয়েকজনের সাথে। সেখানে "ক" কিছুক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় বেশি ভালোভাবে নিজের কাজ গুলো করেছে,নিজের দায়িত্বকে ভালোবেসে। কিন্তু "খ" ব্যক্তির কিছু কিছু আচরণ "ক" এর জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং একদিন একটি বিষয়ে ঝামেলা হওয়ায়  "ক" ব্যক্তি রাগবশত তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়।  উল্লেখ্য যে, "ক" ব্যক্তি যেসকল বিষয়ে কষ্ট পেতো তা অন্যদের কাছে খুবই স্বাভাবিক বিষয় বলে অন্যরা "ক" ব্যক্তিকে বুঝ দিতেন এবং "ক" ব্যক্তিই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দোষারোপ হতেন।

এসকল কারণে "ক" ব্যক্তি "খ" ব্যক্তির উপর একটা রাগ বা জেদ তৈরী হয় এবং কোন একটা ছোট ঘটনা প্রেক্ষিতে "ক" ব্যক্তি তার রাগ প্রকাশ করে বসে এবং "খ" ব্যক্তি কষ্ট পায়। বিষয়টা "ক" ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানালে "খ" ব্যক্তির কাছে তিনি ক্ষমা চান। ক্ষমা চাওয়ার ফলে "খ" ব্যক্তি কোন রিপ্লাই না করাতে এবং "ক" ব্যক্তি সেজন্য মন থেকে শান্তি না পাওয়ায় প্রায় এক বছর পরে আবারও তার কাছে ক্ষমা চান এবং "খ" ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করেছেন বলে জানান।

ঘটনা-০২ঃ
প্রতিষ্ঠানে একটা সময় বিভিন্ন বিষয়ে এক ধরণের শো অফ শুরু হলো। ওই "খ" ব্যক্তির ঠিক/ভুল সকল কাজের এপ্রিসিয়েশন চলতো আয়োজন করে। খুব বেশি হাইলাইটেড হতো সে, যেটা এর থেকে বেশি যোগ্য ও মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের অনেকেই সেরকম এপ্রিসিয়েশন পেতোনা। এমনকি "খ" ব্যক্তি দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে ইউনিভার্সিটি র‍্যাংক করা স্টুডেন্ট বলে ওই ব্যক্তি নিজেও গর্ব করতো এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানরাও। বিষয়গুলো "ক" ব্যক্তির ভালো লাগতোনা। এরকম পরিবেশ পরিস্থিতিতে "ক" ব্যক্তির মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পড়ে "খ" ব্যক্তির সমমর্যাদায় যাওয়ার একটা খারাপ মনোভাব চলে আসলো। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এর মতে, "খ" এর কোন বিকল্প ওই প্রতিষ্ঠানে নেই এবং তার মত মেধাবী আর চৌকষ আর কেউ নেই। তাই "খ" এর দোষ-ত্রুটি থাকলেও সেগুলো ইগ্নোর করতে হবে এবং তাকে প্রতিষ্ঠানের জন্য লাগবেই লাগবে, এছাড়া বিকল্প কেউ নেই
"ক" ব্যাক্তি অযোগ্য ছিলোনা বরং তার দায়িত্বে সে সর্বোচ্চ আস্থাশীল ছিলো। তাই সে তার কাজ করার দক্ষতাকে আরও বিস্তৃত করবার আশায় এবং "খ" এর বিকল্প আরও আছে সেরকম একটা জেদ নিয়ে আরও নতুন দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। নতুন কাজের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিলো বেশিরভাগই "ক" ব্যক্তির মত যোগ্য ব্যক্তি আরও আছে সেটা প্রমাণ করা।
ঘটনাঃ০৩-

"ক" ব্যক্তি নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করাতে একটা দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়ে জরুরীভাবে। যেই সেক্টর টা কিছু দুর্বল মানুষ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিলো এবং প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাস সেই জায়গাটা "ক" ব্যক্তি সুন্দরভাবে দাঁড় করাতে পারবে। এখানেই বাধলো বিপত্তি। অলরেডি ওই দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা "ক" ব্যক্তি যাওয়াতে কষ্ট পেয়েছেন, যদিও তাদের অনুমতি সাপেক্ষেই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছিলো। "ক" ব্যক্তি দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর তার কোন কথা বা কাজে ভুল বুঝে দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন সদস্যরা সবাই কাজ থেকে অব্যাহতি নেয় এবং বাকি থাকে শুধু একজন (গ ব্যক্তি) এবং ক ব্যক্তি।
ঘটনা-০৪

একদিন "গ" ব্যক্তি কাউকে কিছু না বলে "খ" ব্যক্তিকে ওই দায়িত্বের গ্রুপে নিয়ে আসে। যেন সেই পরিস্থিতিতে "খ" ব্যক্তি কোন পরামর্শ দেন।। সবাই অব্যাহতি নেওয়াতে তিনি ভয় পেয়ে "খ" ব্যক্তিকে জয়েন করান বলে জানান কারণ "খ" ব্যক্তির সাথে ব্যক্তিগত ভাবে তার ভালো সম্পর্ক ছিলো।

যেহেতু "খ" ব্যক্তির সাথে "ক" ব্যক্তির মন থেকে একটা দ্বন্দ্বের সম্পর্ক ছিলো, "খ" ব্যক্তিকে নিয়ে অতিরিক্ত এপ্রিসিয়েশন আর মাতামাতি "ক" ব্যক্তির পছন্দ হতোনা। তাই তাকে গ্রুপে জয়েন করানোটাও "ক" ব্যক্তি ভীষনভাবে অপছন্দ করলেন এবং ওই গ্রুপে কাজ করা বন্ধ করে দিলেন। কারণ "ক" ব্যক্তি চাইছিলেন না "খ" তার কাজের তদারকি করুক। তাই আরেকটা গ্রুপ খুলে সেখানে "গ" ব্যক্তিকে নিয়ে কাজ করতে থাকেন।

গ্রুপে ২/৩ দিন কাজের কোন কনভার্সেশন না পেয়ে "খ" ব্যক্তির আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এবং তিনি গ্রুপ থেকে লিভ নিয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বিষয় টা জানান। খ ব্যক্তির যেহেতু প্রকৃতপক্ষে ওই গ্রুপে কোন কাজ নেই এবং কর্তৃপক্ষ "ক" ও "খ" এর মতবিরোধ সম্পর্কে ঘটনা-১ থেকে ভালোভাবে অবগত তাই কর্তৃপক্ষ এই দুজনের ঝামেলা এড়াতে তার সেই লিভ নেওয়াটাকে এপ্রিশিয়েট করে। সেই এপ্রিশিয়েশনের ফলে রাগ করে নাকি অন্য কোন কারণে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন "খ" ব্যক্তি অনেকগুলো অভিযোগ করে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি নেয়।
ঘটনাঃ০৫-

তার সেই অভিযোগ গুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠানে একরকম ঝড় উঠে। সেই অভিযোগের তীরগুলো ছিলো প্রতিষ্ঠান এর প্রধান এবং "ক" ব্যক্তির দিকে। "ক" ব্যক্তি সেটা ফিল করতে পেরে তাকে ফিরে আসতে অনুরোধ করে, কিন্তু "খ" ব্যক্তি রিপ্লাই এ অভিশাপের ভাষায় দুয়া করে।
একসময় জানা যায় দায়িত্ব থেকে লিভ নেওয়ার পর "খ" ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে বেশ অনেকজন ব্যক্তির ইনবক্সে "ক" ব্যক্তির নামে বিভিন্ন কথা বলতে থাকেন "ক" ব্যক্তির অগোচরে। এরপর প্রতিষ্ঠানে মিটিং হয়, "ক" ব্যক্তি দোষ স্বীকার করে, প্রতিষ্ঠান প্রধানও দোষ স্বীকার করে। এবং "খ" ব্যক্তিকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি ফরে আসেন নি। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে আগের মত চলতে থাকে।

এখানে উল্লেখ করা খুব জরুরী যে, ওই প্রতিষ্ঠান এর অনেক অসঙ্গতি ছিলো যার খুটিনাটি সব "খ" ব্যক্তি জানতেন।

এর অনেক মাস পর আবারও "খ" ব্যক্তি অনলাইন জগৎ তোলপাড় করা শুরু করে। তিনি সেই প্রতিষ্ঠানের অসংগতি তুলে ধরেন যা সত্যি ছিলো এবং বিভিন্ন  মিথ্যা অপবাদ দেন। এই চক্রে তার সঙ্গী সাথিরাও নানান মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। এই ঘটনায় "ক" ব্যক্তি ভীষণ ভাবে ব্যাহত হয়েছে। কোন কোন জায়গায় তাকে খুব বাজেভাবে অপদস্থ করে সম্পুর্ন দায়ভার তার উপর দেওয়া হচ্ছে।
তাই তার মনে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের সকল সমস্যা তার জন্য হচ্ছে। যদি তার নিয়ত টা শয়তানের ধোকায় পড়ে নড়বড়ে না হয়ে যেতো, সে যদি নতুন দায়িত্ব না নিতো তাহলে হয়তো এরকম কখনোই হতোনা। কিন্তু সাময়িক নিয়তের গড়বড় হলেও "ক" ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠান কে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসে এবং নিজের কাজগুলোকেও সন্তানের মত ভালোবেসে করে। আর সদকায়ে জারিয়ার আশায় করে৷ তার নিয়তের গড়বড় টা ছিলো সাময়িক। সে যখনি তার নিয়তের ত্রুটি ধরে ফেলতে পেরেছে দেরিতে হলেও আস্তে আস্তে সে নিজেকে সংশোধন করে নিয়েছে।

উস্তায, এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ-

১. "ক" ব্যক্তির সাদকায়ে জারিয়ার সকল কাজ কি তার নিয়তের সাময়িক ত্রুটির কারণে বরবাদ হয়ে যাবে?

২. পরিস্থিতির কারণে বা শয়তানের ধোকায় "ক" ব্যক্তি বারবার ক্ষমা চাওয়ার পরেও "খ" ব্যক্তি নিজের আত্মসম্মানের কারণে সবাইকে কষ্ট দিয়ে থাকেন, "ক ব্যক্তির অগোচরে তার নামে নানান কথা বলতে থাকেন  (হোক তা সত্যি/মিথ্যে) সেটা কি জায়েয?

৩. কারো ত্রুটি থাকলে তাকে অপমান, অপদস্থ করা কি বৈধ?

৪. উপরের ৫ টি ঘটনা প্রেক্ষিতে "ক" ব্যক্তির নিজেকে দোষারোপ করা, নিজেকে ধিক্কার দেওয়া কি সঠিক?

৫. "ক" ব্যক্তি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এরকম পরিস্থিতিতে তার কি করণীয়? প্রতিবাদ করার মত বা লড়বার মত তার কাছে কোন প্রমাণ বা শক্তি নেই। কারণ তার নিয়তে তো সত্যিই ত্রুটি ছিলো। চাই সেটা সাময়িক হোক বা স্থায়ী।

৬. প্রতিষ্ঠান এর এরকম পরিস্থিতি কি যদি সত্যিই তার জন্য হয়ে থাকে তার কাফফারা "ক" ব্যক্তি কিভাবে করবেন?

আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাচ্ছি, এত বড় করে প্রশ্ন করার জন্য উস্তায। হয়তো ঠিকভাবে বুঝাতে পারিনি সবকিছু। জাঝাকিল্লাহু খইরন ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (579,570 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
প্রশ্নটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং এর উত্তরও অনেকটা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ্য। তাই প্রশ্নটির উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 397 views
...