আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
আসসালামু  আলাইকুম ।
আমার স্ত্রীর  বাচ্চা  হয়েছে  ৩১ জুলাই । বাচ্চা হওয়ার  পর ৪০ দিনের শেষে র দিকে বেশি রক্ত যায় কিন্তু  ৪০ দিন পর সে গোসল করে  নামাজ  শুরু করে। কিন্তু  সেপ্টেম্বর  এর ২০ তারিখ  থেকে আবার  বেশি  রক্ত  যায়  তখন আমার  স্ত্রী  মাসিক  মনে করে নামাজ পরা ছেড়ে  দেয়। আমার  স্ত্রী  পিল  খাচ্ছে। এখন আমার  প্রশ্ন  হল
১.এটা কি মাসিকের রক্ত ।
২.তার কি নামাজ পরতে  হবে ?  বাকি নামাজ না পরার কারনে তার কাজা কিভাবে আদায় করবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

পনেরো দিন থেকে বেশি পবিত্রতা হলে তো হায়েজের দিন গুলো চিনতে কোনো  সমস্যাই নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার স্ত্রীর নেফাস শেষ হয় ০৯ সেপ্টেম্বরে। 
তার মানে ২৫ শে সেপ্টেম্বর এর আগ পর্যন্ত এর মাঝে আপনার স্ত্রীর হায়েজ আসলে সেটা হায়েজ বলে গন্য হবেনা। বরং সেটা ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।

তাই এ সময়ে পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

হ্যাঁ ২৫ শে সেপ্টেম্বর বা তার পরে হায়েজ আসলে সেক্ষেত্রে নুন্যতম তিনদিন তিনরাত অতিক্রম করলে সেটি হায়েজ বলে গন্য হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
এখন যে রক্ত যাচ্ছে  এটা যদি ২৫ শে সেপ্টেম্বর  এর পরও কন্টিনিউ করে তাহলে  কি সেটা  হায়েজ হবে? না ২৫ শে সেপ্টেম্বর  এর  পর  নতুন  করে  বেশি  রক্ত  গেলে তখন  হায়েজ হবে ? 
by (574,260 points)
২৫ শে সেপ্টেম্বর এর পর হায়েজ আসলে নতুন করে হিসাব করতে হবে। সেক্ষেত্রে নুন্যতম তিনদিন তিনরাত অতিক্রম করলে সেটি হায়েজ বলে গন্য হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 125 views
...