আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু-আলাইকুম!

প্রথমত, ঘটনা শুরুর পূর্বে আমি আমার ব্যাপারে কিছু কথা স্পষ্ট করি । আমি একজন ইন্ট্রোভার্ট এবং শান্তপ্রিয় একজন মানুষ। ঝামেলা বেজাল এই সব কিছু সর্বদা এড়িয়ে চলি । তার উপর বলে রাখি আমি একজন ছাত্র পড়ালিখার পাশাপাশি একটা শোরুম এ চাকরি করি।

গত কয়েকদিন আগে, তাড়াহুড়ই আমি দোকানে যাওয়ার সময় সকালে ১০০ টাকা দিয়ে একটি অটো রিক্সা ভাড়া করি। রিক্সাওয়ালা কিছু দূর যাওয়ার পর চলন্ত রিক্সা থামিয়ে একজন যাত্রী তুলে নেয় । বিষয়টি সম্পূর্ণ আমার কাছে অযাচিত ঠেকলেও আমি কিছু বলতে পারিনি এটা ভেবে নিজেকে শান্ত করলাম যে নামার সময় উনার কাছ থেকে হাফ ভরা খুঁজে নিব। কিন্তু রিক্সাওয়ালা অধিক লোভের আশায় যাত্রীটিকে তুলে নেয় । সে বিষয়টিও আমি বুঝতে পারি কিন্তু কোনো ঝামেলা করতে চাইনি তাই চুপ ছিলাম। কিন্তু গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাত্রীটি তড়িঘড়ি করে ২০ টাকা দিয়ে নেমে চলে যায় অথচ সে আর আমি প্রায় একই দূরত্ব থেকে এসেছি। এখন রিক্সাওয়ালা কে বললাম যে সে অধিক লাভের আশায় যে কাজটি করলো সেটা কি ভালো করলো? সেও জবাব দিল খারাপ করসে তাই আমি তাঁকে ১০ টাকা কমিয়ে আরও ৯০ টাকা নাকি দিতাম। আমি বললাম ওই লোকটি ২০ টাকা দিল একই সাথে এসে আমি কেন ৯০ টাকা দিব। সে রীতিমত বলল আমি কেন তারে তখন বাধা দেইনি , সে ছাত্র তাই নাকি তাঁকে আর কিছু বলেনি অথচ লোকটি আমার চেয়ে অনেক বড় ছিলো এবং দেখে শুনে লাগল ভালো একটা জব করেন তিনি , আমি বললাম আমিও তো ছাত্র সে বারবার একই কোথা বলতেসিলো আপনার সমস্যা হলে আমি তখন জানান নি  কেন । এখন আমার পুরোটাই দিতে হবে নাকি। আমি তখন রেগে তারে ৬০ টাকা ধরিয়ে দিলাম আর বললাম এই তোমার শাস্তি স্বরুপ তখন সে আমার সাথে এক পর্যায়ে বাক বিতন্ড লাগিয়ে দিল পরে পাশে এক রিক্সাওয়ালা কে ডেকে পুরো ঘটনা শুনলাম কিন্তু সেও ওই রিক্সাওয়ালার পক্ষ নিয়ে বলল কি করবেন ভুল করসে দিয়ে দেন! তখন আর ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে আমি সেখান থেকে রাগে ক্ষোভে হাঁটতে শুরু করলাম আর সে বলতে লাগলো বাকি ২০ টাকাটা নাকি সে আজীবন দাবি রেখে দিবে অথচ টোটাল সে পেল ৯০ টাকা আমি আর যাত্রীটি মিলে মূল ভাড়া থেকে ১০ টাকা কম ছিলো শুধু । তাই আমি তা তোয়াক্কা না করে ওই জায়গা থেকে চলে গেলাম?
এর কয়েকদিন পর থেকে আমি অসুস্থ ,,,এটি কি ওই ঘটনার বদৌলতে শাস্তি স্বরূপ? এখন শরিয়ত অনুযায়-ই ওই টাকাটা কি তার আসলেই হকের টাকা ছিলো? আর যদি হকের টাকা হয় এখন আমার করনীয় কি? জানাবেন দয়া করে।

ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনি তার হক নষ্ট করেননি। বেয়াইনি ভাবে আরেকজন যাত্রি নেয়ায় অতিরিক্ত লোভের ভলে সে সব মিলে ১০ টাকা কম পেয়েছে।

সুতরাং আপনি যে এখন অসুস্থ ,,,এটি ওই ঘটনার বদৌলতে শাস্তি স্বরূপ নয়।
আপনি নিশ্চিন্ত মনে থাকুন,আল্লাহর কাছে রোগ মুক্তির দোয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা চালিয়ে যান।
ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে অচিরেই সুস্থতা দান করবেন।

ঐ টাকাটা তার আসলেই হকের টাকা ছিলোনা।
সুতরাং বাকি টাকা দিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...