আসসালামু-আলাইকুম!
প্রথমত, ঘটনা শুরুর পূর্বে আমি আমার ব্যাপারে কিছু কথা স্পষ্ট করি । আমি একজন ইন্ট্রোভার্ট এবং শান্তপ্রিয় একজন মানুষ। ঝামেলা বেজাল এই সব কিছু সর্বদা এড়িয়ে চলি । তার উপর বলে রাখি আমি একজন ছাত্র পড়ালিখার পাশাপাশি একটা শোরুম এ চাকরি করি।
গত কয়েকদিন আগে, তাড়াহুড়ই আমি দোকানে যাওয়ার সময় সকালে ১০০ টাকা দিয়ে একটি অটো রিক্সা ভাড়া করি। রিক্সাওয়ালা কিছু দূর যাওয়ার পর চলন্ত রিক্সা থামিয়ে একজন যাত্রী তুলে নেয় । বিষয়টি সম্পূর্ণ আমার কাছে অযাচিত ঠেকলেও আমি কিছু বলতে পারিনি এটা ভেবে নিজেকে শান্ত করলাম যে নামার সময় উনার কাছ থেকে হাফ ভরা খুঁজে নিব। কিন্তু রিক্সাওয়ালা অধিক লোভের আশায় যাত্রীটিকে তুলে নেয় । সে বিষয়টিও আমি বুঝতে পারি কিন্তু কোনো ঝামেলা করতে চাইনি তাই চুপ ছিলাম। কিন্তু গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাত্রীটি তড়িঘড়ি করে ২০ টাকা দিয়ে নেমে চলে যায় অথচ সে আর আমি প্রায় একই দূরত্ব থেকে এসেছি। এখন রিক্সাওয়ালা কে বললাম যে সে অধিক লাভের আশায় যে কাজটি করলো সেটা কি ভালো করলো? সেও জবাব দিল খারাপ করসে তাই আমি তাঁকে ১০ টাকা কমিয়ে আরও ৯০ টাকা নাকি দিতাম। আমি বললাম ওই লোকটি ২০ টাকা দিল একই সাথে এসে আমি কেন ৯০ টাকা দিব। সে রীতিমত বলল আমি কেন তারে তখন বাধা দেইনি , সে ছাত্র তাই নাকি তাঁকে আর কিছু বলেনি অথচ লোকটি আমার চেয়ে অনেক বড় ছিলো এবং দেখে শুনে লাগল ভালো একটা জব করেন তিনি , আমি বললাম আমিও তো ছাত্র সে বারবার একই কোথা বলতেসিলো আপনার সমস্যা হলে আমি তখন জানান নি কেন । এখন আমার পুরোটাই দিতে হবে নাকি। আমি তখন রেগে তারে ৬০ টাকা ধরিয়ে দিলাম আর বললাম এই তোমার শাস্তি স্বরুপ তখন সে আমার সাথে এক পর্যায়ে বাক বিতন্ড লাগিয়ে দিল পরে পাশে এক রিক্সাওয়ালা কে ডেকে পুরো ঘটনা শুনলাম কিন্তু সেও ওই রিক্সাওয়ালার পক্ষ নিয়ে বলল কি করবেন ভুল করসে দিয়ে দেন! তখন আর ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে আমি সেখান থেকে রাগে ক্ষোভে হাঁটতে শুরু করলাম আর সে বলতে লাগলো বাকি ২০ টাকাটা নাকি সে আজীবন দাবি রেখে দিবে অথচ টোটাল সে পেল ৯০ টাকা আমি আর যাত্রীটি মিলে মূল ভাড়া থেকে ১০ টাকা কম ছিলো শুধু । তাই আমি তা তোয়াক্কা না করে ওই জায়গা থেকে চলে গেলাম?
এর কয়েকদিন পর থেকে আমি অসুস্থ ,,,এটি কি ওই ঘটনার বদৌলতে শাস্তি স্বরূপ? এখন শরিয়ত অনুযায়-ই ওই টাকাটা কি তার আসলেই হকের টাকা ছিলো? আর যদি হকের টাকা হয় এখন আমার করনীয় কি? জানাবেন দয়া করে।
ধন্যবাদ।