আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসস্লামু আলাইকুম।হুজুর আমি মাহিম।আমি বড় আশা নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করেছি।আপনি আমাকে পারেন এই সমস্যার সমাধান দিতে।কারন অন্য আলেমদের জিগাস করা সম্ভব না কারন তারা বলছে ওয়াসওয়াসা রুগির তালাক হয়।তাই আপনি ছাড়া কেউ সমাধান দিতে পারবে না আমি সারাজীবন কিতজ্ঞ থাকব আপনার কাছ্ব একটি বাচ্চা আছে আমার বউ ৭মাসে প্রেগন্যান্ট আজকে আপনি উত্তর না দিলে আমি এই সমাধান আমি কুথাও পাব না।দয়া করবেন আমার উপর।আমরা ২মাস ধিরে আলাদা আছি শুধু একটি উত্তরের আসায়।শশুর বাড়ির মানুষ নানান কথা শুনাচ্ছে আপনি উত্তর না দিলে হয়্র গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া উপায় নাই

আমার ওয়াইফ এর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করছি

আমার ওয়াইফ বিয়ের আগে মারাত্নক ওয়াসওয়াসারুগে আক্রান্ত হয়।এরপর সে যখন জানিতে পারে তার এই সিমস্যা ওয়াসওয়াসার কারনে আসছে এরপর আস্তে আস্তে ওয়াসওয়াসা কমে যায় তবে একে বারে বন্ধ হয় কিনা সে ব্যাপারে তার মনে  নাই।কারন ৪বছর আগের ঘটনা।১বছর পর তার সাথে আমার বিয়ে হয়।বিয়ের আগে যে সে ওয়াসওয়াসয় আক্রান্ত হয় তা পুরাপুরি বন্দ হয় কি না তা তার মনে নাই।মানে এই বুয়ের আগে ১বছরে ওয়াসওয়াসা কমার পর তার আর ওয়াসওয়াসা আসত কিনা তা মনে নাই তবে বন্ধ৷ হওয়ার  কথা নয় এরপর আমাদের বিয়ের পর আমি আমার মায়ের কথায় একটি কানে দুল পড়তাম।সে কুথায় জানি দেখছে এতে আমি ভালবাসার শিরক করছি তাই আমাকে সালাম দিত না।এরপির সে একটা মাসালা জানতে পারে যে হাসব্যান্ড ওয়াইফ এর মাজে কেউ মুরতাদ হলে বিয়ে ভেঙে যায় এরপর তার আবার মারাত্নক ওয়াসওয়াসা আসে তার ঈমান নিয়ে।সে ভাবে যে ওয়াসওয়াসার জিন্য হয়ত আমাদের বিয়ে ভেঙে । বিয়ে ভেঙে গেছে ভাবার পর তখন তার আর ওয়াসওয়াসা আসত কিনা মনে নাই এরপর সে একদিন একটি ওয়াজ শুনে যে মেয়েরা তালা দিতে পারে এভাবে যে সামি যদি অনুনতি দেয় আর বলে আমি তালা নিলাম এরপর সেদি রাতে থেকে তার পাগলের মত ওয়াসওয়াসা আসে।এরপর  পরের দিন রাতে সে আমাজে জুগাস করে আমি তাকে অনুমতি দেই কিনা।আমাকে বললে তাকে আমি জুর করে তালাকে তাফবিজের অনুমতি দেই এরইর যেদিন অনুমতি দেই এভাবে যে মিন চাইলে তালাক দিয়া যাইস গা বা ভাল না লাগলে তালা দিয়া যাইস গা। দুইটার এক্টা কথা হয়ত বলছি।এরপর সে বলে আমাকে একটার অনুমতি দেও আমি বলি না ৩টার। এরপর অনুমতি ফেরত নেই। ফেরত নিয়ে সে বলছিল আমার ভয় হয় যদি আমি তালা দিয়ে দেই আমি তখন বলি দিলে সব শেষ হইয়া যাবে ব সে ভাবে এই কথা দিয়ে হয়্র আবার অনুমতি ফের অএয়ে গেছে আবার শুরু হয় ওয়াসওয়াসা এরপর আবার অনুমিত ফেরত নেই।এরপর বলি তালাক দিয়া যাইতেই পার সাভাবিক। এরপরের দিন সে ভাবে অনুমতিত ফেরতই দিয়ে দিছি আর  এভার তালাক বল্লেওকিছু হবে না আর কালকে অনুমতি দেওয়ার পর আজকে ওয়াসওয়াসা আসছ না হটাত তার মনে আসে অনুমতি দিলা এখন তালাক বল্লেউ কি ।তাই সে নিজেকে বল্ব ১০০তালাক নিলাম। তখন তার এরপর তার মাথা ঘুর পাক খায় হায় এ কি বললাম আসলেই কি অনুমতি ফেরত দিলাম সে কি ফেরত নিল  আমি যে এই কথা বল্লাম।পরে সে কল রেকর্ড  এ শুনে আমি অনুমতি ফেরত নিয়ে এই কথা বলি যে তালা দিয়া যাইতেই পার।আবার চিন্তা করে না এ কথার দারা অনুমতি ফেরত পাইনি এইসব নিয়ে সারাদিন ভাবে সে নিজেকেই বুজায় তালাক হয় নি অনুমতিত দিয়া দিছি আবার ভাবে না আমি অনুমতি পেয়ে গেছি।এখন সে পুরা মানসিক রুগি।হুজুর আমিযেভাবে অনুমতি দুয়েছি এভাবে কি অনুন্নত ফেরত নেওয়া যায়?আর আমি শুনেছি ওয়াসওয়াসা রুগির তালাক হয় না।আমার ওয়াইফ কি সুস্থ ছিল যখন সে তালাকের কথা বলছে?নাকি সে ওয়াসওয়াসার রুগি হওয়াতে তালাক হয় নাই দয়া করে আমাকে বাচান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...